প্রত্যাশা ডেস্ক: নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক। এ ঘোষণার একদিন পরই এতে আগ্রহ ও সমর্থন জানিয়েছেন আমেরিকার বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ও ধনী ব্যক্তি।
ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান– এ দুই দলের বাইরে গিয়ে মাস্কের ‘আমেরিকা পার্টি’ নামের নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছেন মার্কিন বিলিয়নেয়ার ব্যবসায়ী মার্ক কিউবান এবং বিনিয়োগ ব্যাংকার ও রাজনীতিক অ্যান্থনি স্কারামুচি।
নতুন ‘আমেরিকা পার্টি’ নামের দলটি যুক্তরাষ্ট্রের ‘দুই দলের রাজনৈতিক ব্যবস্থার বাইরে গিয়ে নাগরিকদের স্বাধীনতা দেবে’ বলে মাস্কের এমন পোস্টের উত্তর ও ভবিষ্যতে নতুন দলটি নিয়ে কী কী করা যেতে পারে সে সম্পর্কে কিছু পরামর্শও দিয়েছেন কিউবান ও স্কারামুচি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স পোস্টে দেওয়া মাস্কের নতুন দলের ঘোষণায় ইমোজি দিয়ে খুশি প্রকাশ করেছেন কিউবান। এরপর তিনি বলেছেন, ‘সেন্টার ফর কম্পিটিটিভ ডেমোক্রেসি’ নামের এক সংগঠনের সঙ্গে কাজ করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনে নতুন বিভিন্ন দলের অংশগ্রহণে সাহায্য করে সংগঠনটি। ফলে মাস্কের নতুন দলটি যেন নির্বাচনে অংশ নিতে পারে সে বিষয়ে তার সাহায্য করার সুযোগ রয়েছে।
এদিকে, স্কারামুচিও মাস্কের ওই পোস্টে বলেছেন, মাস্কের সঙ্গে ‘দেখা করে বিস্তারিত আলোচনা করতে চান’ তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে অর্থাৎ ২০১৭ সালে কেবল ১০ দিনের জন্য হোয়াইট হাউসের জনসংযোগ পরিচালক ছিলেন স্কারামুচি। এরপর বরখাস্ত হন তিনি। একসময় ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগীও ছিলেন তিনি। পরে ট্রাম্পের বিপরীতে গিয়ে জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিস’কে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সমর্থন করেছেন স্কারামুচি।
কিউবানও একসময় কমলা হ্যারিস’কে সমর্থন করেছিলেন। তাকে ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর সম্ভাব্য ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবেও ভাবা হয়েছিল বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট।
ট্রাম্পের সঙ্গে মাস্কের সম্পর্কের অবনতি ও নতুন রাজনৈতিক দল গঠন নিয়ে এখনও অনেক প্রশ্ন থাকলেও এক্স পোস্টে মার্কিন বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি বা ইভি নির্মাতা টেসলা প্রধান ইঙ্গিত দিয়েছেন, ছোট পরিসরে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
আনুষ্ঠানিকভাবে ‘আমেরিকা পার্টি’ গঠনের জন্য মাস্ক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছেন কি না সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ‘ফেডারেল ইলেকশন কমিশন’ বা এফইসি-এর সর্বশেষ নথিপত্রে মাস্কের এই নতুন দলের উল্লেখ থাকলেও এ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কারণ এসব নথির সঙ্গে আরো কিছু রসিকতা বা ব্যঙ্গ করে তৈরি দলের নামও রয়েছে। যেমন– ‘আমেরিকান মিম পার্টি’, ‘ডিডি পার্টি’ ও ‘ডগ পার্টি’।
এদিকে, একসময়ের ঘনিষ্ঠ সহচর মাস্কের নতুন পার্টি গঠনের ঘোষণার একদিন পর এ উদ্যোগকে ‘হাস্যকর’ অ্যাখ্যা দিয়ে বিশ্বের শীর্ষ এই ধনীর উদ্দেশ্যে সমালোচনার নতুন তীর ছুড়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।