ঢাকা ০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

মাঠের বাইরে থেকেই ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচে লাল কার্ড দেখলেন পিকে

  • আপডেট সময় : ১২:২৩:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০২২
  • ৯০ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : বার্সেলোনার সঙ্গে প্রায় ২৫ বছরের সম্পর্ক তার। মাঝে পাড়ি জমিয়েছিলো ভিন দেশে। তবে ফের কাতালানদের টানে ফিরে আসেন ন্যু ক্যাম্পে। এরপর টানা ১৪ বছর ধরে সার্ভিস দিচ্ছেন জেরার্ড পিকে। এরই মধ্যে হঠাৎ ঘোষণা দিলেন, বুটজোড়া তুলে রাখবেন। আর ফুটবল খেলবেন না। বিশ্বকাপের আগের শেষ ম্যাচটাই হবে তার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। সে হিসেবে আগের ম্যাচটি বার্সার মাঠ ন্যু ক্যাম্পে শেষ ম্যাচ হিসেবে খেলেছিলেন তিনি। এরপর বার্সার জার্সিতে পুরোপুরি শেষ ম্যাচ খেলার কথা ছিল মঙ্গলবার রাতে ওসাসুনার মাঠে। কিন্তু ক্যারিয়ারের শেষটা মোটেও সুখকর হলো না তার। মঙ্গলবার রাতে ওসাসুনার বিপক্ষে ব্লাউগ্রানা জার্সি গায়ে দিয়ে শেষ বারের মত নামার কথা ছিলো স্প্যানিস ডিফেন্ডার পিকের। কোচ জাভি হার্নান্দেজ সেরা একাদশে রাখেননি তাকে। পরিকল্পনা ছিল, বদলি হিসেবে মাঠে নামাবেন এবং মাঠ থেকেই বিদায় দেবেন তাকে। কিন্তু খেলার প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার বাঁশি বাজানোর পরই মাঠে রেফারির সঙ্গে বাগবিত-ায় জড়িয়ে পড়েন পিকে। প্রসঙ্গ ছিল লেওয়ানডস্কির লাল কার্ড। এ সময় উল্টো পিকেকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। ফলে ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটিতে মাঠে নামতে পারলেন না এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডার। মাঠে নেমে পেলেন না বিদায়ী সংবর্ধনা।
পিকের লাল কার্ড নিয়ে স্প্যানিশ এক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, খেলায় লেওয়ানডস্কিকে কার্ড দেখানোকে কেন্দ্র করে প্রথমার্ধের বিরতিতে রেফারির সঙ্গে বাগবিত-ায় জড়ায় পিকে। এ সময় কথা বলার পাশাপাশি রেফারিকে বাজে কথাও বলেছেন স্প্যানিস এ ডিফেন্ডার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে লাল কার্ড দেখায় রেফারি। জেরার্ড পিকে এ পর্যন্ত বার্সেলোনার হয়ে খেলেছেন মোট ৬১৬ ম্যাচ। এর মধ্যে দেখেছেন ১১টি লাল কার্ড। শেষ ম্যাচের লাল কার্ডে বার্সার ইতিহাসে সর্বোচ্চ লাল কার্ড দেখার রেকর্ডেও ভাগ বসিয়েছেন তিনি। এরআগে ১১ বার লাল কার্ড দেখেছেন বার্সার সাবেক বুলগেরিয়ান স্ট্রাইকার রিস্টো স্টয়চকভ। খেলা শেষে পিকের লাল কার্ড নিয়ে জাভি বলেন, ‘পিকেকে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামানো হতো। কারণ আন্দ্রেস ক্রিস্টেনসেন পুরো ফিট নয় এবং এরিক গার্সিয়াও ব্যথা অনুভব করছে। এ কারণে পিকেকে খেলানোর কথা ভেবেছিলাম আমরা; কিন্তু বিরতির সময় ওরা তাকে লাল কার্ড দেখিয়েছে। সে মুহূর্তের উত্তেজনায় ঘটনাটা ঘটেছে। তবে জেরার্ডের প্রতিক্রিয়ার সুবিচার পাইনি আমরা। পিকের জন্ম স্পেনের বার্সেলোনাতেই। তার বয়স যখন ১০ বছর, তখনই যোগ দেন বার্সেলোনার ক্লাব একাডেমি লা মাসিয়ায়। সাত বছর বার্সায় কাটিয়ে ২০০৪ সালে তিনি পাড়ি জমান ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। তরুণ হওয়ায় সেখানে জায়গা পেতেন না সহজে, তাই বেশির ভাগ সময়ই কাটাতে হত বেঞ্চে। মাঝে ম্যানইউ থেকে লোনে এক মৌসুম কাটিয়েছিলেন স্পেনের আরেকটি ক্লাব রিয়াল জারাগোজায়। তবে ২০০৮ সালে আবার ফিরে আসেন বার্সেলোনায়। এরপর তিনি বার্সার হয়ে জিতেন ৩০টি ট্রফি। এর মধ্যে রয়েছে তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি এবং ৮টি লা লিগা শিরোপা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মাঠের বাইরে থেকেই ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচে লাল কার্ড দেখলেন পিকে

