ঢাকা ০৩:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫

মামলামুক্ত হয়ে মাথা উঁচু করেই বিদায় নিলেন খালেদা জিয়া

  • আপডেট সময় : ০২:২৩:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ২৮ বার পড়া হয়েছে

ফেনী সংবাদদাতা: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা হলফনামার তথ্যমতে ওয়ান-ইলেভেনের পর থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মোট ৩৫টি মামলা করা হয়। তার মধ্যে ২২টি মামলায় খালাস ও ১৩টি মামলায় অব্যাহতি পেয়েছিলেন তিনি।

বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) ফেনী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

হলফনামা বিশ্লেষণে দেখা যায়, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোর মধ্যে ২০০৭ সালে ২টি, ২০১০ সালে ১টি, ২০১৩ সালে ১টি, ২০১৪ সালে ২টি, ২০১৫ সালে ১৬টি, ২০১৬ সালে ১০টি, ২০১৭ সালে ২টি, ২০২৪ সালে ১টি মামলা দায়ের করা হয়। ২০২৪ ও ২০২৫ সালে সবকয়টি মামলা নিষ্পত্তি হয়। রাজধানী ঢাকা ছাড়াও কুমিল্লা, খুলনা, নড়াইল ও পঞ্চগড়ে আওয়ামী লীগ সরকারের নেতাকর্মীরা বাদী হয়ে এসব মামলা করেন। পরে সব মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত করা হয়েছিল বলে দাবি করেন তার আইনজীবীরা।

হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, মামলাগুলোতে দুর্নীতি, মানহানি, রাষ্ট্রদ্রোহ, হত্যা, নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, বোমা হামলা, মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে কটাক্ষ, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, ‘মিথ্যা’ জন্মদিন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছিল। এসব মামলার মধ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বাকি মামলাগুলোর বিচার চলমান ছিল। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজার রায় ঘোষণার পর ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঠানো হয় কারাগারে। সাজা ভোগ করেন দুই বছর এক মাস ১৬ দিন।

এরপর করোনাকালে আওয়ামী লীগ সরকার তার সাজার কার্যকারিতা স্থগিত করে। শর্তসাপেক্ষে কারামুক্তি দিয়ে বাসায় থাকার সুযোগ দেওয়া হয় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে। তবে বয়সজনিত কারণে শারীরিক নানা জটিলতায় আক্রান্ত হলেও বার বার আবেদনের পরও তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হয়নি। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এসব রাজনৈতিক মামলা থেকে একে একে খালাস পেতে শুরু করেন তিনি।

এ ব্যাপারে ফেনী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার বলেন, শেখ হাসিনা ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে বিভিন্ন মামলা দিয়ে ঘায়েল করার চেষ্টা করেছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা ছিল রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক। তিনি ঢাকায় অবস্থান করলেও চৌদ্দগ্রামে গাড়িতে হামলার মামলা দিয়েছেন। মিথ্যা মামলায় তিনি দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন। ওই সময় নানা শারীরিক অসুস্থতা ভুগলেও তাকে চিকিৎসা নিতে দেওয়া হয়নি।

এসি/আপ্র/৩১/১২/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

মামলামুক্ত হয়ে মাথা উঁচু করেই বিদায় নিলেন খালেদা জিয়া

আপডেট সময় : ০২:২৩:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫

ফেনী সংবাদদাতা: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা হলফনামার তথ্যমতে ওয়ান-ইলেভেনের পর থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মোট ৩৫টি মামলা করা হয়। তার মধ্যে ২২টি মামলায় খালাস ও ১৩টি মামলায় অব্যাহতি পেয়েছিলেন তিনি।

বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) ফেনী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

হলফনামা বিশ্লেষণে দেখা যায়, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোর মধ্যে ২০০৭ সালে ২টি, ২০১০ সালে ১টি, ২০১৩ সালে ১টি, ২০১৪ সালে ২টি, ২০১৫ সালে ১৬টি, ২০১৬ সালে ১০টি, ২০১৭ সালে ২টি, ২০২৪ সালে ১টি মামলা দায়ের করা হয়। ২০২৪ ও ২০২৫ সালে সবকয়টি মামলা নিষ্পত্তি হয়। রাজধানী ঢাকা ছাড়াও কুমিল্লা, খুলনা, নড়াইল ও পঞ্চগড়ে আওয়ামী লীগ সরকারের নেতাকর্মীরা বাদী হয়ে এসব মামলা করেন। পরে সব মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত করা হয়েছিল বলে দাবি করেন তার আইনজীবীরা।

হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, মামলাগুলোতে দুর্নীতি, মানহানি, রাষ্ট্রদ্রোহ, হত্যা, নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, বোমা হামলা, মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে কটাক্ষ, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, ‘মিথ্যা’ জন্মদিন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছিল। এসব মামলার মধ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বাকি মামলাগুলোর বিচার চলমান ছিল। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজার রায় ঘোষণার পর ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঠানো হয় কারাগারে। সাজা ভোগ করেন দুই বছর এক মাস ১৬ দিন।

এরপর করোনাকালে আওয়ামী লীগ সরকার তার সাজার কার্যকারিতা স্থগিত করে। শর্তসাপেক্ষে কারামুক্তি দিয়ে বাসায় থাকার সুযোগ দেওয়া হয় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে। তবে বয়সজনিত কারণে শারীরিক নানা জটিলতায় আক্রান্ত হলেও বার বার আবেদনের পরও তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হয়নি। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এসব রাজনৈতিক মামলা থেকে একে একে খালাস পেতে শুরু করেন তিনি।

এ ব্যাপারে ফেনী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার বলেন, শেখ হাসিনা ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে বিভিন্ন মামলা দিয়ে ঘায়েল করার চেষ্টা করেছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা ছিল রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক। তিনি ঢাকায় অবস্থান করলেও চৌদ্দগ্রামে গাড়িতে হামলার মামলা দিয়েছেন। মিথ্যা মামলায় তিনি দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন। ওই সময় নানা শারীরিক অসুস্থতা ভুগলেও তাকে চিকিৎসা নিতে দেওয়া হয়নি।

এসি/আপ্র/৩১/১২/২০২৫