ঢাকা ০৪:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

মাত্র এক সপ্তাহে তৈরি টি-২০ বিশ্বকাপের ভেন্যু!

  • আপডেট সময় : ১১:২৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২১
  • ৭৬ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : টি-২০ বিশ্বকাপের সপ্তম আসর শুরু হল গতকাল রোববার। ওমানে স্বাগতিকদের সঙ্গে পাপুয়া নিউগিনির লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে মাঠে গড়ালো এবারের আসর। শুনতে অবাক লাগলেও সত্য, ওমানের যে ভেন্যুতে বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে তা তৈরি করা হয়েছে মাত্র এক সপ্তাহে! ১০ বছর আগেও ওমানে কোনো সবুজ ঘাসের ক্রিকেট মাঠ ছিল না। বর্তমানে সেখানে দুটি মাঠ আছে। দুটিই আল হাজার পর্বতমালাবেষ্টিত আল আমেরাত ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। আর এ সবই করা হয়েছে শুধুমাত্র বিশ্বকাপের জন্যেই। মূল মাঠের পাশে আরেকটি মাঠ অবস্থিত, যার নাম ওমান ক্রিকেট একাডেমি মাঠ। এক সপ্তাহ আগেও কোনটি একাডেমি মাঠ আর কোনটি মূল মাঠ, সেটি আলাদা করা যেত না! তবে গতকাল এ মাঠই নাম লেখায় টি-২০ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকায়। গত এক সপ্তাহে মাঠের চারপাশে ছোট ছোট অস্থায়ী গ্যালারি বসানো হয়েছে। কিছুদিন আগে মাসকাটের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘শাহিন’ আল আমেরাত অঞ্চল স্পর্শ করলে হয়তো এ গ্যালারির অস্তিত্বও এখন খুঁজে পাওয়া যেত না। বিশ্বকাপে আইসিসির মিডিয়া কর্মকর্তা ম্যারি গুডবিয়ার কাছে ওমান ক্রিকেটের এত অল্প সময়ে বিশ্বকাপের ভেন্যু তৈরি করে ফেলাটা বেশ বিস্ময়করই। স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে তিনি বলছিলেন, আমি এখানে এসেছি ছয়-সাত দিন হলো। কিন্তু কীভাবে যেন এই অল্প সময়েই ওরা এসব করে ফেলল!
তিনি আরো বলেন, আমি সত্যি বলছি, আমার একদমই বিশ্বাস হচ্ছে না। অথচ এসব আমি এখানে আসার পরই করা হয়েছে। আমি যখন এসেছিলাম, তখন এখানে কিছু ছিল না বললেই চলে। এই আল আমেরাত ক্রিকেট স্টেডিয়ামকেই ওমান ক্রিকেটের প্রধান কার্যালয় ধরা হয়। মাঠের এক পাশে ওমান ক্রিকেট একাডেমি ভবনকে ছোটখাটো জাদুঘরের মতো করে সাজানো হয়েছে। ওমান ক্রিকেটের ইতিহাস সেখানে ছবিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। দুটি কক্ষ পার হয়ে এলেই একাডেমির ইনডোর চোখে পড়বে। আকারে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বড় হওয়ায় ইনডোরে জায়গার অভাব নেই। আইসিসি সে সুযোগটাই নিয়ে সেখানে আয়োজন করে ফেলেছে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলন। ইনডোরের দুই পাশে যেটুকু জায়গা আছে, সেখানে করা হয়েছে ড্রেসিংরুম। এর উল্টো পাশেই প্রেসবক্স। গত শনিবার ভাঙাগড়ার কাজ চলছিল সেখানে। অথচ এই মাঠেই গতকাল রোববার থেকে শুরু হবে টি-২০ বিশ্বকাপের মহাযজ্ঞ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মাত্র এক সপ্তাহে তৈরি টি-২০ বিশ্বকাপের ভেন্যু!

আপডেট সময় : ১১:২৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : টি-২০ বিশ্বকাপের সপ্তম আসর শুরু হল গতকাল রোববার। ওমানে স্বাগতিকদের সঙ্গে পাপুয়া নিউগিনির লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে মাঠে গড়ালো এবারের আসর। শুনতে অবাক লাগলেও সত্য, ওমানের যে ভেন্যুতে বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে তা তৈরি করা হয়েছে মাত্র এক সপ্তাহে! ১০ বছর আগেও ওমানে কোনো সবুজ ঘাসের ক্রিকেট মাঠ ছিল না। বর্তমানে সেখানে দুটি মাঠ আছে। দুটিই আল হাজার পর্বতমালাবেষ্টিত আল আমেরাত ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। আর এ সবই করা হয়েছে শুধুমাত্র বিশ্বকাপের জন্যেই। মূল মাঠের পাশে আরেকটি মাঠ অবস্থিত, যার নাম ওমান ক্রিকেট একাডেমি মাঠ। এক সপ্তাহ আগেও কোনটি একাডেমি মাঠ আর কোনটি মূল মাঠ, সেটি আলাদা করা যেত না! তবে গতকাল এ মাঠই নাম লেখায় টি-২০ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকায়। গত এক সপ্তাহে মাঠের চারপাশে ছোট ছোট অস্থায়ী গ্যালারি বসানো হয়েছে। কিছুদিন আগে মাসকাটের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘শাহিন’ আল আমেরাত অঞ্চল স্পর্শ করলে হয়তো এ গ্যালারির অস্তিত্বও এখন খুঁজে পাওয়া যেত না। বিশ্বকাপে আইসিসির মিডিয়া কর্মকর্তা ম্যারি গুডবিয়ার কাছে ওমান ক্রিকেটের এত অল্প সময়ে বিশ্বকাপের ভেন্যু তৈরি করে ফেলাটা বেশ বিস্ময়করই। স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে তিনি বলছিলেন, আমি এখানে এসেছি ছয়-সাত দিন হলো। কিন্তু কীভাবে যেন এই অল্প সময়েই ওরা এসব করে ফেলল!
তিনি আরো বলেন, আমি সত্যি বলছি, আমার একদমই বিশ্বাস হচ্ছে না। অথচ এসব আমি এখানে আসার পরই করা হয়েছে। আমি যখন এসেছিলাম, তখন এখানে কিছু ছিল না বললেই চলে। এই আল আমেরাত ক্রিকেট স্টেডিয়ামকেই ওমান ক্রিকেটের প্রধান কার্যালয় ধরা হয়। মাঠের এক পাশে ওমান ক্রিকেট একাডেমি ভবনকে ছোটখাটো জাদুঘরের মতো করে সাজানো হয়েছে। ওমান ক্রিকেটের ইতিহাস সেখানে ছবিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। দুটি কক্ষ পার হয়ে এলেই একাডেমির ইনডোর চোখে পড়বে। আকারে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বড় হওয়ায় ইনডোরে জায়গার অভাব নেই। আইসিসি সে সুযোগটাই নিয়ে সেখানে আয়োজন করে ফেলেছে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলন। ইনডোরের দুই পাশে যেটুকু জায়গা আছে, সেখানে করা হয়েছে ড্রেসিংরুম। এর উল্টো পাশেই প্রেসবক্স। গত শনিবার ভাঙাগড়ার কাজ চলছিল সেখানে। অথচ এই মাঠেই গতকাল রোববার থেকে শুরু হবে টি-২০ বিশ্বকাপের মহাযজ্ঞ।