ঢাকা ০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

মানুষ কষ্ট করছে এটা ঠিক, প্রধানমন্ত্রীর ঘুম নেই : ওবায়দুল কাদের

  • আপডেট সময় : ০২:৫৯:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২২
  • ৭৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক সংকটে বিভিন্ন দেশের বিরোধী দল ও সরকার একসঙ্গে কাজ করলেও বিএনপি মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে উল্টো পথে হাঁটছে মন্তব্য করে আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কস্ট অফ লিভিং যেভাবে বেড়ে গেছে; মানুষ কষ্ট করছে এটা ঠিক। প্রধানমন্ত্রীর আজকে ঘুম নেই। তিনি এই সংকট উত্তরণের চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
গতকাল শনিবার আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহিলা শ্রমিক লীগের শোক দিবসের আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। এছাড়া ক্ষমতার ‘দাপট’ না দেখিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের কথাবার্তায় সতর্ক হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের আমি বলবো, প্রত্যেককে কথাবার্তায়, আচার আচরণে দায়িত্বশীল হতে হবে। এই সময়ে দায়িত্বজ্ঞানহীন কোনো কথা বলা সমীচীন নয়, এ সময় ক্ষমতার দাপট দেখানো সমীচীন নয়। ঠান্ডা মাথায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। মানুষের জন্য কাজ করতে হবে, এটাই আজকে আমাদের সবচেয়ে বড় মেসেজ।”
ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহিলা শ্রমিক লীগের শোক দিবসের আলোচনা সভায় দেশে জীবনযাত্রার খরচ বেড়ে যাওয়ার পেছনে আন্তর্জাতিক সঙ্কট প্রভাব রেখেছে, তা জনগণের সামনে তুলে ধরার আহ্বানও জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, “সারা বিশ্বে সঙ্কটে, একটা নেতিবাচক প্রভাব আজকে বাংলাদেশ মোকাবেলা করছে। আমরা জানি, অনেক মানুষের কষ্ট হচ্ছে। কস্ট অব লিভিং যেভাবে বেড়ে গেছে, মানুষ কষ্ট করছে এটা ঠিক। কিন্তু আমাদের সামনে কোনো উপায় ছিল না। সারা দুনিয়ায় যেভাবে মূল্যূ বৃদ্ধি জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধি।”
এ সময় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পরিবেশগত সমস্যার কথা তুলে ধরে কাদের বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, আজকে রাইন নদী শুকিয়ে যাচ্ছে, সেখানে জাহাজ চলতে পারছে না। ইতালির ১৫ লেকের অধিকাংশ শুকিয়ে গেছে। ফ্রান্সের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে এখনও আগুন জ্বলছে।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমেরিকায় মূল্য বৃদ্ধি, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, আমাদের প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানের কথার বাদ দিয়ে কেউ তো আজ আরামে নেই। বাংলাদেশের জনগণের কষ্ট হচ্ছে। চেষ্টার কোন ত্রুটি নেই। শেখ হাসিনার আজকে ঘুম নেই, আন্তরিকভাবে তিনি আপনাদের এই সংকট উত্তোরণের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। মানুষকে স্বস্তি দিতে।”
বিএনপি বরাবর ‘শত্রু’ ভাবে আওয়ামী লীগকে : বিএনপির সমালোচনা করে কাদের বলেন, “পৃথিবীর বহু দেশ আজকে সমস্যায় জর্জরিত। আর এটাকে কেন্দ্র করে ফ্রান্সের বিরোধী দল সরকার উৎখাতে নামেনি, আমেরিকার বিরোধী দল সরকার উৎখাতে নামেনিৃ এই দুনিয়ায় সঙ্কটে অনেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, আর বাংলাদেশে তারা সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছে।”
বিএনপির সমাবেশের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “তাহলে এখন স্বীকার করলেন যে পুলিশ বাধা দিচ্ছে না।” বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীকে হুঁশিয়ার করে কাদের বলেন, “বেপরোয়া ড্রাইভার এখন ফখরুল সাহেব, বেপরোয়া রাজনীতির চালক কখন যে কোথায় এক্সিডেন্ট ঘটায়!
