ঢাকা ০১:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

‘মাদ্রিদ ডার্বি’তে রিয়ালকে বাঁচালেন এমবাপে

  • আপডেট সময় : ০৪:৫৮:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৯ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: লা লিগায় শহর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ১-১ গোলের ড্র করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। পিছিয়ে পড়া রিয়ালের ত্রাণকর্তা হয়ে এসেছেন কিলিয়ান এমবাপে। শনিবার রাতে ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে হতাশাজনক ড্রয়ের পর ৫০ পয়েন্ট (২৩ ম্যাচে) নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে রিয়াল। তাদের থেকে মাত্র এক পয়েন্ট পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অ্যাতলেটিকো (২৩ ম্যাচে ৪৯ পয়েন্ট)। তৃতীয় স্থানে থাকা বার্সেলোনা (৪৫ পয়েন্ট) আজ রোববার রাতে সেভিয়ার মুখোমুখি হবে। এই রিয়ালের সঙ্গে ব্যবধান কমানোর সুযোগ পাবে বার্সা। বার্নাব্যুতে দুই অর্ধে ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। প্রথমার্ধে আতলেটিকো ম্যাচে প্রাধান্য ধরে রাখে এবং ৩৫ মিনিটে আলভারেজের পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যায়। ওই পেনাল্টির কারণ ছিল অরেলিয়েন চুয়োমেনির ফাউল; অ্যাতলেটিকোর খেলোয়াড় স্যামুয়েল লিনোকে বক্সের ভেতরে ফেলে দেন ফরাসি ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।

বিরতির পর রিয়াল শক্তিশালী হয়ে প্রত্যাবর্তন করে। ৫০ মিনিটে এমবাপে ফিরতি আসা বল থেকে গোল করে রিয়ালকে সমতায় ফেরান। তবে কার্লো আনচেলত্তির জয়ের চেষ্টা ব্যর্থ হয় অ্যাতলেটিকোর গোলরক্ষক জন অবলাকের অসাধারণ সেভের কারণে। অ্যাতলেটিকোর ডিফেন্সের দক্ষতার সুনাম ইউরোপ জুড়ে। কোচ দিয়েগো সিমিওনের দল গতকালও দারুণ ফর্মে ছিল। যে কারণে তারকা ঠাসা রিয়ালের আক্রমণভাগ প্রথমার্ধে একটি শটও লক্ষ্যে নিতে পারেনি। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে সেরা ডিফেন্সের অধিকারী অ্যাতলেটিকো ২৩ ম্যাচে মাত্র ১৫টি গোল হজম করেছে। এই ম্যাচে রেফারির সঙ্গে বেশ কয়েকবার বিতর্কে জড়ান অ্যাতলেটিকোর খেলোয়াড়রা। ২৫ মিনিটে রিয়াল তারকা ড্যানি সেবাইয়োস পাবলো বারিওসকে চ্যালেঞ্জ করলে সরাসরি লাল কার্ডের দাবি জানান তারা। তবে রেফারি সিজার সোটো গ্রাডো শুধু হলুদ কার্ড দেখান ড্যানিকে।

পাঁচ মিনিট পর চুয়োমেনির ফাউলে অ্যাতলেটিকো পেনাল্টি পায়। প্রথমে রেফারি ফাউল দেখেননি। ভিএআর দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। হুলিয়ান আলভারেজ পেনাল্টি কিক নিতে গেলে দুয়োধ্বনি দেন বার্নাব্যুর বিক্ষুদ্ধ দর্শকরা। মাথা ঠাণ্ডা মাথায় বল জালে জমা করতে ভুল করেননি আর্জেন্টাইন তারকা। এরপর অ্যাতলেটিকোর হয়ে কয়েকবার গোলের সুযোগ পান লিনো ও আলভারেজ। তবে ব্যবধান বাড়াতে পারেননি তারা। বিরতির পর প্রাণবন্ত হয়ে ফিরে আসে রিয়াল। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও রদ্রিগো দারুণ পারফর্ম করেন। মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যেই সমতা ফেরে রিয়াল। রদ্রিগো দুই ডিফেন্ডারকে পেরিয়ে ডানপ্রান্ত থেকে ক্রস করেন। জুড বেলিংহ্যাম প্রথমে শট নেন, যা ব্লক হয়ে ফিরে আসে এমবাপের কাছে। ফিরতি বলটি জালে জড়াতে ভুল করেননি ফরাসি বিশ্বকাপজয়ী তারকা। পূর্ণ তিন পয়েন্ট তোলার জন্য শেষ দিকে মরিয়া হয়ে খেলে রিয়াল। তবে অ্যাতলেটিকোর গোলরক্ষক অবলাক তাদের সেই আশা নস্যাৎ করে দেন। ভিনিসিয়াস, রদ্রিগো, এমবাপে ও বেলিংহ্যামের একাধিক প্রচেষ্টা রুখে দেন তিনি। বেলিংহ্যামের একটি শট ক্রসবারে লেগে ফেরত আসে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মব বন্ধ না করলে ডেভিল হিসেবে ট্রিট করবো: উপদেষ্টা মাহফুজ

