ঢাকা ০৩:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে জামদানি শাড়ি দিলেন মহিলা জামায়াতের নেতারা

  • আপডেট সময় : ০৯:৩১:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
  • ১৩ বার পড়া হয়েছে

সোমবার রাজধানীর মগবাজারে মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স অ্যাম্বাসডর ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনকে শাড়ি উপহার দেন মহিলা জামায়াতের নেতারা -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকার দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স অ্যাম্বাসডর ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। সোমবার (২১ জুলাই) রাজধানীর মগবাজারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তার সঙ্গে ছিলেন দূতাবাসের কর্মকর্তা মি. জেমস স্টুয়ার্ট।
সাক্ষাৎকারটি অত্যন্ত আন্তরিকতা ও হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। সৌজন্য বৈঠকের এক পর্যায়ে মহিলা জামায়াতের নেতারা রাষ্ট্রদূতকে একটি জামদানি শাড়ি উপহার দেওয়া হয়। জামায়াত নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— নায়েবে আমির সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল, কেন্দ্রীয় মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, জামায়াতে ইসলামীর মহিলা বিভাগের সহকারী সেক্রেটারি সাইদা রুম্মান, মহিলা বিভাগের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য প্রফেসর ডা. হাবিবা চৌধুরী সুইট, কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগের মজলিসে শূরা সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. আমিনা রহমান, আমিরে জামায়াতের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাসান।
সাক্ষাৎকার শেষে ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিং এ বলেন, রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশেষ করে রিফর্মস, নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং কোনও নিরাপত্তা হুমকি আছে কিনা, তা জানতে চেয়েছেন। আমাদের এ অঞ্চলে যে নিরাপত্তা হুমকি আছে, সে ব্যাপারে ওনারা আমাদের অবস্থান জানতে চেয়েছেন। সন্ত্রাসের ব্যাপারে আমাদের ভিউজ এবং বাংলাদেশের পজিশন জানতে চেয়েছেন। আমরা এসব বিষয়ে তাদেরকে অবহিত করেছি।
জামায়াতের অফিসে যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকা দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স অ্যাম্বাসডর ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন
তিনি আরও বলেন, আমরা পরিষ্কার বলে দিয়েছি, আমরা একটা ফেয়ার ইলেকশন চাচ্ছি। আমরা বেসিক রিফর্মস চাই। বাংলাদেশে আর যেন কোনও দুর্বৃত্তায়ন ও চাঁদাবাজির রাজনীতি ফিরে না আসে, সে ব্যাপারে আমরা জিরো ভূমিকায় আছি। আমরা দুর্নীতিমুক্ত একটা বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমাদের অলওয়েজ ডেমোক্রেসির পক্ষে স্টান্ডিং রয়েছে। আমরা এটাও বলেছি, আমাদের ফরেন পলিসি হলো— সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়। একটা জেনারেশনাল স্টান্ডার্ড অব থিওরি এবং থিম যেভাবে কাজ করে, আমরা সেভাবেই কাজ করতে চাই— উইথ মিউচুয়াল রেসপেক্ট আন্ডারস্টাডিং অ্যান্ড কমিউনিকেসন্স। আমরা এটাও বলেছি, সব প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে কনজেনিয়াল এটমোসফিয়ার-এ গুড নেইবারহুডের যে প্রিন্সিপল অ্যান্ড পলিসি আছে— উইথ সিকিউরিট অ্যান্ড রাইটস আমরা সেটাতে বিশ্বাস করি। মৌলিকভাবে এই কয়েকটি বিষয়ের ওপর আলোচনা হয়েছে। আরও আলোচনা হয়েছে যে, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আরও বেটার হবে এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আগেও তারা কাজ করেছেন এবং আগামীতে আরও বেশি ক্লোজলি তারা কাজ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
