ঢাকা ১০:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

মাদক-কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে অলআউট অ্যাকশনে যেতে চায় র‌্যাব

  • আপডেট সময় : ০২:১৮:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : মাদক ও কিশোর গ্যাঙের বিরুদ্ধে অলআউট অ্যাকশনে যেতে চায় র‌্যাব। গতকাল মঙ্গলবার পুরে জাতীয় শহীদ মিনারে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের নিরাপত্তা সংক্রান্ত মতবিনিময় শেষে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনের লেখা দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচনকালে র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন এ কথা বলেন। এদিন খন্দকার আল মঈনের লেখা ‘মাদকের সাতসতেরো: বাংলাদেশের বাস্তবতা ও সমাধানসূত্র’ এবং ‘কিশোর গ্যাং: কীভাবে এলো, কীভাবে রুখব’-এ দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এসময় র‌্যাব ফোর্সেস মাদক ও কিশোর গ্যাঙের বিরুদ্ধে অলআউট অ্যাকশনে যেতে চায় উল্লেখ করে র‌্যাব ডিজি এম খুরশীদ হোসেন বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশ হচ্ছে মাদকের একটি ট্রানজিট রুট। এর থেকে যদি বাঁচতে হয়, তবে আমাদের সম্মিলিতভাবে মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ দেশ আমাদের, দেশের মানুষ আমাদের, বাংলাদেশ আমাদের অহংকার।”
তিনি বলেন, “আমরা বাংলাদেশে বসবাস করব, এদেশের শান্তি ও সুন্দর সামাজিক ব্যবস্থার জন্য মাদক ও কিশোর গ্যাংসহ জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় সম্মিলিতভাবে নির্মূল করতে হবে। নির্মল আমি ওই অর্থে বলব না, কারণ বিশ্বের এমন কোনো দেশ নাই যারা মাদককে নির্মূল করতে পেরেছে। আমি মনে করি, যারা অনেক বড় কথা বলে সেই দেশগুলো থেকে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো।”
র‌্যাব ডিজি বলেন, “আমাদের মূল কাজ হচ্ছে জনমানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। মানুষ যাতে নির্বিঘেœ চলাচল করতে পারে, এলাকায় বসবাস করতে পারে, পাশাপাশি আমাদের সমাজ ব্যবস্থা যাতে সুন্দরভাবে পরিচালনা হতে পারে, সমাজের মানুষ যাতে কোনো প্রকার হুমকির মধ্যে না থাকে সেটি নিশ্চিত করা।”
মাদক ও কিশোর গ্যাং নির্মূলের বিষয়ে কমান্ডার খন্দকার আল মঈনের বই দুটির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও মিরপুরে কিশোর গ্যাং এর বিস্তার খুব বেড়ে গিয়েছিল। এতে র‌্যাব অভিযান পরিচালনা করে বেশ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে।”
তিনি বলেন, “এই সব কিশোর গ্যাঙের কেউ না কেউ আশ্রয়প্রশ্রয়দাতা আছে। এরা সব সময় থাকে, অতীতেও ছিল এখনও আছে ভবিষ্যতেও থাকবে। আমরা চেষ্টা করছি কিশোর গ্যাং সমূলে কীভাবে বিনাশ করা হয়, পাশাপাশি যারা এদের পরিচালনা করছে আমরা তাদেরকেও আইনের আওতায় আনবে। আমরা চাই সমাজের মানুষ যাতে কিশোর গ্যাঙের হাত থেতে রেহাই পায়” বলেন এম খুরশীদ হোসেন। মাদকের বিষয়ে র‌্যাব ডিজি বলেন, “মাদকের বিষয়ে কিছু দিন আগেও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মিটিং হয়েছে। সেখানে গোয়েন্দা সংস্থা থেকে শুরু করে সববাহিনীর প্রধানরা উপস্থিত ছিলাম। মাদকের বিষয়টি এমন হয়েছে যে শুধু পুলিশ-র‌্যাব ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর দিয়ে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো মাদক নিয়ন্ত্রণে অনেক বেআইনি পদক্ষেপও নিয়েছে। কিন্তু আমরা সেই পথে যাচ্ছি না, আইনের মধ্যে থেকেই মাদক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি।”
তিনি বলেন, “দেশে যে জঙ্গি উত্থান হয়েছিল, যখন আমরা দলমত নির্বিশেষে সামাজিকভাবে এর মোকাবিলা করলাম তখন কিন্তু জঙ্গি নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে।” র‌্যাব ডিজি বলেন, “আমার ৩৪ বছর চাকরির অভিজ্ঞতায় দেখেছি, এক সময় বাংলাদেশে মাদক আসতো স্থলপথে। তখন বেশি প্রচলন ছিল ফেনসিডিল ও হেরোইনের। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে যখন ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দীপাক্ষিক বৈঠক হলো তারপরে কিন্তু বাংলাদেশে ফেনসিডিল আসা বন্ধ হয়েছে। কারণ তখন ভারতের বর্ডার এলাকাগুলোতে ফেন্সিডিলের কারখানা ছিল। এরপরেই বাংলাদেশে ফেনসিডিলের চাহিদা অনেকটাই কমে গেছে। স্থলপথে রাজশাহীর বাগমারা এলাকা দিয়ে গোদাগাড়ি ওদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ দিনাজপুর কুমিল্লা বিভিন্ন জায়গা দিয়ে মাদকগুলো আসত। এখন শুধুমাত্র ফেনসিডিল নয়, কত ধরনের বিপজ্জনক মাদক যে বাংলাদেশে আসছে বিভিন্ন স্থলপথ বর্ডার এলাকা দিয়ে, জলপথে আকাশপথেও আসছে।”
র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন তার অভিজ্ঞতার আলোকে কিশোর গ্যাং ও মাদকের বিষয়ে দুটি বই লিখেছেন। এই দুটি বই সমাজের কিশোরদের কাছে পৌঁছানোর জন্য র‌্যাব কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নেবে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে র‌্যাব ডিজি বলেন, “আমি মনে করি এ ধরনের বই কিশোরদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যেতে পারে, পাঠ্যবইয়ে মাদকের কুফল কিশোর গ্যাং এর কুফলের বিষয়গুলো আগে থেকেই তুলে ধরা হলে সমাজে কিশোর গ্যাং ও মাদকাসক্তের সংখ্যা অনেকাংশে কমে যাবে।”
উন্নত দেশ জাপানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যদি আমরা জাপানের দিকে দেখি, সেখানে শিশুদের প্রথম দুই বছর কোনো পাঠ্য বইয়ের শিক্ষা পড়ানো হয় না। তাদেরকে শেখানো হয় ম্যানার (আচার-আচরণ)। দুই বছর পর তাদের পাঠ্যবইয়ের পড়াগুলোকে শেখানো হয়। যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গিয়ে মাদকের কুফল কিশোর গ্যাঙের কুফল নিয়ে আলোচনা করা হয় বা ক্লাস নেওয়া হয়, তাহলে যথেষ্ট সাড়া পাওয়া যাবে। অতীতেও আমি এ বিষয়গুলো দেখেছি। তাই সর্বোপরি সবাই সব জায়গা থেকে মাদক এবং কিশোর গ্যাঙের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে।”

