ঢাকা ০৭:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫

মাদকসেবন নিয়ে বাকবিতণ্ডার পরদিন কলেজছাত্র আলভীকে হত্যা

  • আপডেট সময় : ০৮:০৩:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • ৫৮ বার পড়া হয়েছে

গ্রেফতার সমিত পাল ও রায়হান -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর হাজারীবাগ থানার ঝিগাতলা এলাকায় মাদকসেবন করা নিয়ে কথা কাটাকাটি ও বাকবিতণ্ডার জেরে ড. মালেকা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থী আলভীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতারের পর এ তথ্য জানায় পুলিশ।

পুলিশ বলছে, গত ১৫ মে সন্ধ্যায় ধানমণ্ডি লেকের বাগান বাড়ি এলাকায় একটি রেস্তোরাঁয় মাদক সেবন ও চেয়ারে বসা নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। নিহত আলভী ও তার বন্ধুদের সঙ্গে আসামি হাসানসহ কয়েকজনের হাতাহাতি হয়। এরপর গত ১৬ তারিখ তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটায়।

গ্রেফতাররা হলেন মো. রায়হান (২০), হাবিবুর রহমান মুন্না (২৬), সমিত পাল (২৩) ও কাউসার (২১)। মঙ্গলবার ধানমণ্ডি ও হাজারীবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বুধবার (২১মে) দুপুরে রাজধানী মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, নিহত সামিউর রহমান খান আলভী হাজারীবাগ থানার মনেশ্বর রোডে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন। তিনি ড. মালেকা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল।

গত ১৬ মে আলভি ও তার তিন বন্ধু আশরাফুল ইসলাম, জাকারিয়া এবং ইসমাঈল হোসেনের সঙ্গে ধানমণ্ডি লেক পাড়ের একটি রেস্টুরেন্টে অবস্থান করছিলেন। এ সময় গ্রেফতাররাসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন তাদেরকে কৌশলে হাজারীবাগ থানার জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা আলভী ও তার বন্ধুদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরি ও চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে।

গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আলভীকে মৃত ঘোষণা করেন। আলভীর তিন বন্ধু বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় আলভীর বাবা মশিউর রহমান খান হাজারীবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

ডিসি বলেন, মাদকসেবনকে কেন্দ্র করে বাগানবাড়ি লেকে ভিকটিম আলভী ও তার বন্ধুদের সঙ্গে গ্রেফতারদের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়। গ্রেফতাররা আলভীকে পূর্বশত্রুতার জের ধরে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত পলাতক অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মাদকসেবন নিয়ে বাকবিতণ্ডার পরদিন কলেজছাত্র আলভীকে হত্যা

আপডেট সময় : ০৮:০৩:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর হাজারীবাগ থানার ঝিগাতলা এলাকায় মাদকসেবন করা নিয়ে কথা কাটাকাটি ও বাকবিতণ্ডার জেরে ড. মালেকা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থী আলভীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতারের পর এ তথ্য জানায় পুলিশ।

পুলিশ বলছে, গত ১৫ মে সন্ধ্যায় ধানমণ্ডি লেকের বাগান বাড়ি এলাকায় একটি রেস্তোরাঁয় মাদক সেবন ও চেয়ারে বসা নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। নিহত আলভী ও তার বন্ধুদের সঙ্গে আসামি হাসানসহ কয়েকজনের হাতাহাতি হয়। এরপর গত ১৬ তারিখ তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটায়।

গ্রেফতাররা হলেন মো. রায়হান (২০), হাবিবুর রহমান মুন্না (২৬), সমিত পাল (২৩) ও কাউসার (২১)। মঙ্গলবার ধানমণ্ডি ও হাজারীবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বুধবার (২১মে) দুপুরে রাজধানী মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, নিহত সামিউর রহমান খান আলভী হাজারীবাগ থানার মনেশ্বর রোডে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন। তিনি ড. মালেকা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল।

গত ১৬ মে আলভি ও তার তিন বন্ধু আশরাফুল ইসলাম, জাকারিয়া এবং ইসমাঈল হোসেনের সঙ্গে ধানমণ্ডি লেক পাড়ের একটি রেস্টুরেন্টে অবস্থান করছিলেন। এ সময় গ্রেফতাররাসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন তাদেরকে কৌশলে হাজারীবাগ থানার জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা আলভী ও তার বন্ধুদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরি ও চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে।

গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আলভীকে মৃত ঘোষণা করেন। আলভীর তিন বন্ধু বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় আলভীর বাবা মশিউর রহমান খান হাজারীবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

ডিসি বলেন, মাদকসেবনকে কেন্দ্র করে বাগানবাড়ি লেকে ভিকটিম আলভী ও তার বন্ধুদের সঙ্গে গ্রেফতারদের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়। গ্রেফতাররা আলভীকে পূর্বশত্রুতার জের ধরে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত পলাতক অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।