“আগুন নিয়ে আসবেন না, বলে দিচ্ছি, সতর্করে দিচ্ছি। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আপনাদের কেউ বাধা দিচ্ছে না। কিন্তু আগুন সন্ত্রাস নিয়ে যদি নামতে চান, মোকাবেলা করতে চান, তাহলে বলব, সমুচিৎ জবাব দেওয়া হবে।”
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যাকে প্রাইম টার্গেট করে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা, এরপরও যিনি কোকোর মৃত্যুর পর বেগম জিয়ার বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন। শোকাহত মাকে সান্ত¡না দিতে। তার পরেও ঘরের দরজা বন্ধ বাইরের দরজা বন্ধ, শেখ হাসিনার মুখের উপরে। “তাহলে প্রতিপক্ষের মতো আচরণ আমরা করতে চেয়েছি? গণভবনে সংলাপ করেছি। কিন্তু তারা আমাদের শত্রুই ভেবেছে। শত্রুতাই করেছে বার বার, তারা শত্রুতা করছে।”
বঙ্গবন্ধুর হতাকা- নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের পেছনের বিশ্বাসঘাতক যে রাজনৈতিক শক্তি, সবার নাম আমরা জানি না। সবার ভূমিকা এখনও পরিষ্কার নয়। “খুনিরা যখন বঙ্গবন্ধুর বাড়ি আক্রমণ করে, তখন অনেককেই তিনি টেলিফোন করেছিলেন। তার ডাকে ছুটে এসেছিলেন শুধু কর্নেল জামিল। এই কর্নেল জামিলকেও সোবহানবাগ মসজিদের পাশে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর খুনিরা পলিয়ে গেছে কীভাবে? কে পাঠিয়েছে থাইল্যান্ড, জেনারেল জিয়াউর রহমান। খুনিদের পুরস্কৃত করেছে জিয়াউর রহমান।”
মহিলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সুরাইয়া আক্তারের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, মহিলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী রহিমা আক্তার সাথী, কার্যকরী সভাপতি সামসুন্নাহার বক্তব্য রাখেন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নতুন আপদ ‘মব সন্ত্রাস’, আতঙ্কে সারা দেশ

মানুষ কষ্ট করছে এটা ঠিক, প্রধানমন্ত্রীর ঘুম নেই : ওবায়দুল কাদের

আপডেট সময় : ০২:৫৯:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক সংকটে বিভিন্ন দেশের বিরোধী দল ও সরকার একসঙ্গে কাজ করলেও বিএনপি মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে উল্টো পথে হাঁটছে মন্তব্য করে আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কস্ট অফ লিভিং যেভাবে বেড়ে গেছে; মানুষ কষ্ট করছে এটা ঠিক। প্রধানমন্ত্রীর আজকে ঘুম নেই। তিনি এই সংকট উত্তরণের চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
গতকাল শনিবার আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহিলা শ্রমিক লীগের শোক দিবসের আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। এছাড়া ক্ষমতার ‘দাপট’ না দেখিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের কথাবার্তায় সতর্ক হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের আমি বলবো, প্রত্যেককে কথাবার্তায়, আচার আচরণে দায়িত্বশীল হতে হবে। এই সময়ে দায়িত্বজ্ঞানহীন কোনো কথা বলা সমীচীন নয়, এ সময় ক্ষমতার দাপট দেখানো সমীচীন নয়। ঠান্ডা মাথায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। মানুষের জন্য কাজ করতে হবে, এটাই আজকে আমাদের সবচেয়ে বড় মেসেজ।”
ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহিলা শ্রমিক লীগের শোক দিবসের আলোচনা সভায় দেশে জীবনযাত্রার খরচ বেড়ে যাওয়ার পেছনে আন্তর্জাতিক সঙ্কট প্রভাব রেখেছে, তা জনগণের সামনে তুলে ধরার আহ্বানও জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, “সারা বিশ্বে সঙ্কটে, একটা নেতিবাচক প্রভাব আজকে বাংলাদেশ মোকাবেলা করছে। আমরা জানি, অনেক মানুষের কষ্ট হচ্ছে। কস্ট অব লিভিং যেভাবে বেড়ে গেছে, মানুষ কষ্ট করছে এটা ঠিক। কিন্তু আমাদের সামনে কোনো উপায় ছিল না। সারা দুনিয়ায় যেভাবে মূল্যূ বৃদ্ধি জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধি।”
