ঢাকা ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

মানবতার মূর্ত প্রতীক জননেত্রী শেখ হাসিনা

  • আপডেট সময় : ১২:৪৫:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২১
  • ১২০ বার পড়া হয়েছে

অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ : প্রতিবছর প্রতিমাসের নির্দিষ্ট কিছু দিনে কিছু দিবস পালিত হয়। নির্দিষ্ট দিনে অতীতের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে স্মরণ করা বা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতেই এই সমস্ত দিবস পালিত হয়। বিশ্বে পালনীয় সেই সমস্ত দিবসগুলির মধ্যে একটি হলো বিশ্ব মানবতা দিবস (ডড়ৎষফ ঐঁসধহরঃধৎরধহ উধু)।
জাতিসংঘের নির্দেশনায় প্রতি বছর আগস্ট মাসের ১৯ তারিখে সারা বিশ্বে উদযাপিত হয় বিশ্ব মানবতা দিবস। যারা চরম আত্মত্যাগ করে মানব সেবায় ব্রতী হয়েছেন, যারা মানব কল্যাণে, মানবের উন্নতি সাধনে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন জাতিসংঘের ঘোষণা অনুসারে তাঁদের উদ্দেশ্যে বিশ্বজুড়ে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে পালিত হয় দিনটি।
সেরগিও ভিয়েরা দ মেলো ব্রাজিলের জাতিসংঘের কুটনীতিক এবং ৩৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে মানবিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডে যুক্ত ছিলেন। ২০০৩ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফ থেকে তিনি আরও একুশ জন সহকর্মীকে সংগে নিয়ে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইরাকের বাগদাদে গিয়েছিলেন। সেখানে বিরূপ পরিস্থিতিতে বোমার হামলায় মৃত্যু হয় তাঁদের। তাঁর এই চরম পরিস্থিতির আগে প্রায় ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে যাঁরা যুদ্ধে সব হারিয়েছেন, সেই সব সর্বহারা মানুষের পাশে নিঃস্বার্থভাবে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন। কোনও কিছুই তাঁকে তাঁর ব্রত থেকে টলাতে পারেনি।
তাঁর সেই মহান ব্রত যাতে থমকে না যায়, সেজন্য গঠিত হয়েছে সেরগিও ভিয়েরা-দ মেলো ফাউন্ডেশন। তাঁদের উদ্যোগে এবং ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, জাপান এবং ব্রাজিলের মতো সদস্য দেশের সহায়তায় সেরগিও ভিয়েরা দ মেলো ও তাঁর সহকর্মীদের প্রয়ান দিবসটিকে জাতিসংঘ ২০০৮ সালে বিশ্ব মানবতা দিবস হিসেবে চিহিৃত করে এবং ২০০৯ সালের ১৯ আগস্ট থেকে প্রথম বিশ্ব মানবতা দিবস পালিত হয়। সেই অনুযায়ী যারা বিশ্বে সদস্য দেশগুলি বিশ্ব মানবতা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করে আসছে।
এই দিনটি পালনের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন মানবিক সংস্থার প্রধান ও প্রতিনিধিরা একটি নির্দিষ্ট স্থানে সমবেত হন। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এই দিবস পালনের মধ্য দিয়ে তুলে ধরা হয় একটি মূল বার্তা, ত্রাণ কর্মীরা যাতে কোন হামলার লক্ষ্যবস্তু না হয় এবং তাঁদের সংকটে যেন বিশ্বের মানুষ এগিয়ে আসেন।
সারা বিশ্বে কমবেশী প্রায় ১৩-১৫ কোটি মানুষ কেবল মানবিক সহায়তার উপর নির্ভর করে বেঁচে আছে। এদের যদি এক সাথে দলবদ্ধ করে পৃথিবীর কোন স্থানে আশ্রয় দেওয়া হয়, তাহলে সেটি পৃথিবীর দশম জনবহুল দেশ হিসেবে পরিগণিত হবে। যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং তীব্র অরক্ষিত অবস্থার মধ্যে বসবাসকারী এমন অসহায় মানুষের জীবনে প্রয়োজন সেরগিও ভিয়েরা দ মেলো এর মতো মানুষের একটু সাহায্যের হাতের পরশ।
