ঢাকা ১২:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

মাঝারি তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ, চলবে আরো কয়েকদিন

  • আপডেট সময় : ০৫:০৮:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫
  • ৭ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ছাড়াল ৪১ ডিগ্রি, গলে যাচ্ছে রাস্তার পিচ-ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বইছে; যা আগামী কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। অন্যদিকে সহসাই বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই, উল্টো সারাদেশেই দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে এবং রাতের তাপামাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
এদিকে শুক্রবার (৯ মে) বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের অর্দ্রতা ছিল ২৪ শতাংশ। যা চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
এদিন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। আর রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারি, রাজারহাট, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী এবং খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

শনিবার (১০ মে) সারাদেশে দিন-রাতের তাপামাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। একইসঙ্গে সারাদেশে চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।

তবে রোববার (১১ মে) থেকে দেশের কিছু কিছু অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গাসহ রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এতে তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসতে পারে।

চতুর্থ ও পঞ্চম দিনেও একই ধরনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। বিশেষ করে সিলেট, ময়মনসিংহ, রংপুর ও চট্টগ্রামের কিছু এলাকায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা দেখা যেতে পারে। তবে দেশের অধিকাংশ এলাকায় রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ছাড়াল ৪১ ডিগ্রি, গলে যাচ্ছে রাস্তার পিচ: চুয়াডাঙ্গায় শুরু হয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ। প্রচণ্ড রোদে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রচণ্ড গরমে জেলা শহরে বিভিন্ন সড়কের পিচ গলে যেতে দেখা গেছে। এ অবস্থায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। রোদের তাপে শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যান-রিকশাচালকরা গরমে অস্থির হয়ে পড়েছেন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষ।

শুক্রবার (৯ মে) বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের অর্দ্রতা ছিল ২৪ শতাংশ। যা চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ছিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

তীব্র তাপপ্রবাহে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যানচালকরা অস্থির হয়ে পড়েছেন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষ। শহরের কোর্টরোড-বড়বাজার সড়কে পিচ গলে যেতে দেখা গেছে।

তীব্র তাপপ্রবাহে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে চুয়াডাঙ্গা ভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ জেলাবাসীকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহে বয়স্কদের হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে সবচেয়ে বেশি। ৩৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা পার হলেই ঝুঁকি থাকে। এ জন্য অতি প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাইরে বের না হতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বেশি বেশি পানি, ও ফলমূল খেতে বলা হচ্ছে। শিশু-কিশোরদের ঘন পানি ও শরবত পান করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মাঝারি তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ, চলবে আরো কয়েকদিন

আপডেট সময় : ০৫:০৮:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বইছে; যা আগামী কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। অন্যদিকে সহসাই বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই, উল্টো সারাদেশেই দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে এবং রাতের তাপামাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
এদিকে শুক্রবার (৯ মে) বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের অর্দ্রতা ছিল ২৪ শতাংশ। যা চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
এদিন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। আর রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারি, রাজারহাট, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী এবং খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

শনিবার (১০ মে) সারাদেশে দিন-রাতের তাপামাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। একইসঙ্গে সারাদেশে চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।

তবে রোববার (১১ মে) থেকে দেশের কিছু কিছু অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গাসহ রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এতে তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসতে পারে।

চতুর্থ ও পঞ্চম দিনেও একই ধরনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। বিশেষ করে সিলেট, ময়মনসিংহ, রংপুর ও চট্টগ্রামের কিছু এলাকায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা দেখা যেতে পারে। তবে দেশের অধিকাংশ এলাকায় রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ছাড়াল ৪১ ডিগ্রি, গলে যাচ্ছে রাস্তার পিচ: চুয়াডাঙ্গায় শুরু হয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ। প্রচণ্ড রোদে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রচণ্ড গরমে জেলা শহরে বিভিন্ন সড়কের পিচ গলে যেতে দেখা গেছে। এ অবস্থায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। রোদের তাপে শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যান-রিকশাচালকরা গরমে অস্থির হয়ে পড়েছেন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষ।

শুক্রবার (৯ মে) বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের অর্দ্রতা ছিল ২৪ শতাংশ। যা চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ছিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

তীব্র তাপপ্রবাহে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যানচালকরা অস্থির হয়ে পড়েছেন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষ। শহরের কোর্টরোড-বড়বাজার সড়কে পিচ গলে যেতে দেখা গেছে।

তীব্র তাপপ্রবাহে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে চুয়াডাঙ্গা ভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ জেলাবাসীকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহে বয়স্কদের হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে সবচেয়ে বেশি। ৩৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা পার হলেই ঝুঁকি থাকে। এ জন্য অতি প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাইরে বের না হতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বেশি বেশি পানি, ও ফলমূল খেতে বলা হচ্ছে। শিশু-কিশোরদের ঘন পানি ও শরবত পান করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।