ঢাকা ০৭:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

মানি চেঞ্জারদের জন্যও ডলার বেচা-কেনায় সীমা নির্ধারণ

  • আপডেট সময় : ০১:২০:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ অগাস্ট ২০২২
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডলার সংকট কাটাতে ব্যাংকের মতো মানি চেঞ্জারদের বেলায়ও ডলার বেচা-কেনায় ব্যবধান (স্প্রেড) নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে ব্যাংকের সঙ্গে মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবধান হবে সবোচ্চ ১ টাকা ৫০ পয়সা। বলা হয়েছে, ব্যাংক যে দরে ক্যাশ ডলার বিক্রি করবে সেই দরকে বেঞ্চমার্ক ধরে এর চেয়ে সর্বোচ্চ দেড় টাকা বেশি দামে বিক্রি করতে পারবে মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলো। এক্ষেত্রে ব্যাংকের সঙ্গে ব্যবধান হবে সবোচ্চ ১ টাকা ৫০ পয়সা। গতকাল বুধবার খোলাবাজারে বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রয়কারী সংগঠন মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো.সিরাজুল ইসলাম বলেন, ডলার কেনাবেচায় ব্যাংকগুলো যে দরে ক্যাশ ডলার বিক্রয় করবে মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলো তার চেয়ে এক টাকা বেশি দরে কিনতে পারবে। আর সর্বোচ্চ দেড় টাকা বেশি দরে বিক্রয় করতে পারবে। এজন্য সব ব্যাংক খুব দ্রুত একটি ইউনিফর্ম রেট নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাবে বাফেদা। ডলারের বাজার নিয়ে বর্তমানে এক ধরনের চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছি। আমাদেরকে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। এর আগে, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) সাথে বৈঠক করেছি। সেখানে তাদেরকে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলো যে দরে ডলার কিনবে, তার সঙ্গে বিক্রয় মূল্যের একটি সিলিং করতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যবধান হবে সর্বোচ্চ এক টাকা। সব ব্যাংক এটি ফলো করবে বলে তারা জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, আমরা ব্যাংকগুলোতে যেমন পরিদর্শন চালিয়েছি তেমনি খোলাবাজারেও পরিদর্শন করেছি। বাজারে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নেয়া ২৩৫ টা বৈধ মানি চেঞ্জার আছে। তাদেরকে আমরা নিয়মিত তদারকি করছি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি না নিয়ে ৭’শর বেশি মানি চেঞ্জার বাজারে কাজ করছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। ইতোমধ্যে ৯ প্রতিষ্ঠানকে তারা শাট ডাউন করেছে। আরো বেশকিছু প্রতিষ্ঠান এই প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মানি চেঞ্জারদের জন্যও ডলার বেচা-কেনায় সীমা নির্ধারণ

আপডেট সময় : ০১:২০:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডলার সংকট কাটাতে ব্যাংকের মতো মানি চেঞ্জারদের বেলায়ও ডলার বেচা-কেনায় ব্যবধান (স্প্রেড) নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে ব্যাংকের সঙ্গে মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবধান হবে সবোচ্চ ১ টাকা ৫০ পয়সা। বলা হয়েছে, ব্যাংক যে দরে ক্যাশ ডলার বিক্রি করবে সেই দরকে বেঞ্চমার্ক ধরে এর চেয়ে সর্বোচ্চ দেড় টাকা বেশি দামে বিক্রি করতে পারবে মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলো। এক্ষেত্রে ব্যাংকের সঙ্গে ব্যবধান হবে সবোচ্চ ১ টাকা ৫০ পয়সা। গতকাল বুধবার খোলাবাজারে বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রয়কারী সংগঠন মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো.সিরাজুল ইসলাম বলেন, ডলার কেনাবেচায় ব্যাংকগুলো যে দরে ক্যাশ ডলার বিক্রয় করবে মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলো তার চেয়ে এক টাকা বেশি দরে কিনতে পারবে। আর সর্বোচ্চ দেড় টাকা বেশি দরে বিক্রয় করতে পারবে। এজন্য সব ব্যাংক খুব দ্রুত একটি ইউনিফর্ম রেট নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাবে বাফেদা। ডলারের বাজার নিয়ে বর্তমানে এক ধরনের চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছি। আমাদেরকে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। এর আগে, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) সাথে বৈঠক করেছি। সেখানে তাদেরকে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলো যে দরে ডলার কিনবে, তার সঙ্গে বিক্রয় মূল্যের একটি সিলিং করতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যবধান হবে সর্বোচ্চ এক টাকা। সব ব্যাংক এটি ফলো করবে বলে তারা জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, আমরা ব্যাংকগুলোতে যেমন পরিদর্শন চালিয়েছি তেমনি খোলাবাজারেও পরিদর্শন করেছি। বাজারে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নেয়া ২৩৫ টা বৈধ মানি চেঞ্জার আছে। তাদেরকে আমরা নিয়মিত তদারকি করছি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি না নিয়ে ৭’শর বেশি মানি চেঞ্জার বাজারে কাজ করছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। ইতোমধ্যে ৯ প্রতিষ্ঠানকে তারা শাট ডাউন করেছে। আরো বেশকিছু প্রতিষ্ঠান এই প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।