বিদেশের খবর ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে মানবাধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ‘মৌলিক দিক পরিবর্তন’ ঘটছে বলে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ভলকার তুর্ক। লোকজনকে বিভ্রান্ত করতে ও ভিন্ন ভিন্ন মেরুতে ঠেলে দিতে বিভেদমূলক কথাবার্তাকে কাজে লাগানো হচ্ছে বলেও গতকাল সোমবার তিনি সতর্ক করেছেন, বলেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। “অনেক দশক ধরে মানবাধিকার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দুই দলের কাছ থেকেই সমর্থন পেয়ে আসছি আমরা। কিন্তু অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তাদের যে মৌলিক দিক পরিবর্তন ঘটছে তা নিয়ে আমি এখন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন,” ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করে দেওয়া বক্তৃতায় এমনটাই বলেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান। “বৈষম্য থেকে মানুষকে রক্ষায় তৈরি নীতিগুলিকে এখন বৈষম্যমূলক হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। বিভেদমূলক বক্তব্য ব্যবহার করে বাস্তবতা বিকৃত করা, মানুষকে বিভ্রান্ত ও বিভক্ত করা হচ্ছে। এটি অনেকের মধ্যে ভয় এবং উদ্বেগ তৈরি করছে,” বলেছেন তিনি। জেনিভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে দেওয়া তুর্কের এই বক্তব্য এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনকে নিয়ে তার সবচেয়ে শক্তিশালী সমালোচনা। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা নেওয়ার পর ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন। এই মেয়াদে ট্রাম্প তার সরকার এমনকী বেসরকারি খাতের বৈচিত্র্য, সাম্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অসংখ্য কর্মসূচিকে নিশানা বানিয়ে বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশও জারি করেছেন। বিদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার কাজ করা সংস্থা ইউএসএআইডির প্রায় সব কর্মসূচিও ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রেখেছেন তিনি, এ সময়ের মধ্যে কর্মসূচিগুলো আদৌ তার ‘আমেরিকা প্রথম’ নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।