ঢাকা ১১:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫

মাছ-মাংসে অস্বস্তি হলেও সবজিতে স্বস্তি

  • আপডেট সময় : ০১:৪২:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুন ২০২২
  • ১২৭ বার পড়া হয়েছে

লক্ষ্মীপুর সংবাদদাতা : লক্ষ্মীপুরের বাজারগুলোতে মাছ, গরুর মাংস এবং মুরগির দাম বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে গরুর মাংস সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।
এছাড়া বাজারে চাল, আটা, ডাল, ডিম, গুড়ো দুধ, তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় মুদি মালের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের নাভিশ্বাস উঠেছে। তবে এসব পণ্য ক্রয়ে ক্রেতাদের অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হলেও কাঁচা বাজারে গেলে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন তারা। শাক-সবজির উৎপাদন কিছুটা বেশি হওয়ায় দাম একেবারে পড়ে গেছে। যদিও কৃষকরা বলছেন, সবজির দাম কমে যাওয়ায় তাদের উৎপাদন খরচও উঠছে না। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি ৩০০, সোনালি কক মুরগি ২৮০, বয়লার ১৫০-১৬০ টাকা। রুই মাছের কেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, তেলাপিয়ার কেজি ১৬০-১৮০ টাকা, পাঙ্গাসের কেজি ১৫০ টাকা, ইলিশ আকার ভেদে কেজিপ্রতি ৮০০-১২০০ টাকা। ধানের ভরপুর মৌসুমেও বৃদ্ধি পেয়েছে চালের দাম। গত দুই মাসের ব্যবধানে ৫০ কেজির বস্তায় বেড়েছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা করে। বাজারে দেখা গেছে, পাইজাম চালের ৫০ কেজি ওজনের বস্তুার দাম ২২০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২৪৫০ টাকা, স্বর্ণা ২০০০ টাকা থেকে বেড়ে ২২৫০ টাকা। ২৮ সরু মিনিকেট ২৩০০ থেকে বেড়ে ২৫০০ টাকা, জিরা মিনিকেট ছিল ৩ হাজারের নিচে, বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩৩০০ টাকায়। তবে নতুন মিনিকেটের দাম কিছুটা কম, ৫০ কেজি ওজনের বস্তুা ৩১০০ টাকা। এ ছাড়া ব্যাপক হারে বেড়েছে আলুর দাম, ২০ টাকা কেজির আলু এখন ২৭-২৮ টাকা। ক্রেতাদের নাগালের বাইরে যাবার পথে ডিম, যার ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকা করে। বোতলজাত সয়াবিন তেলের লিটার ২২০-২২৫ টাকা। চিনির কেজি ৮৫ টাকা, খোল আটার কেজি ৪০ টাকা, প্যাকেট আটা ৪৬ টাকা, ছোট মসুর ডাল ১৩০ টাকা, গুড়ো দুধ (মার্কস) আধা কেজির প্যাকেট ৩৬০-৩৭০ টাকা। কম আছে পেঁয়াজের দাম, প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৩-৩৫ টাকায়। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি পটল ২০ টাকা, ঢেঁড়স ১৫-২০ টাকা, শসিন্দার কেজি ২০ টাকা, ধুন্দুল ১৫-২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ২৫ টাকা, জালি কুমড়ার কেজি ২০ টাকা, কচুর লতির কেজি ২৫-৩০ টাকা, পেঁপের কেজি ২৫ টাকা, বরবটির কেজি ৩০ টাকা, করল্লার কেজি ৩০ টাকা, কাঁকরল ৩০-৩৫ টাকা, চিচিঙ্গা ২৫-৩০ টাকা কেজি, বেগুন ২০ টাকা কেজি, কাঁচামরিচের কেজি ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। শাকের মধ্য পুঁই শাকের আঁটি ১০ টাকা, কুমড়া শাক ১৫-২০ টাকা, পাটের শাকের আঁটি ৫ টাকা, কলমি শাকের আঁটি ৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। লক্ষ্মীপুর বাজারে শাক সবজি বিক্রি করতে আসা কৃষক আবদুর রহমান ও নুর নবী বলেন, মাঝে মধ্যে বৃষ্টিপাত হওয়ায় শাক সবজির উৎপাদন বেশি হচ্ছে। তাই বাজারে চাহিদার তুলনায় পণ্যের পরিমাণ বেশি। এতে দাম পড়ে গেছে। আমাদের উৎপাদন খরচও উঠছে না। তারা বলেন, বর্ষায় টানা বৃষ্টিপাত হলে সবজি উৎপাদন কম হবে। ক্ষেতে পানি জমে গেলে যেকোনো সবজির গাছ মরে যায়। তখন আবার দাম বেড়ে যাবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

