ঢাকা ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের যাওয়ার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানে না, আমরাও না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০২:২৩:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২
  • ১০৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : তেজগাঁওয়ের শাহীনবাগ এলাকায় নিখোঁজ এক বিএনপির নেতার বোনের বাড়িতে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস-এর যাওয়ার বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইন-শৃঙ্খলা সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির ষষ্ঠ সভা’ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বিষয়টি নিয়ে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এরপর আমার আর কোনও ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই। তবে যেহেতু আমার নির্বাচনি এলাকা। আমি ওই এলাকার সংসদ সদস্য (এমপি)। আমি যতটুকু খবর পেয়েছি, সেখানে দেখা গেছে- মার্কিন রাষ্ট্রদূত যে বাড়িতে গিয়েছিলেন তার পাশের বাড়ির কয়েকজন তারা কীভাবে জেনেছে তা আমি জানি না। তাদের কয়েকটি দাবি যেমন, জিয়ার আমলে তাদের নিরপরাধ পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে; সে বিষয়ে তাদের দাবি প্ল্যাকার্ড মার্কিন রাষ্ট্রদূতের হাতে দেওয়া হয়েছে বলে এটুকু আমি শুনেছি। আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, প্রথম কথা হলো সেখানে তার নিরাপত্তার কোনও ঘাটতি ছিল না। পুলিশ বাহিনী যখনই শুনেছে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সেখানে যাচ্ছেন, তখন বাহিনীর কর্তব্য হয়ে গিয়েছিল সেখানে যাওয়ার। আমাদের ওসি সিভিল পোশাকেই চলে গেছেন। এখানে তার নিরাপত্তার ঘাটতি হয়েছে বলে আমার কাছে রিপোর্ট আসেনি।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত সেখানে যাচ্ছেন সে তথ্যটা কীভাবে ফাঁস হলো জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সেটা জানি না। তারা তো আমাদের কাছে তথ্য দেয়নি। কীভাবে তথ্য ফাঁস হলো, তার অফিস থেকে তথ্য ফাঁস হয়েছে কিনা সেটা আমরা জানি না। আর এটা আমাদের জানার কথাও নয়। উনি সেখানে যাবেন সেটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জানার কথা ছিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও জানে না, আমরাও জানি না। তিনি বলেন, আমাদের পুলিশিং ব্যবস্থা এতোটাই শক্ত যে, প্রতি ওয়ার্ডে একটি বিট পুলিশিং সিস্টেম রয়েছে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের ওসি সেখানে চলে গেছে এবং তার যাতে নিরাপত্তার বিঘœ না ঘটে সে ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কূটনীতিক পুলিশ তো আছে, সেক্ষেত্রে এ ধরনের একটি বিষয় কীভাবে হলো জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, কূটনীতিক পুলিশ তার সঙ্গে ছিল। সেখানে কোনও ঘটনা ঘটেনি। রাষ্ট্রদূতরা যে এলাকায় থাকেন সেখানে যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি তারা যখন বের হন তখনও আমাদের সিকিউরিটি নিয়ে বের হন। চার জন রাষ্ট্রদূতকে অতিরিক্ত নিরাপত্তা দেওয়া হয়ে থাকে, তার মধ্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত একজন। তিনি যখনই কোথাও যাওয়া-আসা করেন, তখন তার সামনে-পেছনে আমাদের পুলিশ বাহিনী নিরাপত্তা দিয়ে থাকে।
এর আগে, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে নিখোঁজদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাকের’ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে তেজগাঁওয়ের শাহীনবাগ এলাকার একটি বাসায় যান। ওই বাসায় ২০১৩ সাল থেকে নিখোঁজ বিএনপি নেতা মাজেদুল ইসলাম সুমনের বোন সানজিদা ইসলাম তুলি থাকেন। তিনি যখন ওই বাসায় যান তখন সেখানে ‘মায়ের কান্না’ নামে আরেকটি সংগঠনের সদস্যরাও ওই বাসার বাইরে অবস্থান করছিলেন তাকে স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য। মায়ের কান্না হলো ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর বিদ্রোহ দমনের নামে বিমানবাহিনীর সহস্রাধিক সদস্য