ঢাকা ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

মানহানি মামলায় বাসস এমডি মাহবুব মোর্শেদের জামিন

  • আপডেট সময় : ১২:৩৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • ২১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক আবদুল হাই শিকদারের করা মানহানির মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব মোর্শেদ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন ঢাকার মহানগর হাকিম জিয়া উদ্দিন। বাদীপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন মাহবুব মোর্শেদ। শুনানি শেষে ৫০০ টাকা মুচলেকায় তাকে জামিন দেন বিচারক।

ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে গত ২৩ মার্চ আবদুল হাই শিকদার এ মামলা করেন। এতে মাহবুব মোর্শেদ ছাড়াও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম এবং আসাদুজ্জামান আসাদ নামের একজনকে আসামি করা হয়।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গত ১৭ মার্চ মাহবুব মোর্শেদ ফেসবুকে একটি ‘মনগড়া কবিতা’ পোস্ট করেন। কবিতাটি কবি আবদুল হাই শিকদারের বলে পোস্টে বলা হয়। আর সেই পোস্টের ক্যাপশনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের এক কবি কীভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে অবমাননা করেছেন, তা পড়ে দেখার অনুরোধ জানাই। মন থেকে এত ঘৃণা পোষণ করার পরও এমন কবিরা বিএনপির সুবিধাভোগী হয়ে থাকতে চান।’

আসামি খায়রুল আলম গত ১৬ জানুয়ারি তার ফেসবুক আইডি থেকে একই কবিতা পোস্ট করেন এবং লেখেন, ‘শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে নিয়ে লেখা কবিতাটি তিনি (আব্দুল হাই শিকদার) এরশাদকে উপহার দিয়েছিলেন। সাইফুল আলমকে সরিয়ে এখন তিনি যুগান্তর সম্পাদক। সাংবাদিকরাই কালে কালে শক্তিশালী হয়েছে, আবারও প্রমাণিত সত্য! #জয়তু-সাংবাদিকতা’

এরপর আসাদুজ্জামান আসাদ তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘আমাদের জাতীয়তাবাদী প্রাণপ্রিয় কবি ও নেতা, বর্তমান যুগান্তর সম্পাদক জনাব আব্দুল হাই শিকদার ভাইয়ের লেখা কবিতাটি আমার মেসেঞ্জারে পেয়েছি। জাতীয়তাবাদী এক সহকর্মী এটি আমাকে দিয়েছেন। আমি কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এটি পোস্ট করলাম। কবিতাটি স্বৈরাচার এরশাদকে দেওয়া হয়েছিল।’ এরপর তিনি কবিতার একই অংশ উল্লেখ করেন, যা খায়রুল আলমের পোস্টের সঙ্গে মিলে যায়। এজাহারে বলা হয়, এসব তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, অসত্য, কাল্পনিক, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ‘মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর’ কবিতা এবং পোস্টের মাধ্যমে বাদীর সম্মানহানি করা হয়েছে।

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত ১৮ আগস্ট মাহবুব মোর্শেদকে বাসস’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। সাংবাদিকতা ক্যারিয়ারে তিনি কাজ করেছেন আজকের কাগজ, দৈনিক যায় যায় দিন, দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক সমকাল, দৈনিক কালের কণ্ঠ ও দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকায়। আর কবি আবদুল হাই শিকদার গত ১৬ জানুয়ারি দৈনিক যুগান্তর’র সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের এ উপদেষ্টা একসময় নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ছিলেন।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মানহানি মামলায় বাসস এমডি মাহবুব মোর্শেদের জামিন

আপডেট সময় : ১২:৩৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক আবদুল হাই শিকদারের করা মানহানির মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব মোর্শেদ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন ঢাকার মহানগর হাকিম জিয়া উদ্দিন। বাদীপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন মাহবুব মোর্শেদ। শুনানি শেষে ৫০০ টাকা মুচলেকায় তাকে জামিন দেন বিচারক।

ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে গত ২৩ মার্চ আবদুল হাই শিকদার এ মামলা করেন। এতে মাহবুব মোর্শেদ ছাড়াও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম এবং আসাদুজ্জামান আসাদ নামের একজনকে আসামি করা হয়।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গত ১৭ মার্চ মাহবুব মোর্শেদ ফেসবুকে একটি ‘মনগড়া কবিতা’ পোস্ট করেন। কবিতাটি কবি আবদুল হাই শিকদারের বলে পোস্টে বলা হয়। আর সেই পোস্টের ক্যাপশনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের এক কবি কীভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে অবমাননা করেছেন, তা পড়ে দেখার অনুরোধ জানাই। মন থেকে এত ঘৃণা পোষণ করার পরও এমন কবিরা বিএনপির সুবিধাভোগী হয়ে থাকতে চান।’

আসামি খায়রুল আলম গত ১৬ জানুয়ারি তার ফেসবুক আইডি থেকে একই কবিতা পোস্ট করেন এবং লেখেন, ‘শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে নিয়ে লেখা কবিতাটি তিনি (আব্দুল হাই শিকদার) এরশাদকে উপহার দিয়েছিলেন। সাইফুল আলমকে সরিয়ে এখন তিনি যুগান্তর সম্পাদক। সাংবাদিকরাই কালে কালে শক্তিশালী হয়েছে, আবারও প্রমাণিত সত্য! #জয়তু-সাংবাদিকতা’

এরপর আসাদুজ্জামান আসাদ তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘আমাদের জাতীয়তাবাদী প্রাণপ্রিয় কবি ও নেতা, বর্তমান যুগান্তর সম্পাদক জনাব আব্দুল হাই শিকদার ভাইয়ের লেখা কবিতাটি আমার মেসেঞ্জারে পেয়েছি। জাতীয়তাবাদী এক সহকর্মী এটি আমাকে দিয়েছেন। আমি কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এটি পোস্ট করলাম। কবিতাটি স্বৈরাচার এরশাদকে দেওয়া হয়েছিল।’ এরপর তিনি কবিতার একই অংশ উল্লেখ করেন, যা খায়রুল আলমের পোস্টের সঙ্গে মিলে যায়। এজাহারে বলা হয়, এসব তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, অসত্য, কাল্পনিক, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ‘মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর’ কবিতা এবং পোস্টের মাধ্যমে বাদীর সম্মানহানি করা হয়েছে।

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত ১৮ আগস্ট মাহবুব মোর্শেদকে বাসস’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। সাংবাদিকতা ক্যারিয়ারে তিনি কাজ করেছেন আজকের কাগজ, দৈনিক যায় যায় দিন, দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক সমকাল, দৈনিক কালের কণ্ঠ ও দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকায়। আর কবি আবদুল হাই শিকদার গত ১৬ জানুয়ারি দৈনিক যুগান্তর’র সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের এ উপদেষ্টা একসময় নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ছিলেন।