ঢাকা ০৯:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫

মানুষের শরীরের সব রক্তনালী জোড়া দিলে পৃথিবীকে দুবার পেঁচিয়ে ফেলা সম্ভব

  • আপডেট সময় : ০৯:৪২:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ১৯ বার পড়া হয়েছে

প্রতীকী ছবি

প্রত্যাশা ডেস্ক: মানবদেহকে বলা হয় প্রকৃতির সবচেয়ে জটিল এবং নিখুঁত মেশিন। বাইরে থেকে দেখলে আমাদের শরীরকে সাধারণ মনে হলেও, এর ভেতরে লুকিয়ে আছে এক অবিশ্বাস্য নেটওয়ার্ক। আপনি কি জানেন, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের শরীরের সব রক্তনালী যদি বের করে একটার সাথে আরেকটা জোড়া দেওয়া হয়, তবে সেই লম্বা সুতো দিয়ে পৃথিবীকে একবার নয়, দু-দুবার পেঁচিয়ে ফেলা সম্ভব।
শুনতে কল্পবিজ্ঞানের মতো মনে হলেও চিকিৎসাবিজ্ঞানের হিসেবে এটি একটি প্রমাণিত সত্য। মানুষের শরীরে ধমনী, শিরা এবং উপশিরা মিলে রক্তনালীর যে বিশাল জগত রয়েছে, তার মোট দৈর্ঘ্য জানলে যে কারোরই চোখ কপালে উঠবে।

দ্য ফ্রাঙ্কলিন ইনস্টিটিউট এবং ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শরীরে রক্তনালীর মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৬০,০০০ মাইল বা ১ লক্ষ কিলোমিটার। পৃথিবীর বিষুবরেখা বা নিরক্ষরেখা বরাবর পরিধি হলো প্রায় ২৪,৯০২ মাইল বা ৪০,০৭৫ কিলোমিটার। অর্থাৎ, অংকের হিসেবে মানুষের শরীরের রক্তনালীগুলোর মোট দৈর্ঘ্য পৃথিবীর পরিধির আড়াই গুণেরও বেশি।

তাই এই নালীগুলো দিয়ে পৃথিবীকে অনায়াসেই দুবার পাক খাওয়ানো সম্ভব, এবং এরপরও প্রায় ২০,০০০ কিলোমিটার নালী অবশিষ্ট থাকবে। আমাদের শরীরের এই বিশাল দৈর্ঘ্যের সিংহভাগই দখল করে আছে অতি সূক্ষ্ম ‘কৈশিক জালিকা’ বা ক্যাপিলারিস। এগুলো এতটাই সরু যে অণুবীক্ষণ যন্ত্র ছাড়া দেখা যায় না, কিন্তু সংখ্যার দিক থেকে এগুলো কোটি কোটি, যা শরীরের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন ও পুষ্টি পৌঁছে দিতে কাজ করে।

শিশুদের ক্ষেত্রে এই দৈর্ঘ্য কিছুটা কম হয়, তবুও তা চমকে দেওয়ার মতো। একটি শিশুর শরীরের রক্তনালীগুলো জোড়া দিলে তা প্রায় ৬০,০০০ মাইল বা ৯৬,০০০ কিলোমিটারের বেশি হতে পারে।

রক্তনালীর এই বিস্ময়কর দৈর্ঘ্য প্রমাণ করে যে, আমাদের হৃদপিণ্ড কতটা শক্তিশালী পাম্প হিসেবে কাজ করে, কারণ তাকে প্রতিদিন এই বিশাল পথে রক্ত সঞ্চালন সচল রাখতে হয়। প্রকৃতির এই নিপুণ বিন্যাস আমাদের শরীরকে সচল ও সুস্থ রাখতে প্রতিটি মুহূর্তে নীরবে কাজ করে যাচ্ছে।

সূত্র: হেলথ লাইন, সিকে-১২

ওআ/আপ্র/২/১২/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে তিন বাহিনী প্রধান

মানুষের শরীরের সব রক্তনালী জোড়া দিলে পৃথিবীকে দুবার পেঁচিয়ে ফেলা সম্ভব

আপডেট সময় : ০৯:৪২:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: মানবদেহকে বলা হয় প্রকৃতির সবচেয়ে জটিল এবং নিখুঁত মেশিন। বাইরে থেকে দেখলে আমাদের শরীরকে সাধারণ মনে হলেও, এর ভেতরে লুকিয়ে আছে এক অবিশ্বাস্য নেটওয়ার্ক। আপনি কি জানেন, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের শরীরের সব রক্তনালী যদি বের করে একটার সাথে আরেকটা জোড়া দেওয়া হয়, তবে সেই লম্বা সুতো দিয়ে পৃথিবীকে একবার নয়, দু-দুবার পেঁচিয়ে ফেলা সম্ভব।
শুনতে কল্পবিজ্ঞানের মতো মনে হলেও চিকিৎসাবিজ্ঞানের হিসেবে এটি একটি প্রমাণিত সত্য। মানুষের শরীরে ধমনী, শিরা এবং উপশিরা মিলে রক্তনালীর যে বিশাল জগত রয়েছে, তার মোট দৈর্ঘ্য জানলে যে কারোরই চোখ কপালে উঠবে।

দ্য ফ্রাঙ্কলিন ইনস্টিটিউট এবং ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শরীরে রক্তনালীর মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৬০,০০০ মাইল বা ১ লক্ষ কিলোমিটার। পৃথিবীর বিষুবরেখা বা নিরক্ষরেখা বরাবর পরিধি হলো প্রায় ২৪,৯০২ মাইল বা ৪০,০৭৫ কিলোমিটার। অর্থাৎ, অংকের হিসেবে মানুষের শরীরের রক্তনালীগুলোর মোট দৈর্ঘ্য পৃথিবীর পরিধির আড়াই গুণেরও বেশি।

তাই এই নালীগুলো দিয়ে পৃথিবীকে অনায়াসেই দুবার পাক খাওয়ানো সম্ভব, এবং এরপরও প্রায় ২০,০০০ কিলোমিটার নালী অবশিষ্ট থাকবে। আমাদের শরীরের এই বিশাল দৈর্ঘ্যের সিংহভাগই দখল করে আছে অতি সূক্ষ্ম ‘কৈশিক জালিকা’ বা ক্যাপিলারিস। এগুলো এতটাই সরু যে অণুবীক্ষণ যন্ত্র ছাড়া দেখা যায় না, কিন্তু সংখ্যার দিক থেকে এগুলো কোটি কোটি, যা শরীরের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন ও পুষ্টি পৌঁছে দিতে কাজ করে।

শিশুদের ক্ষেত্রে এই দৈর্ঘ্য কিছুটা কম হয়, তবুও তা চমকে দেওয়ার মতো। একটি শিশুর শরীরের রক্তনালীগুলো জোড়া দিলে তা প্রায় ৬০,০০০ মাইল বা ৯৬,০০০ কিলোমিটারের বেশি হতে পারে।

রক্তনালীর এই বিস্ময়কর দৈর্ঘ্য প্রমাণ করে যে, আমাদের হৃদপিণ্ড কতটা শক্তিশালী পাম্প হিসেবে কাজ করে, কারণ তাকে প্রতিদিন এই বিশাল পথে রক্ত সঞ্চালন সচল রাখতে হয়। প্রকৃতির এই নিপুণ বিন্যাস আমাদের শরীরকে সচল ও সুস্থ রাখতে প্রতিটি মুহূর্তে নীরবে কাজ করে যাচ্ছে।

সূত্র: হেলথ লাইন, সিকে-১২

ওআ/আপ্র/২/১২/২০২৫