ঢাকা ০৮:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫

মাদক মামলাতেও সম্রাটের জামিন, রইল বাকি এক

  • আপডেট সময় : ০১:২৫:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ এপ্রিল ২০২২
  • ১০৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : অস্ত্র ও অর্থ পাচারের দুই মামলার পর এবার মাদক মামলাতেও জামিন পেয়েছেন ক্যাসিনোকা-ে আলোচিত বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট।
এখন অবৈধ সম্পদের এক মামলায় জামিন হলেই ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক এই সভাপতির কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা থাকবে না বলে তার আইনজীবীর ভাষ্য। ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার গতকাল সোমবার রমনা থানার মাদক আইনের মামলায় সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন।
সম্রাটের পক্ষে জামিন শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এহেসানুল হক সমাজী। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকউটর মাহবুবুর রহমান জামিনের বিরোধিতা করেন। পরে সমাজী বলেন, “সম্রাটের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত চারটি মামলা হয়েছে। গতকাল অস্ত্র ও অর্থপাচার মামলায় জামিন হয়েছে। আজ মাদক মামলাতেও পেলেন। আর একটি মামলা আছে দুদকের।
“ওই মামলায় জামিন পেলে তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন। আশা করছি, শিগগিরই জামিন নিয়ে তিনি কারামুক্ত হবেন।”
২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র‌্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো চলার বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে আত্মগোপনে চলে যান ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। এরপর ৭ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। সেদিন বিকালে সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে কাকরাইলের ভূইয়া ট্রেড সেন্টারে তার কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অভিযান শেষে গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল, ১১৬০টি ইয়াবা, ১৯ বোতল বিদেশি মদ, দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া এবং ‘নির্যাতন করার’ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পাওয়ার কথা জানানো হয় র‌্যাবের পক্ষ থেকে।
ক্যাঙ্গারুর চামড়া পাওয়ার কারণে সম্রাটকে তাৎক্ষণিকভাবে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) আইনে ছয় মাসের কারাদ- দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। ঢাকার রমনা থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র আইনে দুটি মামলা করা হয় তার বিরুদ্ধে। রমনা থানার অস্ত্র মামলায় ওই বছর ৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এরপর ১২ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা করে দুদক। অর্থ পাচারের মামলাটি হয় ২০২০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর। আর ৯ ডিসেম্বর মাদক মামলা সম্রাট ও সহযোগী আরমানের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে র‌্যাব।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার নাম বদলে হলো ঢাকা বাণিজ্যমেলা

মাদক মামলাতেও সম্রাটের জামিন, রইল বাকি এক

আপডেট সময় : ০১:২৫:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ এপ্রিল ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : অস্ত্র ও অর্থ পাচারের দুই মামলার পর এবার মাদক মামলাতেও জামিন পেয়েছেন ক্যাসিনোকা-ে আলোচিত বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট।
এখন অবৈধ সম্পদের এক মামলায় জামিন হলেই ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক এই সভাপতির কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা থাকবে না বলে তার আইনজীবীর ভাষ্য। ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার গতকাল সোমবার রমনা থানার মাদক আইনের মামলায় সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন।
সম্রাটের পক্ষে জামিন শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এহেসানুল হক সমাজী। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকউটর মাহবুবুর রহমান জামিনের বিরোধিতা করেন। পরে সমাজী বলেন, “সম্রাটের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত চারটি মামলা হয়েছে। গতকাল অস্ত্র ও অর্থপাচার মামলায় জামিন হয়েছে। আজ মাদক মামলাতেও পেলেন। আর একটি মামলা আছে দুদকের।
“ওই মামলায় জামিন পেলে তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন। আশা করছি, শিগগিরই জামিন নিয়ে তিনি কারামুক্ত হবেন।”
২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র‌্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো চলার বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে আত্মগোপনে চলে যান ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। এরপর ৭ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। সেদিন বিকালে সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে কাকরাইলের ভূইয়া ট্রেড সেন্টারে তার কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অভিযান শেষে গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল, ১১৬০টি ইয়াবা, ১৯ বোতল বিদেশি মদ, দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া এবং ‘নির্যাতন করার’ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পাওয়ার কথা জানানো হয় র‌্যাবের পক্ষ থেকে।
ক্যাঙ্গারুর চামড়া পাওয়ার কারণে সম্রাটকে তাৎক্ষণিকভাবে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) আইনে ছয় মাসের কারাদ- দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। ঢাকার রমনা থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র আইনে দুটি মামলা করা হয় তার বিরুদ্ধে। রমনা থানার অস্ত্র মামলায় ওই বছর ৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এরপর ১২ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা করে দুদক। অর্থ পাচারের মামলাটি হয় ২০২০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর। আর ৯ ডিসেম্বর মাদক মামলা সম্রাট ও সহযোগী আরমানের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে র‌্যাব।