ঢাকা ১০:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

মানসিক সমস্যায় ভোগেন ঢাকার ১৭ শতাংশ মানুষ

  • আপডেট সময় : ০১:২৫:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ৭১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভিজ্যুয়াল পলিউশনের কারণে চোখ এবং মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। ঢাকা শহরে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার শিশু চক্ষুরোগে এবং মাথাব্যথায় আক্রান্ত হচ্ছে।
সম্প্রতি এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (এসডো) ‘ভিজ্যুয়াল পলিউশন ইন দ্য সিটি অব ঢাকা: অ্য পাবলিক হেলথ, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ট্র্যাফিক ডিসট্রাকশন’ শীর্ষক গবেষণার ফলাফলে উঠে এসেছে এই তথ্য।
গতকাল রোববার এসডোর কার্যালয়ে মিডিয়া ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ গবেষণা প্রকাশ করা হয়। এসডোর গবেষণায় বলা হয়েছে, ভিজ্যুয়াল পলিউশনের কারণে ২৪ শতাংশ মানুষ চোখের সমস্যায় ভুগছে। এরমধ্যে শিশুরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ঢাকা শহরের ২৭টি হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে করা গবেষণায় বলা হয়, প্রতি বছর ঢাকা শহরের প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার শিশু চোখের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা এবং গুরুতর মাথাব্যথার জন্য চিকিৎসা নেয়। এছাড়া ঢাকা শহরের বাসিন্দা যারা মানসিক সমস্যায় ভোগেন, তাদের সংখ্যা প্রায় ১৭ শতাংশে পৌঁছেছে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, ভিজ্যুয়াল পলিউশনের কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ৪০ শতাংশ হারে বেড়েছে। যেখানে ২০১৯ সালে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ২২৭ জন, তা বেড়ে ২০২২ সালে হয়েছে ৮ হাজার ৮০০ জন। বিলবোর্ড, তারযুক্ত বিদ্যুতের খুঁটি এবং বিদ্যুৎ বিতরণ নেটওয়ার্ক, কুয়াশা ও গ্রাফিটি ভিজ্যুয়াল পলিউশনের উদাহরণ। ভিজ্যুয়াল পলিউশনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও মানবসৃষ্ট আবাসভূমি নষ্ট হওয়ার কারণে বাস্তুসংস্থানের ক্ষতি হচ্ছে। ফলে নগরবাসী স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে। এসডোর চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ, এসডোর মহাসচিব এবং স্টাডি টিম লিডার ড. শাহরিয়ার হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন। গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন এসডোর প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট মালিহা হক। অনুষ্ঠানে অন্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এসডোর সিনিয়র টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) কেমিক্যাল বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল হাসেম।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মানসিক সমস্যায় ভোগেন ঢাকার ১৭ শতাংশ মানুষ

আপডেট সময় : ০১:২৫:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভিজ্যুয়াল পলিউশনের কারণে চোখ এবং মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। ঢাকা শহরে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার শিশু চক্ষুরোগে এবং মাথাব্যথায় আক্রান্ত হচ্ছে।
সম্প্রতি এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (এসডো) ‘ভিজ্যুয়াল পলিউশন ইন দ্য সিটি অব ঢাকা: অ্য পাবলিক হেলথ, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ট্র্যাফিক ডিসট্রাকশন’ শীর্ষক গবেষণার ফলাফলে উঠে এসেছে এই তথ্য।
গতকাল রোববার এসডোর কার্যালয়ে মিডিয়া ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ গবেষণা প্রকাশ করা হয়। এসডোর গবেষণায় বলা হয়েছে, ভিজ্যুয়াল পলিউশনের কারণে ২৪ শতাংশ মানুষ চোখের সমস্যায় ভুগছে। এরমধ্যে শিশুরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ঢাকা শহরের ২৭টি হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে করা গবেষণায় বলা হয়, প্রতি বছর ঢাকা শহরের প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার শিশু চোখের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা এবং গুরুতর মাথাব্যথার জন্য চিকিৎসা নেয়। এছাড়া ঢাকা শহরের বাসিন্দা যারা মানসিক সমস্যায় ভোগেন, তাদের সংখ্যা প্রায় ১৭ শতাংশে পৌঁছেছে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, ভিজ্যুয়াল পলিউশনের কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ৪০ শতাংশ হারে বেড়েছে। যেখানে ২০১৯ সালে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ২২৭ জন, তা বেড়ে ২০২২ সালে হয়েছে ৮ হাজার ৮০০ জন। বিলবোর্ড, তারযুক্ত বিদ্যুতের খুঁটি এবং বিদ্যুৎ বিতরণ নেটওয়ার্ক, কুয়াশা ও গ্রাফিটি ভিজ্যুয়াল পলিউশনের উদাহরণ। ভিজ্যুয়াল পলিউশনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও মানবসৃষ্ট আবাসভূমি নষ্ট হওয়ার কারণে বাস্তুসংস্থানের ক্ষতি হচ্ছে। ফলে নগরবাসী স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে। এসডোর চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ, এসডোর মহাসচিব এবং স্টাডি টিম লিডার ড. শাহরিয়ার হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন। গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন এসডোর প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট মালিহা হক। অনুষ্ঠানে অন্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এসডোর সিনিয়র টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) কেমিক্যাল বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল হাসেম।