ঢাকা ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মাদকে জড়িত বজলু মেম্বার যৌনপল্লী ও গ্যাং চালাতেন

  • আপডেট সময় : ০১:২২:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২২
  • ৩২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ চনপাড়ার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক সম্রাট খ্যাত বজলুর রহমান বজলুকে গ্রেপ্তারের পর তার কাছ থেকে মাদক, জাল টাকা ও বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। বজলু কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হলেও চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের (চনপাড়া বস্তি) অঘোষিত ‘রাজা’ বলা হয় তাকে। র‌্যাব বলছে, বজলু মেম্বার মাদকের কারবারে জড়ি। তিনি যৌনপল্লী ও গ্যাংও চালাতেন।
র‌্যাবের ওপর হামলার ঘটনায় শুক্রবার বিকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যায় তার সম্পৃক্ততা আছে কি না সেবিষয়েও তদন্ত চলছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে র‌্যাব-১ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৮ নভেম্বর র‌্যাব চনপাড়া বস্তির চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী বজলুর রহমান বজলুকে গ্রেপ্তার করে। তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও ম্যাগাজিন, পাঁচরাউন্ড গুলি, ২২০ গ্রাম হেরোইন, ভারতীয় ২৫ হাজার জাল রুপি, ৭৫ হাজার জাল টাকা এবং মাদক বিক্রির নগদ ২১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। বজলু চিহ্নিত অস্ত্রধারী, দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী। চনপাড়া বস্তি এলাকার মাদক ব্যবসার অন্যতম মূলহোতা ও নিয়ন্ত্রক এই বজলু।
র‌্যাব জানিয়েছে, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলাতে তার বেশ কয়েকজন সহযোগী রয়েছে। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপসহ বিভিন্ন অপরাধে এখন পর্যন্ত ২৩টি মামলার রেকর্ড পাওয়া গেছে। চনপাড়া বস্তি এলাকাসহ আশেপাশের এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিমাসে টাকা আদায় করত বলে র‌্যাবের কাছে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।
চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রটি প্রকৃতপক্ষে চনপাড়া বস্তি নামে পরিচিত। যেখানে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ বসবাস করে। বিশেষ করে নি¤œ আয়ের মানুষ এই বস্তিতে বসবাস করে, যাদের সবাই দিনমজুর। বিশাল ও অত্যন্ত ঘিঞ্জি এবং ঘনবসতিপূর্ণ এই চনপাড়া বস্তি নয়টি এলাকায় বিভক্ত। এই এলাকার শীর্ষ অর্ধডজন মাদক কারবারীর প্রধান সমন্বয়ক ও গডফাদার ছিলো বজলু। বস্তি এলাকার মাদকের প্রায় দুইশতাধিক স্পট থেকে কয়েকটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বজলু এই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলো।
এদিকে র‌্যাব জানিয়েছে, বজলু কায়েতপাড়া ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার। স্থানীয় উঠতি বয়সের ছেলেদের কাছে ‘বজলু ভাই’ নামে পরিচিত। এলাকার বিভিন্ন ছেলেদের টাকা দিয়ে অপকর্ম করে আসছিল বজলু। যেমন- হত্যা, মাদক বেচাকেনা, চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি, কিশোর গ্যাং, ধর্ষণ, যৌন হয়রানি এবং পতিতালয় পরিচালনা উল্লেখ্যযোগ্য। কেউ বজলুকে চাঁদা না দিলে ভয়াবহ নির্যাতন করা হতো। বস্তিতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত দেড় বছরে ছয়জন নিহত হয়েছেন। ২৭ সেপ্টেম্বর অপরাধীদের ধরতে র‌্যাব চনপাড়া এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় তারা র‌্যাবের ওপর আক্রমণ করে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার লার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মাদকে জড়িত বজলু মেম্বার যৌনপল্লী ও গ্যাং চালাতেন

আপডেট সময় : ০১:২২:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ চনপাড়ার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক সম্রাট খ্যাত বজলুর রহমান বজলুকে গ্রেপ্তারের পর তার কাছ থেকে মাদক, জাল টাকা ও বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। বজলু কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হলেও চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের (চনপাড়া বস্তি) অঘোষিত ‘রাজা’ বলা হয় তাকে। র‌্যাব বলছে, বজলু মেম্বার মাদকের কারবারে জড়ি। তিনি যৌনপল্লী ও গ্যাংও চালাতেন।
র‌্যাবের ওপর হামলার ঘটনায় শুক্রবার বিকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যায় তার সম্পৃক্ততা আছে কি না সেবিষয়েও তদন্ত চলছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে র‌্যাব-১ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৮ নভেম্বর র‌্যাব চনপাড়া বস্তির চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী বজলুর রহমান বজলুকে গ্রেপ্তার করে। তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও ম্যাগাজিন, পাঁচরাউন্ড গুলি, ২২০ গ্রাম হেরোইন, ভারতীয় ২৫ হাজার জাল রুপি, ৭৫ হাজার জাল টাকা এবং মাদক বিক্রির নগদ ২১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। বজলু চিহ্নিত অস্ত্রধারী, দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী। চনপাড়া বস্তি এলাকার মাদক ব্যবসার অন্যতম মূলহোতা ও নিয়ন্ত্রক এই বজলু।
র‌্যাব জানিয়েছে, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলাতে তার বেশ কয়েকজন সহযোগী রয়েছে। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপসহ বিভিন্ন অপরাধে এখন পর্যন্ত ২৩টি মামলার রেকর্ড পাওয়া গেছে। চনপাড়া বস্তি এলাকাসহ আশেপাশের এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিমাসে টাকা আদায় করত বলে র‌্যাবের কাছে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।
চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রটি প্রকৃতপক্ষে চনপাড়া বস্তি নামে পরিচিত। যেখানে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ বসবাস করে। বিশেষ করে নি¤œ আয়ের মানুষ এই বস্তিতে বসবাস করে, যাদের সবাই দিনমজুর। বিশাল ও অত্যন্ত ঘিঞ্জি এবং ঘনবসতিপূর্ণ এই চনপাড়া বস্তি নয়টি এলাকায় বিভক্ত। এই এলাকার শীর্ষ অর্ধডজন মাদক কারবারীর প্রধান সমন্বয়ক ও গডফাদার ছিলো বজলু। বস্তি এলাকার মাদকের প্রায় দুইশতাধিক স্পট থেকে কয়েকটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বজলু এই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলো।
এদিকে র‌্যাব জানিয়েছে, বজলু কায়েতপাড়া ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার। স্থানীয় উঠতি বয়সের ছেলেদের কাছে ‘বজলু ভাই’ নামে পরিচিত। এলাকার বিভিন্ন ছেলেদের টাকা দিয়ে অপকর্ম করে আসছিল বজলু। যেমন- হত্যা, মাদক বেচাকেনা, চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি, কিশোর গ্যাং, ধর্ষণ, যৌন হয়রানি এবং পতিতালয় পরিচালনা উল্লেখ্যযোগ্য। কেউ বজলুকে চাঁদা না দিলে ভয়াবহ নির্যাতন করা হতো। বস্তিতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত দেড় বছরে ছয়জন নিহত হয়েছেন। ২৭ সেপ্টেম্বর অপরাধীদের ধরতে র‌্যাব চনপাড়া এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় তারা র‌্যাবের ওপর আক্রমণ করে।