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নির্বাচিত সরকারে দায়িত্বে থাকার কোনো ইচ্ছা নেই: ড. ইউনূস

মাদক-কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে অলআউট অ্যাকশনে যেতে চায় র‌্যাব

আপডেট সময় : ০২:১৮:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : মাদক ও কিশোর গ্যাঙের বিরুদ্ধে অলআউট অ্যাকশনে যেতে চায় র‌্যাব। গতকাল মঙ্গলবার পুরে জাতীয় শহীদ মিনারে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের নিরাপত্তা সংক্রান্ত মতবিনিময় শেষে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনের লেখা দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচনকালে র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন এ কথা বলেন। এদিন খন্দকার আল মঈনের লেখা ‘মাদকের সাতসতেরো: বাংলাদেশের বাস্তবতা ও সমাধানসূত্র’ এবং ‘কিশোর গ্যাং: কীভাবে এলো, কীভাবে রুখব’-এ দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এসময় র‌্যাব ফোর্সেস মাদক ও কিশোর গ্যাঙের বিরুদ্ধে অলআউট অ্যাকশনে যেতে চায় উল্লেখ করে র‌্যাব ডিজি এম খুরশীদ হোসেন বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশ হচ্ছে মাদকের একটি ট্রানজিট রুট। এর থেকে যদি বাঁচতে হয়, তবে আমাদের সম্মিলিতভাবে মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ দেশ আমাদের, দেশের মানুষ আমাদের, বাংলাদেশ আমাদের অহংকার।”
তিনি বলেন, “আমরা বাংলাদেশে বসবাস করব, এদেশের শান্তি ও সুন্দর সামাজিক ব্যবস্থার জন্য মাদক ও কিশোর গ্যাংসহ জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় সম্মিলিতভাবে নির্মূল করতে হবে। নির্মল আমি ওই অর্থে বলব না, কারণ বিশ্বের এমন কোনো দেশ নাই যারা মাদককে নির্মূল করতে পেরেছে। আমি মনে করি, যারা অনেক বড় কথা বলে সেই দেশগুলো থেকে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো।”
র‌্যাব ডিজি বলেন, “আমাদের মূল কাজ হচ্ছে জনমানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। মানুষ যাতে নির্বিঘেœ চলাচল করতে পারে, এলাকায় বসবাস করতে পারে, পাশাপাশি আমাদের সমাজ ব্যবস্থা যাতে সুন্দরভাবে পরিচালনা হতে পারে, সমাজের মানুষ যাতে কোনো প্রকার হুমকির মধ্যে না থাকে সেটি নিশ্চিত করা।”
মাদক ও কিশোর গ্যাং নির্মূলের বিষয়ে কমান্ডার খন্দকার আল মঈনের বই দুটির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও মিরপুরে কিশোর গ্যাং এর বিস্তার খুব বেড়ে গিয়েছিল। এতে র‌্যাব অভিযান পরিচালনা করে বেশ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে।”
