নিজস্ব প্রতিবেদক : বনানী থানায় দায়ের করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় অভিনেত্রী পরীমনিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। তবে আসামিপক্ষে আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন। তাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলাম সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর নতুন দিন ধার্য করেন। এদিন পরীমনির পক্ষে হাজিরা দেন তার আইনজীবী৷ আর জামিনে থাকা মামলার অপর দু’আসামি পরীমনির ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম দিপু ও পরীমনির বড় খালু কবীর হোসেন হাওলাদার আদালতে হাজিরা দিয়েছেন৷ গত ৫ জানুয়ারি পরীমনিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন একই আদালত। এরপর ১ মার্চ এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সেদিন সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী র্যাব-১ এর কর্মকর্তা মজিবর রহমান। গত ১৯ জুলাই আসামিপক্ষ তাকে জেরা করেন। ওইদিন সন্তান সম্ভবা পরীমনিকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার তদন্ত কর্মকর্তা মজিবর রহমানকে পুনরায় জেরার জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে আসামিপক্ষ সময় আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর বাদীর জেরা ও পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন। ২০২১ সালের ৪ অক্টোবর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় পরীমনিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল। ওই বছর ১২ অক্টোবর মামলাটি ঢাকার সিএমএম আদালত থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। এরপর ১৫ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজের বিচারক পরীমনিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে দেওয়া চার্জশিট আমলে গ্রহণ করে মামলাটি পরবর্তী বিচারের জন্য এ আদালতে বদলির আদেশ দেন। একই সালের ৪ আগস্ট বিকেল ৪টার পর পরই বনানীর ১২ নম্বর রোডের পরীমণির বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। এরপর ৫ আগস্ট চারদিন এবং ১০ আগস্ট পরীমনির দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৩ আগস্ট রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর আবারও ১৯ আগস্ট এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ওই বছর ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন। পরের দিন তিনি কারামুক্ত হন।