মানবিকতার অন্যতম উদাহরণ আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। মাহামারি করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে যখন উদ্বেগ-উৎকন্ঠা, জীবন-জীবিকার অনিশ্চিত যাত্রায় বিশ্বজুড়ে সংকটময় পরিস্থিতি তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সামনে থেকে প্রশংসনীয় সফল ও দৃরচেতা নেতৃত্ব দিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের জীবন-জীবিকার চাকা সচল রাখতে একের পর এক সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন। মহামারির মধ্যে জনগণের মাঝে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়তে নেতাকর্মীদের উদ্বীপ্ত করেছেন।
তাই করোনাকালে দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বিভিন্ন সংস্থা ও গণমাধ্যমে তাঁর নেতৃত্ব প্রশংসা পেয়েছে।
করোনা মহামারীতে বিশ্ব ব্যবস্থা যখন টালমাটাল। বিশ্বের উন্নয়ন, অর্থনীতি, এমনকি রাজনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ। এমন শত প্রতিকূলতার মধ্যেও এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সারাদেশে লাখ লাখ পরিবারকে আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মানবিক সহায়তায় নতুন রেকর্ড তৈরি করেন। প্রধানমন্ত্রী মানুষের সাহায্যে যে মানবিক সহায়তা প্রদান করেছেন তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। একসংগে এত মানুষের মানবিক সহায়তা পাওয়া বিরল ঘটানা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর বাংলাদেশে শেখ হাসিনাই প্রথম এত সংখ্যক মানুষকে মানবিক সহায়তা দিয়েছেন।
করোনা পরিস্থিতি, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঘূর্নিঝড় আম্ফান, বন্যায় প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছোসেবক লীগ এবং অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে দাঁড়ায়। ত্রাণ সহায়তা, কৃষকদের ধান কেটে দেওয়া, করোনায় মৃতদের লাশ দাফন-কাফনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা। বিভিন্ন জায়গায় ইফতার-সেহরি ও এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ও লাশ দাফনসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবকমূলক কার্যক্রম চলমান ছিল। দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের মানবিক এমন কর্মকান্ডে দেশে-বিদেশে ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সমগ্র বিশ্বের শরনার্থী, সেই সংগে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য যে মানবিকতা দেখিয়েছেন তা বিশ্ববাসীর কাছে, একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে। আজ বিশ্ব দরবারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদার অব হিউমিনিটি বা মানবতার মা হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছেন। নেদারল্যান্ডয়ের নামকরা ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিন সাময়িকী তাদের প্রচ্ছদ প্রতিবেদনের শিরোনাম করেছিলে, ‘শেখ হাসিনা: মাদার অব হিউমিনিটি’।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের আশ্রয় দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত-নিয়ে লাখ লাখ নির্যাতিত মানুষের জীবন রক্ষা করেছেন।
আজকের এই মানবতা দিবসে মানবিকতার উজ্জ্বল লক্ষত্র প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী শেখ হাসিনার সুসাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি। একই সংগে কামনা করছি তিনি যেন মানবিকতায় সমগ্র বিশ্বে উজ্জ্বলতম নক্ষত্র হতে পারেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পেশা বদলাচ্ছেন শিক্ষকরা