তিনি বলেন, “এই সব কিশোর গ্যাঙের কেউ না কেউ আশ্রয়প্রশ্রয়দাতা আছে। এরা সব সময় থাকে, অতীতেও ছিল এখনও আছে ভবিষ্যতেও থাকবে। আমরা চেষ্টা করছি কিশোর গ্যাং সমূলে কীভাবে বিনাশ করা হয়, পাশাপাশি যারা এদের পরিচালনা করছে আমরা তাদেরকেও আইনের আওতায় আনবে। আমরা চাই সমাজের মানুষ যাতে কিশোর গ্যাঙের হাত থেতে রেহাই পায়” বলেন এম খুরশীদ হোসেন। মাদকের বিষয়ে র‌্যাব ডিজি বলেন, “মাদকের বিষয়ে কিছু দিন আগেও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মিটিং হয়েছে। সেখানে গোয়েন্দা সংস্থা থেকে শুরু করে সববাহিনীর প্রধানরা উপস্থিত ছিলাম। মাদকের বিষয়টি এমন হয়েছে যে শুধু পুলিশ-র‌্যাব ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর দিয়ে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো মাদক নিয়ন্ত্রণে অনেক বেআইনি পদক্ষেপও নিয়েছে। কিন্তু আমরা সেই পথে যাচ্ছি না, আইনের মধ্যে থেকেই মাদক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি।”
তিনি বলেন, “দেশে যে জঙ্গি উত্থান হয়েছিল, যখন আমরা দলমত নির্বিশেষে সামাজিকভাবে এর মোকাবিলা করলাম তখন কিন্তু জঙ্গি নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে।” র‌্যাব ডিজি বলেন, “আমার ৩৪ বছর চাকরির অভিজ্ঞতায় দেখেছি, এক সময় বাংলাদেশে মাদক আসতো স্থলপথে। তখন বেশি প্রচলন ছিল ফেনসিডিল ও হেরোইনের। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে যখন ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দীপাক্ষিক বৈঠক হলো তারপরে কিন্তু বাংলাদেশে ফেনসিডিল আসা বন্ধ হয়েছে। কারণ তখন ভারতের বর্ডার এলাকাগুলোতে ফেন্সিডিলের কারখানা ছিল। এরপরেই বাংলাদেশে ফেনসিডিলের চাহিদা অনেকটাই কমে গেছে। স্থলপথে রাজশাহীর বাগমারা এলাকা দিয়ে গোদাগাড়ি ওদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ দিনাজপুর কুমিল্লা বিভিন্ন জায়গা দিয়ে মাদকগুলো আসত। এখন শুধুমাত্র ফেনসিডিল নয়, কত ধরনের বিপজ্জনক মাদক যে বাংলাদেশে আসছে বিভিন্ন স্থলপথ বর্ডার এলাকা দিয়ে, জলপথে আকাশপথেও আসছে।”
র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন তার অভিজ্ঞতার আলোকে কিশোর গ্যাং ও মাদকের বিষয়ে দুটি বই লিখেছেন। এই দুটি বই সমাজের কিশোরদের কাছে পৌঁছানোর জন্য র‌্যাব কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নেবে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে র‌্যাব ডিজি বলেন, “আমি মনে করি এ ধরনের বই কিশোরদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যেতে পারে, পাঠ্যবইয়ে মাদকের কুফল কিশোর গ্যাং এর কুফলের বিষয়গুলো আগে থেকেই তুলে ধরা হলে সমাজে কিশোর গ্যাং ও মাদকাসক্তের সংখ্যা অনেকাংশে কমে যাবে।”
উন্নত দেশ জাপানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যদি আমরা জাপানের দিকে দেখি, সেখানে শিশুদের প্রথম দুই বছর কোনো পাঠ্য বইয়ের শিক্ষা পড়ানো হয় না। তাদেরকে শেখানো হয় ম্যানার (আচার-আচরণ)। দুই বছর পর তাদের পাঠ্যবইয়ের পড়াগুলোকে শেখানো হয়। যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গিয়ে মাদকের কুফল কিশোর গ্যাঙের কুফল নিয়ে আলোচনা করা হয় বা ক্লাস নেওয়া হয়, তাহলে যথেষ্ট সাড়া পাওয়া যাবে। অতীতেও আমি এ বিষয়গুলো দেখেছি। তাই সর্বোপরি সবাই সব জায়গা থেকে মাদক এবং কিশোর গ্যাঙের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে।”