‘মাদ্রিদ ডার্বি’তে রিয়ালকে বাঁচালেন এমবাপে

আপডেট সময় : ০৪:৫৮:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক: লা লিগায় শহর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ১-১ গোলের ড্র করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। পিছিয়ে পড়া রিয়ালের ত্রাণকর্তা হয়ে এসেছেন কিলিয়ান এমবাপে। শনিবার রাতে ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে হতাশাজনক ড্রয়ের পর ৫০ পয়েন্ট (২৩ ম্যাচে) নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে রিয়াল। তাদের থেকে মাত্র এক পয়েন্ট পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অ্যাতলেটিকো (২৩ ম্যাচে ৪৯ পয়েন্ট)। তৃতীয় স্থানে থাকা বার্সেলোনা (৪৫ পয়েন্ট) আজ রোববার রাতে সেভিয়ার মুখোমুখি হবে। এই রিয়ালের সঙ্গে ব্যবধান কমানোর সুযোগ পাবে বার্সা। বার্নাব্যুতে দুই অর্ধে ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। প্রথমার্ধে আতলেটিকো ম্যাচে প্রাধান্য ধরে রাখে এবং ৩৫ মিনিটে আলভারেজের পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যায়। ওই পেনাল্টির কারণ ছিল অরেলিয়েন চুয়োমেনির ফাউল; অ্যাতলেটিকোর খেলোয়াড় স্যামুয়েল লিনোকে বক্সের ভেতরে ফেলে দেন ফরাসি ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।

বিরতির পর রিয়াল শক্তিশালী হয়ে প্রত্যাবর্তন করে। ৫০ মিনিটে এমবাপে ফিরতি আসা বল থেকে গোল করে রিয়ালকে সমতায় ফেরান। তবে কার্লো আনচেলত্তির জয়ের চেষ্টা ব্যর্থ হয় অ্যাতলেটিকোর গোলরক্ষক জন অবলাকের অসাধারণ সেভের কারণে। অ্যাতলেটিকোর ডিফেন্সের দক্ষতার সুনাম ইউরোপ জুড়ে। কোচ দিয়েগো সিমিওনের দল গতকালও দারুণ ফর্মে ছিল। যে কারণে তারকা ঠাসা রিয়ালের আক্রমণভাগ প্রথমার্ধে একটি শটও লক্ষ্যে নিতে পারেনি। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে সেরা ডিফেন্সের অধিকারী অ্যাতলেটিকো ২৩ ম্যাচে মাত্র ১৫টি গোল হজম করেছে। এই ম্যাচে রেফারির সঙ্গে বেশ কয়েকবার বিতর্কে জড়ান অ্যাতলেটিকোর খেলোয়াড়রা। ২৫ মিনিটে রিয়াল তারকা ড্যানি সেবাইয়োস পাবলো বারিওসকে চ্যালেঞ্জ করলে সরাসরি লাল কার্ডের দাবি জানান তারা। তবে রেফারি সিজার সোটো গ্রাডো শুধু হলুদ কার্ড দেখান ড্যানিকে।

পাঁচ মিনিট পর চুয়োমেনির ফাউলে অ্যাতলেটিকো পেনাল্টি পায়। প্রথমে রেফারি ফাউল দেখেননি। ভিএআর দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। হুলিয়ান আলভারেজ পেনাল্টি কিক নিতে গেলে দুয়োধ্বনি দেন বার্নাব্যুর বিক্ষুদ্ধ দর্শকরা। মাথা ঠাণ্ডা মাথায় বল জালে জমা করতে ভুল করেননি আর্জেন্টাইন তারকা। এরপর অ্যাতলেটিকোর হয়ে কয়েকবার গোলের সুযোগ পান লিনো ও আলভারেজ। তবে ব্যবধান বাড়াতে পারেননি তারা। বিরতির পর প্রাণবন্ত হয়ে ফিরে আসে রিয়াল। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও রদ্রিগো দারুণ পারফর্ম করেন। মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যেই সমতা ফেরে রিয়াল। রদ্রিগো দুই ডিফেন্ডারকে পেরিয়ে ডানপ্রান্ত থেকে ক্রস করেন। জুড বেলিংহ্যাম প্রথমে শট নেন, যা ব্লক হয়ে ফিরে আসে এমবাপের কাছে। ফিরতি বলটি জালে জড়াতে ভুল করেননি ফরাসি বিশ্বকাপজয়ী তারকা। পূর্ণ তিন পয়েন্ট তোলার জন্য শেষ দিকে মরিয়া হয়ে খেলে রিয়াল। তবে অ্যাতলেটিকোর গোলরক্ষক অবলাক তাদের সেই আশা নস্যাৎ করে দেন। ভিনিসিয়াস, রদ্রিগো, এমবাপে ও বেলিংহ্যামের একাধিক প্রচেষ্টা রুখে দেন তিনি। বেলিংহ্যামের একটি শট ক্রসবারে লেগে ফেরত আসে।