আমিরে জামায়াতে একটি বিষয় তাদেরকে বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন, সেটা হলো— ট্যারিফ সম্পর্কে। আমেরিকা আমাদের ব্যবসার ওপর ৩৫ শতাংশ ট্যারিফ বসিয়ে দিয়েছে। যেটা আমাদের দেশের স্পেশালি গার্মেন্টস সেক্টরকে সাংঘাতিকভাবে প্রভাবিত করবে। জামায়াতের আমির রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এবং গভর্ণমেন্টকে স্পেশাল অনুরোধ করেছেন, এ ব্যাপারে যেন কনসিডার করেন। যাতে ট্যারিফ কমিয়ে দিয়ে একটা সহনীয় পর্যায় এনে বাংলাদেশের গার্মেন্টস এবং অন্যান্য এক্সপোর্ট ওরিয়েন্টেড যে সব পণ্য আছে, সেগুলো আমরা অব্যাহত রাখতে পারি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওভারঅল আমাদের সিকিউরিটি ইস্যু, ল’ ইস্যু এবং ইলেকশনের জন্য যে প্রস্তুতি, ফেয়ার করার জন্য যেসব অ্যারেজমেন্ট, রিফর্মস আছে, সে সম্পর্কে আলোচনা হয়। আঞ্চলিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিশেষ কোনও দেশের ব্যাপারে আমাদের কথা হয়নি। আঞ্চলিক ইস্যুতে তো আমাদেরও কনসার্ন আছে। যেখানে পারস্পরিক সহযোগিতা করা সম্ভব এবং প্রয়োজন, সেখানে আমরা পারস্পরিক সহযোগিতা করার ব্যাপারে আমরা এক মত পোষণ করেছি। বাংলাদেশে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস করা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে ডা. তাহের বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের অবস্থান খুব পরিষ্কার। মানবতাবিরোধী, আমাদের কালচার -বিরোধী, আমাদের ধর্মীয় অনুশাসন- বিরোধী যদি কোনও কিছু থাকে, তাহলে অবশ্যই আমরা এটার বিরোধিতা করবো এবং আমরা বিরোধিতা করছি। যদি পজিটিভ হেল্প করার জন্য এটা এক্সপানশন হয়, তাহলে তো ইটস ওকে। এজন্য আমাদের স্ট্যান্ডকে ক্লিয়ারলি অবজারভেশনে রেখে আমরা আমাদের ভূমিকা নির্ধারণ করবো।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনবহুল এলাকায় যুদ্ধবিমানের প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন

মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে জামদানি শাড়ি দিলেন মহিলা জামায়াতের নেতারা

আপডেট সময় : ০৯:৩১:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকার দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স অ্যাম্বাসডর ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। সোমবার (২১ জুলাই) রাজধানীর মগবাজারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তার সঙ্গে ছিলেন দূতাবাসের কর্মকর্তা মি. জেমস স্টুয়ার্ট।
সাক্ষাৎকারটি অত্যন্ত আন্তরিকতা ও হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। সৌজন্য বৈঠকের এক পর্যায়ে মহিলা জামায়াতের নেতারা রাষ্ট্রদূতকে একটি জামদানি শাড়ি উপহার দেওয়া হয়। জামায়াত নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— নায়েবে আমির সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল, কেন্দ্রীয় মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, জামায়াতে ইসলামীর মহিলা বিভাগের সহকারী সেক্রেটারি সাইদা রুম্মান, মহিলা বিভাগের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য প্রফেসর ডা. হাবিবা চৌধুরী সুইট, কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগের মজলিসে শূরা সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. আমিনা রহমান, আমিরে জামায়াতের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাসান।