মানবতার মূর্ত প্রতীক জননেত্রী শেখ হাসিনা

আপডেট সময় : ১২:৪৫:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২১

অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ : প্রতিবছর প্রতিমাসের নির্দিষ্ট কিছু দিনে কিছু দিবস পালিত হয়। নির্দিষ্ট দিনে অতীতের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে স্মরণ করা বা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতেই এই সমস্ত দিবস পালিত হয়। বিশ্বে পালনীয় সেই সমস্ত দিবসগুলির মধ্যে একটি হলো বিশ্ব মানবতা দিবস (ডড়ৎষফ ঐঁসধহরঃধৎরধহ উধু)।
জাতিসংঘের নির্দেশনায় প্রতি বছর আগস্ট মাসের ১৯ তারিখে সারা বিশ্বে উদযাপিত হয় বিশ্ব মানবতা দিবস। যারা চরম আত্মত্যাগ করে মানব সেবায় ব্রতী হয়েছেন, যারা মানব কল্যাণে, মানবের উন্নতি সাধনে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন জাতিসংঘের ঘোষণা অনুসারে তাঁদের উদ্দেশ্যে বিশ্বজুড়ে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে পালিত হয় দিনটি।
সেরগিও ভিয়েরা দ মেলো ব্রাজিলের জাতিসংঘের কুটনীতিক এবং ৩৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে মানবিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডে যুক্ত ছিলেন। ২০০৩ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফ থেকে তিনি আরও একুশ জন সহকর্মীকে সংগে নিয়ে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইরাকের বাগদাদে গিয়েছিলেন। সেখানে বিরূপ পরিস্থিতিতে বোমার হামলায় মৃত্যু হয় তাঁদের। তাঁর এই চরম পরিস্থিতির আগে প্রায় ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে যাঁরা যুদ্ধে সব হারিয়েছেন, সেই সব সর্বহারা মানুষের পাশে নিঃস্বার্থভাবে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন। কোনও কিছুই তাঁকে তাঁর ব্রত থেকে টলাতে পারেনি।
তাঁর সেই মহান ব্রত যাতে থমকে না যায়, সেজন্য গঠিত হয়েছে সেরগিও ভিয়েরা-দ মেলো ফাউন্ডেশন। তাঁদের উদ্যোগে এবং ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, জাপান এবং ব্রাজিলের মতো সদস্য দেশের সহায়তায় সেরগিও ভিয়েরা দ মেলো ও তাঁর সহকর্মীদের প্রয়ান দিবসটিকে জাতিসংঘ ২০০৮ সালে বিশ্ব মানবতা দিবস হিসেবে চিহিৃত করে এবং ২০০৯ সালের ১৯ আগস্ট থেকে প্রথম বিশ্ব মানবতা দিবস পালিত হয়। সেই অনুযায়ী যারা বিশ্বে সদস্য দেশগুলি বিশ্ব মানবতা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করে আসছে।
এই দিনটি পালনের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন মানবিক সংস্থার প্রধান ও প্রতিনিধিরা একটি নির্দিষ্ট স্থানে সমবেত হন। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এই দিবস পালনের মধ্য দিয়ে তুলে ধরা হয় একটি মূল বার্তা, ত্রাণ কর্মীরা যাতে কোন হামলার লক্ষ্যবস্তু না হয় এবং তাঁদের সংকটে যেন বিশ্বের মানুষ এগিয়ে আসেন।
সারা বিশ্বে কমবেশী প্রায় ১৩-১৫ কোটি মানুষ কেবল মানবিক সহায়তার উপর নির্ভর করে বেঁচে আছে। এদের যদি এক সাথে দলবদ্ধ করে পৃথিবীর কোন স্থানে আশ্রয় দেওয়া হয়, তাহলে সেটি পৃথিবীর দশম জনবহুল দেশ হিসেবে পরিগণিত হবে। যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং তীব্র অরক্ষিত অবস্থার মধ্যে বসবাসকারী এমন অসহায় মানুষের জীবনে প্রয়োজন সেরগিও ভিয়েরা দ মেলো এর মতো মানুষের একটু সাহায্যের হাতের পরশ।
মানবিকতার অন্যতম উদাহরণ আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। মাহামারি করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে যখন উদ্বেগ-উৎকন্ঠা, জীবন-জীবিকার অনিশ্চিত যাত্রায় বিশ্বজুড়ে সংকটময় পরিস্থিতি তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সামনে থেকে প্রশংসনীয় সফল ও দৃরচেতা নেতৃত্ব দিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের জীবন-জীবিকার চাকা সচল রাখতে একের পর এক সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন। মহামারির মধ্যে জনগণের মাঝে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়তে নেতাকর্মীদের উদ্বীপ্ত করেছেন।
তাই করোনাকালে দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বিভিন্ন সংস্থা ও গণমাধ্যমে তাঁর নেতৃত্ব প্রশংসা পেয়েছে।
করোনা মহামারীতে বিশ্ব ব্যবস্থা যখন টালমাটাল। বিশ্বের উন্নয়ন, অর্থনীতি, এমনকি রাজনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ। এমন শত প্রতিকূলতার মধ্যেও এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সারাদেশে লাখ লাখ পরিবারকে আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মানবিক সহায়তায় নতুন রেকর্ড তৈরি করেন। প্রধানমন্ত্রী মানুষের সাহায্যে যে মানবিক সহায়তা প্রদান করেছেন তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। একসংগে এত মানুষের মানবিক সহায়তা পাওয়া বিরল ঘটানা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর বাংলাদেশে শেখ হাসিনাই প্রথম এত সংখ্যক মানুষকে মানবিক সহায়তা দিয়েছেন।
করোনা পরিস্থিতি, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঘূর্নিঝড় আম্ফান, বন্যায় প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছোসেবক লীগ এবং অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে দাঁড়ায়। ত্রাণ সহায়তা, কৃষকদের ধান কেটে দেওয়া, করোনায় মৃতদের লাশ দাফন-কাফনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা। বিভিন্ন জায়গায় ইফতার-সেহরি ও এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ও লাশ দাফনসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবকমূলক কার্যক্রম চলমান ছিল। দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের মানবিক এমন কর্মকান্ডে দেশে-বিদেশে ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সমগ্র বিশ্বের শরনার্থী, সেই সংগে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য যে মানবিকতা দেখিয়েছেন তা বিশ্ববাসীর কাছে, একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে। আজ বিশ্ব দরবারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদার অব হিউমিনিটি বা মানবতার মা হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছেন। নেদারল্যান্ডয়ের নামকরা ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিন সাময়িকী তাদের প্রচ্ছদ প্রতিবেদনের শিরোনাম করেছিলে, ‘শেখ হাসিনা: মাদার অব হিউমিনিটি’।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের আশ্রয় দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত-নিয়ে লাখ লাখ নির্যাতিত মানুষের জীবন রক্ষা করেছেন।
আজকের এই মানবতা দিবসে মানবিকতার উজ্জ্বল লক্ষত্র প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী শেখ হাসিনার সুসাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি। একই সংগে কামনা করছি তিনি যেন মানবিকতায় সমগ্র বিশ্বে উজ্জ্বলতম নক্ষত্র হতে পারেন।