বিনোদন ডেস্ক: ভারতের নাট্যনির্মাতা রতন থিয়াম মারা গেছেন। বুধবার (২৩ জুলাই) বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম। তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।
ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশটির উত্তর-পূর্বের রাজ্য মণিপুরের কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে গোটা ভারতে ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন রতন। পুরোনো নাটককে আধুনিকতার মোড়কে দর্শকদের সামনে তুলে ধরতেন তিনি।
কর্মজীবনে ‘চক্রব্যূহ’ ও ‘ঋতুসংহারম’-এর মতো জনপ্রিয় নাট্যনির্মাণ করেছেন বরণ্য এ নির্মাতা। সংস্কৃতি অঙ্গনে অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৮৯ সালে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মশ্রী লাভ করেন।
পদ্মশ্রী পদক প্রাপ্ত নাট্যকারের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ভারতের শোবিজ অঙ্গনে। রতন থিয়াম মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মণিপুরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নংথমবাম বীরেন সিংহ।
সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সমাজমাধ্যমে এক শোকবার্তায় লিখেছেন, ‘রতম থিয়ামের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকপ্রকাশ করছি। তিনি ভারতীয় নাট্যজগতের অন্যতম নক্ষত্র ছিলেন এবং মণিপুরের অমূল্য সম্পদ। শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি তার ভালোবাসা, নিষ্ঠা এবং মণিপুরি শিল্পের প্রতি তার টান শুধুই বিশ্বের নাটককে সমৃদ্ধ করেনি। আমাদের পরিচিতিকেও সমৃদ্ধ করেছে।’
কর্মজীবনে সংগীত নাটক একাডেমির সহ-সভাপতি ছিলেন রতন। তারপরে ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামায় চেয়ারপারসন পদে নিযুক্ত ছিলেন।
কিংবদন্তি রকসংগীতশিল্পী জন মাইকেল অসবোর্ন
নেমে এলো বিশ্ব সংগীত অঙ্গনে শোকের ছায়া। মারা গেলেন কিংবদন্তি রকসংগীতশিল্পী জন মাইকেল অসবোর্ন। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাতে যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। অভিনেতার মৃত্যর সংবাদ নিশ্চিত করেছে তার পরিবার।
অসবোর্নের পরিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘তার মৃত্যুর খবর জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। তবে অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাতে চাই যে, আমাদের প্রিয় ওজি অসবার্ন আজ (মঙ্গলবার) সকালে মারা গেছেন। মৃত্যুর সময় তার পরিবারের সদস্যরা পাশেই ছিলেন।’ তবে বিবৃতিতে তার মৃত্যুর কারণ জানায়নি পরিবার। গত কয়েক বছর ধরেই বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। ২০১৯ সালে পারকিনসন রোগ আক্রান্ত হন অভিনেতা।
জানা গেছে, বিখ্যাত ব্যান্ড ‘ব্ল্যাক সাবাথ’-এর প্রধান সংগীতশিল্পী ছিলেন অসবোর্ন। এই ব্যান্ড থেকে ‘আয়রন ম্যান’ ও ‘প্যারানয়েড’-এর মতো জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন তার অনুরাগীদের।
১৯৬০-এর দশকের শেষ দিকে গিটারিস্ট টনি ইয়োমি, বেসিস্ট গিজার বাটলার ও ড্রামার বিল ওয়ার্ডের সঙ্গে ব্যান্ড ‘ব্ল্যাক সাবাথ’ গড়ে তোলেন ওসবার্ন। ১৯৭০ সালে ব্যান্ডটির ব্ল্যাক সাবাথ মুক্তি পায়। তারপর ধীরে ধীরে আসে ‘প্যারানয়েড’, ‘মাস্টার অব রিয়েলিটি’র মতো অনেক প্ল্যাটিনাম হিট।
১৯৭৮ সালে ব্যান্ড থেকে বাদ পড়ে একক ক্যারিয়ার শুরু করেন ওসবার্ন। ১৯৮০ সালে মুক্তি পায় ‘ব্লিজার্ড অব অজ’ নামের অ্যালবাম। এ অ্যালবাম থেকেই প্রকাশ পায় বিখ্যাত গান ‘ক্রেজি ট্রেইন।’ পরের বছর প্রকাশ হয় ‘ডায়েরি অব আ ম্যাডম্যান’; যা ৫০ লাখ কপি বিক্রি হয়। মৃত্যুর তিন সপ্তাহ আগেও নিজ শহর বামিংহাম কনসার্টে গান পরিবেশনা করেন।
বলে রাখা ভালো, ১৯৪৮ সালের ৩ ডিসেম্বর এ্যাস্টন, বামিংহাম, ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন জন মাইকেল অসবোর্ন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে স্কুল ছাড়েন। কর্মজীবনে স্বল্প বেতনে কয়েকটি চাকরি করেন। সংগীত ক্যারিয়ার শুরুর আগে চুরির অভিযোগে কিছুদিন কারাভোগও করেছেন তিনি।
আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