ঢাকা ০৪:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫

মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে তিন কোটির বেশি মানুষ

  • আপডেট সময় : ০৬:৪৫:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
  • ৬২ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: সামগ্রিক স্বাস্থ্যসেবায় মানসিক স্বাস্থ্যসেবার গুরুত্ব নিশ্চিত করা প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে নিরাপদ কাজের পাশাপাশি আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, দেশে বর্তমানে তিন কোটিরও বেশি মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রয়োজন।
কর্মক্ষেত্র ও মানসিক স্বাস্থ্যÑ এ দুটি বিষয় ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। সহযোগিতামূলক কর্ম পরিবেশ, কাজের উদ্দেশ্য ও দৃঢ়তাÑ এই বিষয়গুলো থাকলে কাজের গতি বাড়ায়। মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বিভিন্ন ঝুঁকি রয়েছে। কর্মীর বৈষম্য, খারাপ কাজের পরিস্থিতি বা সীমিত স্বায়ত্বশাসন যা মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, শুধু হতাশা এবং উদ্বেগের কারণে প্রতি বছর প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি কর্মদিবস নষ্ট হয়। কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপকে বুঝতে এবং তা মোকাবিলা করার জন্য ব্যবস্থাপকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা উচিত। এছাড়া কর্মক্ষেত্রে আমরা সুস্থ কর্ম পরিবেশ তৈরি করা, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা, পর্যাপ্ত বিরতি ও বিশ্রাম নিশ্চিত করা, অফিস সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করার চর্চা করা, মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার আয়োজন করা এবং মেন্টাল হেলথ সাপোর্ট প্রোগ্রাম চালু করার মাধ্যমে আমরা মনের যত্ন নিতে পারি।
যারা মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, রিহ্যাব সেন্টার, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেন তারা বেশি ঝুঁকিতে থাকে। এ জন্য কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার বিষয় গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে পারলে কাজের মান বাড়বে।
প্রসঙ্গত, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ সালের জরিপ বলছে, লঘু থেকে গুরুতর মাত্রার মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা প্রাপ্ত বয়স্ক ১৭ শতাংশ (নারী: ১৯ শতাংশ পুরুষ: ১৫ শতাংশ), ১৮ বছরের নিচের জনগোষ্ঠী: ১৩.৬ শতাংশ, মানসিক স্বাস্থ্য পেশাজীবীর সংখ্যা এক হাজারের নিচে (মনোচিকিৎসক, মনোবিজ্ঞানী ও অন্যান্য প্রশিক্ষিত মানসিক স্বাস্থ্য পেশাজীবী), ট্রিটমেন্ট গ্যাপ ৯০ শতাংশেরও বেশি (সব বয়সীদের মিলিয়ে)।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে তিন কোটির বেশি মানুষ

আপডেট সময় : ০৬:৪৫:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: সামগ্রিক স্বাস্থ্যসেবায় মানসিক স্বাস্থ্যসেবার গুরুত্ব নিশ্চিত করা প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে নিরাপদ কাজের পাশাপাশি আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, দেশে বর্তমানে তিন কোটিরও বেশি মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রয়োজন।
কর্মক্ষেত্র ও মানসিক স্বাস্থ্যÑ এ দুটি বিষয় ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। সহযোগিতামূলক কর্ম পরিবেশ, কাজের উদ্দেশ্য ও দৃঢ়তাÑ এই বিষয়গুলো থাকলে কাজের গতি বাড়ায়। মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বিভিন্ন ঝুঁকি রয়েছে। কর্মীর বৈষম্য, খারাপ কাজের পরিস্থিতি বা সীমিত স্বায়ত্বশাসন যা মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, শুধু হতাশা এবং উদ্বেগের কারণে প্রতি বছর প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি কর্মদিবস নষ্ট হয়। কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপকে বুঝতে এবং তা মোকাবিলা করার জন্য ব্যবস্থাপকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা উচিত। এছাড়া কর্মক্ষেত্রে আমরা সুস্থ কর্ম পরিবেশ তৈরি করা, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা, পর্যাপ্ত বিরতি ও বিশ্রাম নিশ্চিত করা, অফিস সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করার চর্চা করা, মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার আয়োজন করা এবং মেন্টাল হেলথ সাপোর্ট প্রোগ্রাম চালু করার মাধ্যমে আমরা মনের যত্ন নিতে পারি।
যারা মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, রিহ্যাব সেন্টার, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেন তারা বেশি ঝুঁকিতে থাকে। এ জন্য কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার বিষয় গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে পারলে কাজের মান বাড়বে।
প্রসঙ্গত, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ সালের জরিপ বলছে, লঘু থেকে গুরুতর মাত্রার মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা প্রাপ্ত বয়স্ক ১৭ শতাংশ (নারী: ১৯ শতাংশ পুরুষ: ১৫ শতাংশ), ১৮ বছরের নিচের জনগোষ্ঠী: ১৩.৬ শতাংশ, মানসিক স্বাস্থ্য পেশাজীবীর সংখ্যা এক হাজারের নিচে (মনোচিকিৎসক, মনোবিজ্ঞানী ও অন্যান্য প্রশিক্ষিত মানসিক স্বাস্থ্য পেশাজীবী), ট্রিটমেন্ট গ্যাপ ৯০ শতাংশেরও বেশি (সব বয়সীদের মিলিয়ে)।