ঢাকা ০৩:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মানুষের মতো মাইনক্র্যাফট খেলতে শিখেছে এআই

  • আপডেট সময় : ০৯:৫২:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুন ২০২২
  • ১০৪ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : একটি নিউরাল নেটওয়ার্ককে মাইনক্র্যাফট খেলা শিখিয়েছেন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই গবেষকরা। আর এটি এখন এতো ভালো গেইম খেলছে যে মানব গেইমারদের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে এর কার্যক্ষমতা।
মাইনক্র্যাফটের ৭০ হাজার ঘণ্টার ফুটেজ দেখিয়ে নিউরাল নেটওয়ার্কটিকে গেইম খেলতে শিখিয়েছেন এআই গবেষণা সংস্থা ‘ওপেনএআই’-এর গবেষকরা। এর পাশাপাশি চুক্তিভিত্তিক গেইমারদের গেইমের ভেতরে নির্দিষ্ট কিছু জটিল কাজ সম্পন্ন করার ভিডিওর ছোট একটি ডেটাবেইজ থেকেও প্রশিক্ষণ নিয়েছে নিউরাল নেটওয়ার্কটি। এর পাশাপাশি, গেইমারদের মাউস ও কিবোর্ড ইনপুটের তথ্যও ছিল ডেটাবেইজে।
প্রশিক্ষণ শেষে এআইটি এখন গেইমের ভেতরে ‘সব ধরনের জটিল কাজ করতে সক্ষম’ বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকরেডার। গেইমের ভেতরে সাঁতার কাটা, শিকার করা, শিকার করা প্রাণীর মাংস খাওয়া, এর সবই করতে পারে এআইটি।
এমনকি ‘পিলার জাম্প’ও পারে ওই এআই। মাইনক্র্যাফট গেইমারদের মধ্যে ‘হাইস্কিল ম্যানুভার’ হিসেবে পরিচিত পিলার জাম্প। এতে লাফ দেওয়ার পর মাঝপতে নিজের পায়ের নিচে একটি পিলার বা ব্লক বসাতে হয় গেইমারকে। এর ফলে আরও ওপরে লাফ দিতে পারেন গেইমার। তবে, এআইটির সবচেয়ে বড় অর্জন সম্ভবত এর গেইমের ভেতর হীরা দিয়ে টুল বানানোর সক্ষমতা। গেইমের ভেতর এ কাজটি করতে অনেকগুলো জটিল পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হয় গেইমারকে। ওপেনএআই নিউরাল নেটওয়ার্কের এই সক্ষমতাকে একটি কম্পিউটারের জন্য ‘অভাবনীয় সাফল্য’ বলে আখ্যা দিচ্ছে।
এআই প্রযুক্তির যুগান্তকারী অগ্রগতি : টেকরেডার বলছে, নিউরাল নেটওয়ার্কটির সাফল্য এআই মডেলকে প্রশিক্ষণ দিতে ওপেনএআইয়ের নতুন কৌশল ‘ভিডিও প্রিট্রেইনিং (ভিপিটি)’ এর কার্যকারিতার প্রমাণ দিচ্ছে। ওপনএআই বলছে, সাধারণ কম্পিউটার কেন্দ্রী এআই প্রযুক্তি নির্মাণের গতি আরও বাড়াবে এই প্রশিক্ষণ কৌশল।
ভিডিও দেখিয়ে এআইকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মূল প্রতিবন্ধকতা ছিল– ভিডিও দেখে কী হচ্ছে সহজে বোঝা গেলেও, ঘটনাগুলো কীভাবে ঘটছে সেটি বোঝা সহজ নয়। ফলে, কী চাওয়া হচ্ছে বুঝলেও, কীভাবে সে কাজটি করা সম্ভব সেটি জানা থাকতো না এআইয়ের। ভিপিটিতে ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করা গেইমপ্লে ভিডিও দেখানোর পাশাপাশি কিবোর্ড কমান্ড এবং মাউসের নড়াচড়ার ডেটাও ভিডিওসহ এআইটিকে দেখে শেখার সুযোগ দেয় ওপেনএআই। এরপর আরও সূক্ষ্ম প্রশিক্ষণ দিতে নিউরাল নেটওয়ার্কটিকে আরও ছোট একটি ডেটাবেইজের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছিল গবেষণা সংস্থাটি। ওই ডেটাবেইজটি সাজানো হয়েছিল নিউরাল নেটওয়ার্কটিকে নির্দিষ্ট জটিল কিছু কাজ শেখাতে। গেইমের ভেতরে গেইমারদের গাছ কেটে টেবিল বানানোর ভিডিও দেখেছে এআইটি। ওপেনএআইয়ের গবেষকদের দাবি, ওই ছোট ছোট বিষয়গুলো শিখে আরও নির্ভরযোগ্য ও বড় অগ্রগতি হয়েছিল এআইটির। এ প্রসঙ্গে এক ব্লগ পোস্টে ওপেনএআই বলেছে, “যদিও আমরা কেবল মাইনক্র্যাফটে পরীক্ষা চালিয়েছি, গেইমটি ওপেন-এনডেড এবং গেইমারদের ব্যবহৃত দুই মূল ইন্টারফেইস– মাউস ও কিবোর্ডের ব্যবহারও এখানে খুবই সাধারণ। তাই আমরা মনে করি যে (এআইয়ের) কম্পিউটার চালানোর মতো একই ধরনের কাজের জন্যও এটি সুখবর।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মানুষের মতো মাইনক্র্যাফট খেলতে শিখেছে এআই