এ সময় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পরিবেশগত সমস্যার কথা তুলে ধরে কাদের বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, আজকে রাইন নদী শুকিয়ে যাচ্ছে, সেখানে জাহাজ চলতে পারছে না। ইতালির ১৫ লেকের অধিকাংশ শুকিয়ে গেছে। ফ্রান্সের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে এখনও আগুন জ্বলছে।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমেরিকায় মূল্য বৃদ্ধি, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, আমাদের প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানের কথার বাদ দিয়ে কেউ তো আজ আরামে নেই। বাংলাদেশের জনগণের কষ্ট হচ্ছে। চেষ্টার কোন ত্রুটি নেই। শেখ হাসিনার আজকে ঘুম নেই, আন্তরিকভাবে তিনি আপনাদের এই সংকট উত্তোরণের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। মানুষকে স্বস্তি দিতে।”
বিএনপি বরাবর ‘শত্রু’ ভাবে আওয়ামী লীগকে : বিএনপির সমালোচনা করে কাদের বলেন, “পৃথিবীর বহু দেশ আজকে সমস্যায় জর্জরিত। আর এটাকে কেন্দ্র করে ফ্রান্সের বিরোধী দল সরকার উৎখাতে নামেনি, আমেরিকার বিরোধী দল সরকার উৎখাতে নামেনিৃ এই দুনিয়ায় সঙ্কটে অনেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, আর বাংলাদেশে তারা সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছে।”
বিএনপির সমাবেশের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “তাহলে এখন স্বীকার করলেন যে পুলিশ বাধা দিচ্ছে না।” বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীকে হুঁশিয়ার করে কাদের বলেন, “বেপরোয়া ড্রাইভার এখন ফখরুল সাহেব, বেপরোয়া রাজনীতির চালক কখন যে কোথায় এক্সিডেন্ট ঘটায়!
“আগুন নিয়ে আসবেন না, বলে দিচ্ছি, সতর্করে দিচ্ছি। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আপনাদের কেউ বাধা দিচ্ছে না। কিন্তু আগুন সন্ত্রাস নিয়ে যদি নামতে চান, মোকাবেলা করতে চান, তাহলে বলব, সমুচিৎ জবাব দেওয়া হবে।”
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যাকে প্রাইম টার্গেট করে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা, এরপরও যিনি কোকোর মৃত্যুর পর বেগম জিয়ার বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন। শোকাহত মাকে সান্ত¡না দিতে। তার পরেও ঘরের দরজা বন্ধ বাইরের দরজা বন্ধ, শেখ হাসিনার মুখের উপরে। “তাহলে প্রতিপক্ষের মতো আচরণ আমরা করতে চেয়েছি? গণভবনে সংলাপ করেছি। কিন্তু তারা আমাদের শত্রুই ভেবেছে। শত্রুতাই করেছে বার বার, তারা শত্রুতা করছে।”
বঙ্গবন্ধুর হতাকা- নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের পেছনের বিশ্বাসঘাতক যে রাজনৈতিক শক্তি, সবার নাম আমরা জানি না। সবার ভূমিকা এখনও পরিষ্কার নয়। “খুনিরা যখন বঙ্গবন্ধুর বাড়ি আক্রমণ করে, তখন অনেককেই তিনি টেলিফোন করেছিলেন। তার ডাকে ছুটে এসেছিলেন শুধু কর্নেল জামিল। এই কর্নেল জামিলকেও সোবহানবাগ মসজিদের পাশে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর খুনিরা পলিয়ে গেছে কীভাবে? কে পাঠিয়েছে থাইল্যান্ড, জেনারেল জিয়াউর রহমান। খুনিদের পুরস্কৃত করেছে জিয়াউর রহমান।”
মহিলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সুরাইয়া আক্তারের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, মহিলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী রহিমা আক্তার সাথী, কার্যকরী সভাপতি সামসুন্নাহার বক্তব্য রাখেন।