গুমের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সংগঠন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের যাওয়ার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানে না, আমরাও না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০২:২৩:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : তেজগাঁওয়ের শাহীনবাগ এলাকায় নিখোঁজ এক বিএনপির নেতার বোনের বাড়িতে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস-এর যাওয়ার বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইন-শৃঙ্খলা সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির ষষ্ঠ সভা’ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বিষয়টি নিয়ে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এরপর আমার আর কোনও ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই। তবে যেহেতু আমার নির্বাচনি এলাকা। আমি ওই এলাকার সংসদ সদস্য (এমপি)। আমি যতটুকু খবর পেয়েছি, সেখানে দেখা গেছে- মার্কিন রাষ্ট্রদূত যে বাড়িতে গিয়েছিলেন তার পাশের বাড়ির কয়েকজন তারা কীভাবে জেনেছে তা আমি জানি না। তাদের কয়েকটি দাবি যেমন, জিয়ার আমলে তাদের নিরপরাধ পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে; সে বিষয়ে তাদের দাবি প্ল্যাকার্ড মার্কিন রাষ্ট্রদূতের হাতে দেওয়া হয়েছে বলে এটুকু আমি শুনেছি। আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, প্রথম কথা হলো সেখানে তার নিরাপত্তার কোনও ঘাটতি ছিল না। পুলিশ বাহিনী যখনই শুনেছে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সেখানে যাচ্ছেন, তখন বাহিনীর কর্তব্য হয়ে গিয়েছিল সেখানে যাওয়ার। আমাদের ওসি সিভিল পোশাকেই চলে গেছেন। এখানে তার নিরাপত্তার ঘাটতি হয়েছে বলে আমার কাছে রিপোর্ট আসেনি।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত সেখানে যাচ্ছেন সে তথ্যটা কীভাবে ফাঁস হলো জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সেটা জানি না। তারা তো আমাদের কাছে তথ্য দেয়নি। কীভাবে তথ্য ফাঁস হলো, তার অফিস থেকে তথ্য ফাঁস হয়েছে কিনা সেটা আমরা জানি না। আর এটা আমাদের জানার কথাও নয়। উনি সেখানে যাবেন সেটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জানার কথা ছিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও জানে না, আমরাও জানি না। তিনি বলেন, আমাদের পুলিশিং ব্যবস্থা এতোটাই শক্ত যে, প্রতি ওয়ার্ডে একটি বিট পুলিশিং সিস্টেম রয়েছে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের ওসি সেখানে চলে গেছে এবং তার যাতে নিরাপত্তার বিঘœ না ঘটে সে ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কূটনীতিক পুলিশ তো আছে, সেক্ষেত্রে এ ধরনের একটি বিষয় কীভাবে হলো জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, কূটনীতিক পুলিশ তার সঙ্গে ছিল। সেখানে কোনও ঘটনা ঘটেনি। রাষ্ট্রদূতরা যে এলাকায় থাকেন সেখানে যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি তারা যখন বের হন তখনও আমাদের সিকিউরিটি নিয়ে বের হন। চার জন রাষ্ট্রদূতকে অতিরিক্ত নিরাপত্তা দেওয়া হয়ে থাকে, তার মধ্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত একজন। তিনি যখনই কোথাও যাওয়া-আসা করেন, তখন তার সামনে-পেছনে আমাদের পুলিশ বাহিনী নিরাপত্তা দিয়ে থাকে।
এর আগে, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে নিখোঁজদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাকের’ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে তেজগাঁওয়ের শাহীনবাগ এলাকার একটি বাসায় যান। ওই বাসায় ২০১৩ সাল থেকে নিখোঁজ বিএনপি নেতা মাজেদুল ইসলাম সুমনের বোন সানজিদা ইসলাম তুলি থাকেন। তিনি যখন ওই বাসায় যান তখন সেখানে ‘মায়ের কান্না’ নামে আরেকটি সংগঠনের সদস্যরাও ওই বাসার বাইরে অবস্থান করছিলেন তাকে স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য। মায়ের কান্না হলো ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর বিদ্রোহ দমনের নামে বিমানবাহিনীর সহস্রাধিক সদস্য গুমের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সংগঠন।