আপডেট সময় : ০৯:৫২:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুন ২০২২

প্রযুক্তি ডেস্ক : একটি নিউরাল নেটওয়ার্ককে মাইনক্র্যাফট খেলা শিখিয়েছেন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই গবেষকরা। আর এটি এখন এতো ভালো গেইম খেলছে যে মানব গেইমারদের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে এর কার্যক্ষমতা।
মাইনক্র্যাফটের ৭০ হাজার ঘণ্টার ফুটেজ দেখিয়ে নিউরাল নেটওয়ার্কটিকে গেইম খেলতে শিখিয়েছেন এআই গবেষণা সংস্থা ‘ওপেনএআই’-এর গবেষকরা। এর পাশাপাশি চুক্তিভিত্তিক গেইমারদের গেইমের ভেতরে নির্দিষ্ট কিছু জটিল কাজ সম্পন্ন করার ভিডিওর ছোট একটি ডেটাবেইজ থেকেও প্রশিক্ষণ নিয়েছে নিউরাল নেটওয়ার্কটি। এর পাশাপাশি, গেইমারদের মাউস ও কিবোর্ড ইনপুটের তথ্যও ছিল ডেটাবেইজে।
প্রশিক্ষণ শেষে এআইটি এখন গেইমের ভেতরে ‘সব ধরনের জটিল কাজ করতে সক্ষম’ বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকরেডার। গেইমের ভেতরে সাঁতার কাটা, শিকার করা, শিকার করা প্রাণীর মাংস খাওয়া, এর সবই করতে পারে এআইটি।
এমনকি ‘পিলার জাম্প’ও পারে ওই এআই। মাইনক্র্যাফট গেইমারদের মধ্যে ‘হাইস্কিল ম্যানুভার’ হিসেবে পরিচিত পিলার জাম্প। এতে লাফ দেওয়ার পর মাঝপতে নিজের পায়ের নিচে একটি পিলার বা ব্লক বসাতে হয় গেইমারকে। এর ফলে আরও ওপরে লাফ দিতে পারেন গেইমার। তবে, এআইটির সবচেয়ে বড় অর্জন সম্ভবত এর গেইমের ভেতর হীরা দিয়ে টুল বানানোর সক্ষমতা। গেইমের ভেতর এ কাজটি করতে অনেকগুলো জটিল পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হয় গেইমারকে। ওপেনএআই নিউরাল নেটওয়ার্কের এই সক্ষমতাকে একটি কম্পিউটারের জন্য ‘অভাবনীয় সাফল্য’ বলে আখ্যা দিচ্ছে।
এআই প্রযুক্তির যুগান্তকারী অগ্রগতি : টেকরেডার বলছে, নিউরাল নেটওয়ার্কটির সাফল্য এআই মডেলকে প্রশিক্ষণ দিতে ওপেনএআইয়ের নতুন কৌশল ‘ভিডিও প্রিট্রেইনিং (ভিপিটি)’ এর কার্যকারিতার প্রমাণ দিচ্ছে। ওপনএআই বলছে, সাধারণ কম্পিউটার কেন্দ্রী এআই প্রযুক্তি নির্মাণের গতি আরও বাড়াবে এই প্রশিক্ষণ কৌশল।
ভিডিও দেখিয়ে এআইকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মূল প্রতিবন্ধকতা ছিল– ভিডিও দেখে কী হচ্ছে সহজে বোঝা গেলেও, ঘটনাগুলো কীভাবে ঘটছে সেটি বোঝা সহজ নয়। ফলে, কী চাওয়া হচ্ছে বুঝলেও, কীভাবে সে কাজটি করা সম্ভব সেটি জানা থাকতো না এআইয়ের। ভিপিটিতে ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করা গেইমপ্লে ভিডিও দেখানোর পাশাপাশি কিবোর্ড কমান্ড এবং মাউসের নড়াচড়ার ডেটাও ভিডিওসহ এআইটিকে দেখে শেখার সুযোগ দেয় ওপেনএআই। এরপর আরও সূক্ষ্ম প্রশিক্ষণ দিতে নিউরাল নেটওয়ার্কটিকে আরও ছোট একটি ডেটাবেইজের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছিল গবেষণা সংস্থাটি। ওই ডেটাবেইজটি সাজানো হয়েছিল নিউরাল নেটওয়ার্কটিকে নির্দিষ্ট জটিল কিছু কাজ শেখাতে। গেইমের ভেতরে গেইমারদের গাছ কেটে টেবিল বানানোর ভিডিও দেখেছে এআইটি। ওপেনএআইয়ের গবেষকদের দাবি, ওই ছোট ছোট বিষয়গুলো শিখে আরও নির্ভরযোগ্য ও বড় অগ্রগতি হয়েছিল এআইটির। এ প্রসঙ্গে এক ব্লগ পোস্টে ওপেনএআই বলেছে, “যদিও আমরা কেবল মাইনক্র্যাফটে পরীক্ষা চালিয়েছি, গেইমটি ওপেন-এনডেড এবং গেইমারদের ব্যবহৃত দুই মূল ইন্টারফেইস– মাউস ও কিবোর্ডের ব্যবহারও এখানে খুবই সাধারণ। তাই আমরা মনে করি যে (এআইয়ের) কম্পিউটার চালানোর মতো একই ধরনের কাজের জন্যও এটি সুখবর।”