আপডেট সময় : ১২:২৩:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : বার্সেলোনার সঙ্গে প্রায় ২৫ বছরের সম্পর্ক তার। মাঝে পাড়ি জমিয়েছিলো ভিন দেশে। তবে ফের কাতালানদের টানে ফিরে আসেন ন্যু ক্যাম্পে। এরপর টানা ১৪ বছর ধরে সার্ভিস দিচ্ছেন জেরার্ড পিকে। এরই মধ্যে হঠাৎ ঘোষণা দিলেন, বুটজোড়া তুলে রাখবেন। আর ফুটবল খেলবেন না। বিশ্বকাপের আগের শেষ ম্যাচটাই হবে তার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। সে হিসেবে আগের ম্যাচটি বার্সার মাঠ ন্যু ক্যাম্পে শেষ ম্যাচ হিসেবে খেলেছিলেন তিনি। এরপর বার্সার জার্সিতে পুরোপুরি শেষ ম্যাচ খেলার কথা ছিল মঙ্গলবার রাতে ওসাসুনার মাঠে। কিন্তু ক্যারিয়ারের শেষটা মোটেও সুখকর হলো না তার। মঙ্গলবার রাতে ওসাসুনার বিপক্ষে ব্লাউগ্রানা জার্সি গায়ে দিয়ে শেষ বারের মত নামার কথা ছিলো স্প্যানিস ডিফেন্ডার পিকের। কোচ জাভি হার্নান্দেজ সেরা একাদশে রাখেননি তাকে। পরিকল্পনা ছিল, বদলি হিসেবে মাঠে নামাবেন এবং মাঠ থেকেই বিদায় দেবেন তাকে। কিন্তু খেলার প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার বাঁশি বাজানোর পরই মাঠে রেফারির সঙ্গে বাগবিত-ায় জড়িয়ে পড়েন পিকে। প্রসঙ্গ ছিল লেওয়ানডস্কির লাল কার্ড। এ সময় উল্টো পিকেকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। ফলে ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটিতে মাঠে নামতে পারলেন না এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডার। মাঠে নেমে পেলেন না বিদায়ী সংবর্ধনা।
পিকের লাল কার্ড নিয়ে স্প্যানিশ এক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, খেলায় লেওয়ানডস্কিকে কার্ড দেখানোকে কেন্দ্র করে প্রথমার্ধের বিরতিতে রেফারির সঙ্গে বাগবিত-ায় জড়ায় পিকে। এ সময় কথা বলার পাশাপাশি রেফারিকে বাজে কথাও বলেছেন স্প্যানিস এ ডিফেন্ডার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে লাল কার্ড দেখায় রেফারি। জেরার্ড পিকে এ পর্যন্ত বার্সেলোনার হয়ে খেলেছেন মোট ৬১৬ ম্যাচ। এর মধ্যে দেখেছেন ১১টি লাল কার্ড। শেষ ম্যাচের লাল কার্ডে বার্সার ইতিহাসে সর্বোচ্চ লাল কার্ড দেখার রেকর্ডেও ভাগ বসিয়েছেন তিনি। এরআগে ১১ বার লাল কার্ড দেখেছেন বার্সার সাবেক বুলগেরিয়ান স্ট্রাইকার রিস্টো স্টয়চকভ। খেলা শেষে পিকের লাল কার্ড নিয়ে জাভি বলেন, ‘পিকেকে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামানো হতো। কারণ আন্দ্রেস ক্রিস্টেনসেন পুরো ফিট নয় এবং এরিক গার্সিয়াও ব্যথা অনুভব করছে। এ কারণে পিকেকে খেলানোর কথা ভেবেছিলাম আমরা; কিন্তু বিরতির সময় ওরা তাকে লাল কার্ড দেখিয়েছে। সে মুহূর্তের উত্তেজনায় ঘটনাটা ঘটেছে। তবে জেরার্ডের প্রতিক্রিয়ার সুবিচার পাইনি আমরা। পিকের জন্ম স্পেনের বার্সেলোনাতেই। তার বয়স যখন ১০ বছর, তখনই যোগ দেন বার্সেলোনার ক্লাব একাডেমি লা মাসিয়ায়। সাত বছর বার্সায় কাটিয়ে ২০০৪ সালে তিনি পাড়ি জমান ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। তরুণ হওয়ায় সেখানে জায়গা পেতেন না সহজে, তাই বেশির ভাগ সময়ই কাটাতে হত বেঞ্চে। মাঝে ম্যানইউ থেকে লোনে এক মৌসুম কাটিয়েছিলেন স্পেনের আরেকটি ক্লাব রিয়াল জারাগোজায়। তবে ২০০৮ সালে আবার ফিরে আসেন বার্সেলোনায়। এরপর তিনি বার্সার হয়ে জিতেন ৩০টি ট্রফি। এর মধ্যে রয়েছে তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি এবং ৮টি লা লিগা শিরোপা।