ঢাকা ০২:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

মামলা করতে লাগবে বাদীর জাতীয় পরিচয়পত্র: হাইকোর্ট

  • আপডেট সময় : ১২:৫২:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুন ২০২১
  • ৭৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : এখন থেকে যে কোনো বিষয়ে মামলা করতে হলে বাদীর জাতীয় পরিচয়পত্র অবশ্যই দাখিল করতে হবে মর্মে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে একরামুল আহসান কাঞ্চন নামে একজনের বিরুদ্ধে ৪৯টি মামলার বিষয়ে অনুসন্ধান করতে বলা হয়েছে।
গতকাল সোমবার এ বিষয়ে এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। ভুক্তভোগী একরামুল আহসান কাঞ্চনের দায়ের করা রিট আবেদনের শুনানি করে হাইকোর্ট এ আদেশ দিল। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এমদাদুল হক কাঞ্চন। এর আগে গত ৮ জুন হত্যা, ধর্ষণ, চুরি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজিসহ প্রায় অর্ধশত মামলায় আট বছর জেল খাটার পর একরামুল আহসান কাঞ্চন তার মামলার বাদী খুঁজতে ও এসব মামলার বিষয়ে তদন্ত করতে নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন। একরামের অভিযোগ, বাদীরা ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করায় তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এসব বাদীর খোঁজ পেতে সিআইডির প্রতি নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন তিনি।
রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজিপি, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক (এসবি), অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক (সিআইডি), মহাপরিচালক র‌্যাব, ঢাকার পুলিশ কমিশনারসহ ৪০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। রিটে মামলার ভুয়া বাদীদের খুঁজে বের করার নির্দেশনা চাওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত একরামুল আহসান কাঞ্চনের ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে।
তিনি জানান, একরামুল আহসান কাঞ্চন ঢাকার শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি, মানবপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৪৯টি মামলা দায়ের হয়। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ইতোমধ্যে আট বছরের বেশি সময় তিনি জেল খেটেছেন। পরে বাদী খুঁজে না পাওয়ায় তিনি ৩৫টি মামলাতে অব্যাহতি ও খালাস পেয়েছেন। এসব মামলার ১৪টিতে এখনো বিচারকার্য চলছে, যেগুলোতে জামিনে আছেন তিনি। সর্বশেষ তিনি ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মানবপাচারের একটি মামলায় জামিন পেয়ে বাইরে আছেন। রিটকারী আইনজীবী এমাদুল হক বসির ঢাকাটাইমসকে বলেন, এভাবে গায়েবি মামলা দিয়ে হয়রানি করায় কাঞ্চনের মৌলিক অধিকার লংঘিত হয়েছে। রিটটি মঙ্গলবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হতে পারে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী একরামুল আহসান কাঞ্চন বলেন, হত্যা, ধর্ষণ, চুরি- ছিনতাই-চাঁদাবাজি ও মানবপাচারের মতো ভয়ংকর অপরাধের অভিযোগে আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এমন কোনো অভিযোগ নেই, আমার উপর প্রয়োগ করা হয়নি। কিন্তু এখন পর‌্যন্ত এসব মামলার বাদীদের খুঁজে পাইনি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মামলা করতে লাগবে বাদীর জাতীয় পরিচয়পত্র: হাইকোর্ট

আপডেট সময় : ১২:৫২:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুন ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : এখন থেকে যে কোনো বিষয়ে মামলা করতে হলে বাদীর জাতীয় পরিচয়পত্র অবশ্যই দাখিল করতে হবে মর্মে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে একরামুল আহসান কাঞ্চন নামে একজনের বিরুদ্ধে ৪৯টি মামলার বিষয়ে অনুসন্ধান করতে বলা হয়েছে।
গতকাল সোমবার এ বিষয়ে এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। ভুক্তভোগী একরামুল আহসান কাঞ্চনের দায়ের করা রিট আবেদনের শুনানি করে হাইকোর্ট এ আদেশ দিল। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এমদাদুল হক কাঞ্চন। এর আগে গত ৮ জুন হত্যা, ধর্ষণ, চুরি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজিসহ প্রায় অর্ধশত মামলায় আট বছর জেল খাটার পর একরামুল আহসান কাঞ্চন তার মামলার বাদী খুঁজতে ও এসব মামলার বিষয়ে তদন্ত করতে নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন। একরামের অভিযোগ, বাদীরা ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করায় তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এসব বাদীর খোঁজ পেতে সিআইডির প্রতি নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন তিনি।
রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজিপি, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক (এসবি), অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক (সিআইডি), মহাপরিচালক র‌্যাব, ঢাকার পুলিশ কমিশনারসহ ৪০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। রিটে মামলার ভুয়া বাদীদের খুঁজে বের করার নির্দেশনা চাওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত একরামুল আহসান কাঞ্চনের ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে।
তিনি জানান, একরামুল আহসান কাঞ্চন ঢাকার শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি, মানবপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৪৯টি মামলা দায়ের হয়। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ইতোমধ্যে আট বছরের বেশি সময় তিনি জেল খেটেছেন। পরে বাদী খুঁজে না পাওয়ায় তিনি ৩৫টি মামলাতে অব্যাহতি ও খালাস পেয়েছেন। এসব মামলার ১৪টিতে এখনো বিচারকার্য চলছে, যেগুলোতে জামিনে আছেন তিনি। সর্বশেষ তিনি ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মানবপাচারের একটি মামলায় জামিন পেয়ে বাইরে আছেন। রিটকারী আইনজীবী এমাদুল হক বসির ঢাকাটাইমসকে বলেন, এভাবে গায়েবি মামলা দিয়ে হয়রানি করায় কাঞ্চনের মৌলিক অধিকার লংঘিত হয়েছে। রিটটি মঙ্গলবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হতে পারে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী একরামুল আহসান কাঞ্চন বলেন, হত্যা, ধর্ষণ, চুরি- ছিনতাই-চাঁদাবাজি ও মানবপাচারের মতো ভয়ংকর অপরাধের অভিযোগে আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এমন কোনো অভিযোগ নেই, আমার উপর প্রয়োগ করা হয়নি। কিন্তু এখন পর‌্যন্ত এসব মামলার বাদীদের খুঁজে পাইনি।