সাক্ষাৎকার শেষে ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিং এ বলেন, রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশেষ করে রিফর্মস, নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং কোনও নিরাপত্তা হুমকি আছে কিনা, তা জানতে চেয়েছেন। আমাদের এ অঞ্চলে যে নিরাপত্তা হুমকি আছে, সে ব্যাপারে ওনারা আমাদের অবস্থান জানতে চেয়েছেন। সন্ত্রাসের ব্যাপারে আমাদের ভিউজ এবং বাংলাদেশের পজিশন জানতে চেয়েছেন। আমরা এসব বিষয়ে তাদেরকে অবহিত করেছি।
জামায়াতের অফিসে যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকা দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স অ্যাম্বাসডর ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন
তিনি আরও বলেন, আমরা পরিষ্কার বলে দিয়েছি, আমরা একটা ফেয়ার ইলেকশন চাচ্ছি। আমরা বেসিক রিফর্মস চাই। বাংলাদেশে আর যেন কোনও দুর্বৃত্তায়ন ও চাঁদাবাজির রাজনীতি ফিরে না আসে, সে ব্যাপারে আমরা জিরো ভূমিকায় আছি। আমরা দুর্নীতিমুক্ত একটা বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমাদের অলওয়েজ ডেমোক্রেসির পক্ষে স্টান্ডিং রয়েছে। আমরা এটাও বলেছি, আমাদের ফরেন পলিসি হলো— সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়। একটা জেনারেশনাল স্টান্ডার্ড অব থিওরি এবং থিম যেভাবে কাজ করে, আমরা সেভাবেই কাজ করতে চাই— উইথ মিউচুয়াল রেসপেক্ট আন্ডারস্টাডিং অ্যান্ড কমিউনিকেসন্স। আমরা এটাও বলেছি, সব প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে কনজেনিয়াল এটমোসফিয়ার-এ গুড নেইবারহুডের যে প্রিন্সিপল অ্যান্ড পলিসি আছে— উইথ সিকিউরিট অ্যান্ড রাইটস আমরা সেটাতে বিশ্বাস করি। মৌলিকভাবে এই কয়েকটি বিষয়ের ওপর আলোচনা হয়েছে। আরও আলোচনা হয়েছে যে, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আরও বেটার হবে এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আগেও তারা কাজ করেছেন এবং আগামীতে আরও বেশি ক্লোজলি তারা কাজ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
আমিরে জামায়াতে একটি বিষয় তাদেরকে বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন, সেটা হলো— ট্যারিফ সম্পর্কে। আমেরিকা আমাদের ব্যবসার ওপর ৩৫ শতাংশ ট্যারিফ বসিয়ে দিয়েছে। যেটা আমাদের দেশের স্পেশালি গার্মেন্টস সেক্টরকে সাংঘাতিকভাবে প্রভাবিত করবে। জামায়াতের আমির রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এবং গভর্ণমেন্টকে স্পেশাল অনুরোধ করেছেন, এ ব্যাপারে যেন কনসিডার করেন। যাতে ট্যারিফ কমিয়ে দিয়ে একটা সহনীয় পর্যায় এনে বাংলাদেশের গার্মেন্টস এবং অন্যান্য এক্সপোর্ট ওরিয়েন্টেড যে সব পণ্য আছে, সেগুলো আমরা অব্যাহত রাখতে পারি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওভারঅল আমাদের সিকিউরিটি ইস্যু, ল’ ইস্যু এবং ইলেকশনের জন্য যে প্রস্তুতি, ফেয়ার করার জন্য যেসব অ্যারেজমেন্ট, রিফর্মস আছে, সে সম্পর্কে আলোচনা হয়। আঞ্চলিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিশেষ কোনও দেশের ব্যাপারে আমাদের কথা হয়নি। আঞ্চলিক ইস্যুতে তো আমাদেরও কনসার্ন আছে। যেখানে পারস্পরিক সহযোগিতা করা সম্ভব এবং প্রয়োজন, সেখানে আমরা পারস্পরিক সহযোগিতা করার ব্যাপারে আমরা এক মত পোষণ করেছি। বাংলাদেশে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস করা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে ডা. তাহের বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের অবস্থান খুব পরিষ্কার। মানবতাবিরোধী, আমাদের কালচার -বিরোধী, আমাদের ধর্মীয় অনুশাসন- বিরোধী যদি কোনও কিছু থাকে, তাহলে অবশ্যই আমরা এটার বিরোধিতা করবো এবং আমরা বিরোধিতা করছি। যদি পজিটিভ হেল্প করার জন্য এটা এক্সপানশন হয়, তাহলে তো ইটস ওকে। এজন্য আমাদের স্ট্যান্ডকে ক্লিয়ারলি অবজারভেশনে রেখে আমরা আমাদের ভূমিকা নির্ধারণ করবো।