ঢাকা ০১:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

মারা গেছেন ২৪ লাখ শিশুর জীবন রক্ষাকারী জেমস

  • আপডেট সময় : ০৫:১৫:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
  • ৬৬ বার পড়া হয়েছে

নারী ও শিশু ডেস্ক: কয়েক দশক ধরে নিয়মিত রক্ত ও প্লাজমা দানের মাধ্যমে ২০ লাখেরও বেশি শিশুর জীবন বাঁচিয়েছেন। বিশ্বের অন্যতম ফলপ্রসূ রক্তদাতা অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক জেমস হ্যারিসন ৮৮ বছর বয়সে মারা গেছেন।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, মহৎ কাজের দৃষ্টান্ত স্থাপন করা এই ব্যক্তি অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি নার্সিং হোমে ঘুমন্ত অবস্থায় মারা যান।
অস্ট্রেলিয়ায় ‘সোনালি হাতের মানুষ’ হিসাবে পরিচিত হ্যারিসনের রক্তে একটি বিরল অ্যান্টিবডি ছিল; যা ‘অ্যান্টি-ডি’ নামে পরিচিত। এটিকে ‘লাইফব্লাড’ও বলা হয়; যা গর্ভবতীদের দেওয়া ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
অস্ট্রেলিয়ান রেড ক্রস ব্লাড সার্ভিস হ্যারিসনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছে, ১৪ বছর বয়সে বুকে বড় ধরনের অস্ত্রোপচারের সময় রক্ত সঞ্চালনের পর তিনি ‘দাতা হওয়ার অঙ্গীকার’ করেছিলেন।

জেমস ১৮ বছর বয়সে রক্তের প্লাজমা দান শুরু করেন। এমনকি ৮১ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি দুই সপ্তাহে অন্তর এই দান অব্যাহত রাখেন। ২০০৫ সালে তিনি সর্বাধিক রক্তের প্লাজমা দানের বিশ্ব রেকর্ড করেন। তবে ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের এক ব্যক্তি তার রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন।
হ্যারিসনের মেয়ে ট্রেসি মেলোশিপ বলেন, কোনো খরচ বা কষ্ট ছাড়াই এতগুলো মানুষের জীবন বাঁচিয়ে দিতে পেরে আমার বাবা গর্বিত।

অ্যান্টি-ডি টিকাগুলো অনাগত শিশুদের ভ্রƒণ এবং নবজাতকের হিমোলাইটিক ডিজিজ বা এইচডিএফএন নামে একটি মারাত্মক রক্ত ব্যাধি থেকে রক্ষা করে। গর্ভাবস্থায় এই অবস্থাটি ঘটে যখন মায়ের লাল রক্তকণিকা তাদের ক্রমবর্ধমান শিশুর সঙ্গে বেমানান হয়। মায়ের ইমিউন সিস্টেম তখন শিশুর রক্ত কোষকে হুমকি হিসাবে দেখে এবং তাদের আক্রমণ করার জন্য অ্যান্টিবডি তৈরি করে। এটি শিশুর মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে, রক্তাল্পতা, হার্ট ফেইলিওর বা এমনকি মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
হ্যারিসনের রক্ত কীভাবে ‘অ্যান্টি-ডি’ সমৃদ্ধ হয়ে উঠল তা স্পষ্ট নয়। তবে কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি ১৪ বছর বয়সে প্রাপ্ত রক্ত সঞ্চালনের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয় হতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ায় ২০০ জনেরও কম ‘অ্যান্টি-ডি’ দাতা রয়েছে। তারা প্রতি বছর আনুমানিক ৪৫ হাজার মা ও তাদের শিশুদের সহায়তা করে। অস্ট্রেলিয়ান রেড ক্রস ব্লাড সার্ভিস অনুসারে, এটি ‘লাইফব্লাড’ নামেও পরিচিত।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নতুন আপদ ‘মব সন্ত্রাস’, আতঙ্কে সারা দেশ

মারা গেছেন ২৪ লাখ শিশুর জীবন রক্ষাকারী জেমস

আপডেট সময় : ০৫:১৫:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

নারী ও শিশু ডেস্ক: কয়েক দশক ধরে নিয়মিত রক্ত ও প্লাজমা দানের মাধ্যমে ২০ লাখেরও বেশি শিশুর জীবন বাঁচিয়েছেন। বিশ্বের অন্যতম ফলপ্রসূ রক্তদাতা অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক জেমস হ্যারিসন ৮৮ বছর বয়সে মারা গেছেন।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, মহৎ কাজের দৃষ্টান্ত স্থাপন করা এই ব্যক্তি অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি নার্সিং হোমে ঘুমন্ত অবস্থায় মারা যান।
অস্ট্রেলিয়ায় ‘সোনালি হাতের মানুষ’ হিসাবে পরিচিত হ্যারিসনের রক্তে একটি বিরল অ্যান্টিবডি ছিল; যা ‘অ্যান্টি-ডি’ নামে পরিচিত। এটিকে ‘লাইফব্লাড’ও বলা হয়; যা গর্ভবতীদের দেওয়া ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
অস্ট্রেলিয়ান রেড ক্রস ব্লাড সার্ভিস হ্যারিসনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছে, ১৪ বছর বয়সে বুকে বড় ধরনের অস্ত্রোপচারের সময় রক্ত সঞ্চালনের পর তিনি ‘দাতা হওয়ার অঙ্গীকার’ করেছিলেন।

জেমস ১৮ বছর বয়সে রক্তের প্লাজমা দান শুরু করেন। এমনকি ৮১ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি দুই সপ্তাহে অন্তর এই দান অব্যাহত রাখেন। ২০০৫ সালে তিনি সর্বাধিক রক্তের প্লাজমা দানের বিশ্ব রেকর্ড করেন। তবে ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের এক ব্যক্তি তার রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন।
হ্যারিসনের মেয়ে ট্রেসি মেলোশিপ বলেন, কোনো খরচ বা কষ্ট ছাড়াই এতগুলো মানুষের জীবন বাঁচিয়ে দিতে পেরে আমার বাবা গর্বিত।

অ্যান্টি-ডি টিকাগুলো অনাগত শিশুদের ভ্রƒণ এবং নবজাতকের হিমোলাইটিক ডিজিজ বা এইচডিএফএন নামে একটি মারাত্মক রক্ত ব্যাধি থেকে রক্ষা করে। গর্ভাবস্থায় এই অবস্থাটি ঘটে যখন মায়ের লাল রক্তকণিকা তাদের ক্রমবর্ধমান শিশুর সঙ্গে বেমানান হয়। মায়ের ইমিউন সিস্টেম তখন শিশুর রক্ত কোষকে হুমকি হিসাবে দেখে এবং তাদের আক্রমণ করার জন্য অ্যান্টিবডি তৈরি করে। এটি শিশুর মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে, রক্তাল্পতা, হার্ট ফেইলিওর বা এমনকি মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
হ্যারিসনের রক্ত কীভাবে ‘অ্যান্টি-ডি’ সমৃদ্ধ হয়ে উঠল তা স্পষ্ট নয়। তবে কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি ১৪ বছর বয়সে প্রাপ্ত রক্ত সঞ্চালনের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয় হতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ায় ২০০ জনেরও কম ‘অ্যান্টি-ডি’ দাতা রয়েছে। তারা প্রতি বছর আনুমানিক ৪৫ হাজার মা ও তাদের শিশুদের সহায়তা করে। অস্ট্রেলিয়ান রেড ক্রস ব্লাড সার্ভিস অনুসারে, এটি ‘লাইফব্লাড’ নামেও পরিচিত।