ঢাকা ০১:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

মাদকের বিস্তারে বেপরোয়া কারবারিরা

  • আপডেট সময় : ১২:১৩:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৪১ বার পড়া হয়েছে

কুষ্টিয়া সংবাদদাতা : দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হওয়ার পর মাঠ পর্যায়ে আগের মতো সক্রিয় হতে পারেনি পুলিশ। এই সুযোগে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিস্তার ঘটেছে মাদকের। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে মাদকের রমরমা ব্যবসা। বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কারবারিরা। মাদকের এ ভয়াল থাবা থেকে নতুন প্রজন্মকে বাঁচাতে স্থানীয় প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর থেকে উপজেলাতে অবাধে চলছে মাদক কেনা-বেচা। মাদক কেনাবেচার সঙ্গে জড়িতদের বেশির ভাগের বয়স ১৮ থেকে ৩০ এর মধ্যে। স্কুলকলেজের শিক্ষার্থী ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছেন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। তবে সীমান্তবর্তী এই উপজেলাতে প্রকাশ্যে মাদক কেনা-বেচা নতুন কিছু নয়। তবে মাঝে মধ্যে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে ছোট ছোট কারবারিদের আটক করা হলেও মাদকের বড় বড় রাঘব বোয়ালরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানিয়েছে, উপজেলার আল্লারদর্গা, কল্যাণপুর, কাজীপাড়া, সোনাইকুন্ডি হোসেনাবাদ, তারাগুনিয়া, ধর্মদহ, প্রাগপুর, মথুরাপুর, দৌলতখালী, ফিলিপ নগর, মরিচা ও বোয়ালিয়াসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে মদ, গাঁজা, ফেনসিডিল ও ইয়াবাসহ নানা প্রকার মাদক। উপজেলাতে হঠাৎ করে মাদকসেবীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা। মাদকের বিস্তার ঘটনার কারণে এসব অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে বলে মনে করছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। উপজেলা সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা ও জনপ্রতিনিধিরা বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে এর আগের সরকারকেও জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করতে দেখেছি, কিন্তু বাস্তবে সেই নীতি বাস্তবে প্রতিফলিত হতে দেখিনি। তাই নতুন সরকারের কাছে মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানাচ্ছি।’ দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে আমরা আগেও সোচ্চার ছিলাম। চলমান পরিস্থিতিতে আমাদের পুলিশ সদস্যরা কিছুটা নিষ্ক্রিয় হলেও দ্রুতই আমরা মাদকের বিরুদ্ধে পুরো উদ্যমে কাজ শুরু করব।’

 

 

 

 

 

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মাদকের বিস্তারে বেপরোয়া কারবারিরা

আপডেট সময় : ১২:১৩:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কুষ্টিয়া সংবাদদাতা : দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হওয়ার পর মাঠ পর্যায়ে আগের মতো সক্রিয় হতে পারেনি পুলিশ। এই সুযোগে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিস্তার ঘটেছে মাদকের। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে মাদকের রমরমা ব্যবসা। বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কারবারিরা। মাদকের এ ভয়াল থাবা থেকে নতুন প্রজন্মকে বাঁচাতে স্থানীয় প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর থেকে উপজেলাতে অবাধে চলছে মাদক কেনা-বেচা। মাদক কেনাবেচার সঙ্গে জড়িতদের বেশির ভাগের বয়স ১৮ থেকে ৩০ এর মধ্যে। স্কুলকলেজের শিক্ষার্থী ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছেন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। তবে সীমান্তবর্তী এই উপজেলাতে প্রকাশ্যে মাদক কেনা-বেচা নতুন কিছু নয়। তবে মাঝে মধ্যে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে ছোট ছোট কারবারিদের আটক করা হলেও মাদকের বড় বড় রাঘব বোয়ালরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানিয়েছে, উপজেলার আল্লারদর্গা, কল্যাণপুর, কাজীপাড়া, সোনাইকুন্ডি হোসেনাবাদ, তারাগুনিয়া, ধর্মদহ, প্রাগপুর, মথুরাপুর, দৌলতখালী, ফিলিপ নগর, মরিচা ও বোয়ালিয়াসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে মদ, গাঁজা, ফেনসিডিল ও ইয়াবাসহ নানা প্রকার মাদক। উপজেলাতে হঠাৎ করে মাদকসেবীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা। মাদকের বিস্তার ঘটনার কারণে এসব অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে বলে মনে করছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। উপজেলা সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা ও জনপ্রতিনিধিরা বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে এর আগের সরকারকেও জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করতে দেখেছি, কিন্তু বাস্তবে সেই নীতি বাস্তবে প্রতিফলিত হতে দেখিনি। তাই নতুন সরকারের কাছে মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানাচ্ছি।’ দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে আমরা আগেও সোচ্চার ছিলাম। চলমান পরিস্থিতিতে আমাদের পুলিশ সদস্যরা কিছুটা নিষ্ক্রিয় হলেও দ্রুতই আমরা মাদকের বিরুদ্ধে পুরো উদ্যমে কাজ শুরু করব।’