মাছ-মাংসে অস্বস্তি হলেও সবজিতে স্বস্তি

আপডেট সময় : ০১:৪২:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুন ২০২২

লক্ষ্মীপুর সংবাদদাতা : লক্ষ্মীপুরের বাজারগুলোতে মাছ, গরুর মাংস এবং মুরগির দাম বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে গরুর মাংস সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।
এছাড়া বাজারে চাল, আটা, ডাল, ডিম, গুড়ো দুধ, তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় মুদি মালের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের নাভিশ্বাস উঠেছে। তবে এসব পণ্য ক্রয়ে ক্রেতাদের অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হলেও কাঁচা বাজারে গেলে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন তারা। শাক-সবজির উৎপাদন কিছুটা বেশি হওয়ায় দাম একেবারে পড়ে গেছে। যদিও কৃষকরা বলছেন, সবজির দাম কমে যাওয়ায় তাদের উৎপাদন খরচও উঠছে না। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি ৩০০, সোনালি কক মুরগি ২৮০, বয়লার ১৫০-১৬০ টাকা। রুই মাছের কেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, তেলাপিয়ার কেজি ১৬০-১৮০ টাকা, পাঙ্গাসের কেজি ১৫০ টাকা, ইলিশ আকার ভেদে কেজিপ্রতি ৮০০-১২০০ টাকা। ধানের ভরপুর মৌসুমেও বৃদ্ধি পেয়েছে চালের দাম। গত দুই মাসের ব্যবধানে ৫০ কেজির বস্তায় বেড়েছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা করে। বাজারে দেখা গেছে, পাইজাম চালের ৫০ কেজি ওজনের বস্তুার দাম ২২০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২৪৫০ টাকা, স্বর্ণা ২০০০ টাকা থেকে বেড়ে ২২৫০ টাকা। ২৮ সরু মিনিকেট ২৩০০ থেকে বেড়ে ২৫০০ টাকা, জিরা মিনিকেট ছিল ৩ হাজারের নিচে, বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩৩০০ টাকায়। তবে নতুন মিনিকেটের দাম কিছুটা কম, ৫০ কেজি ওজনের বস্তুা ৩১০০ টাকা। এ ছাড়া ব্যাপক হারে বেড়েছে আলুর দাম, ২০ টাকা কেজির আলু এখন ২৭-২৮ টাকা। ক্রেতাদের নাগালের বাইরে যাবার পথে ডিম, যার ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকা করে। বোতলজাত সয়াবিন তেলের লিটার ২২০-২২৫ টাকা। চিনির কেজি ৮৫ টাকা, খোল আটার কেজি ৪০ টাকা, প্যাকেট আটা ৪৬ টাকা, ছোট মসুর ডাল ১৩০ টাকা, গুড়ো দুধ (মার্কস) আধা কেজির প্যাকেট ৩৬০-৩৭০ টাকা। কম আছে পেঁয়াজের দাম, প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৩-৩৫ টাকায়। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি পটল ২০ টাকা, ঢেঁড়স ১৫-২০ টাকা, শসিন্দার কেজি ২০ টাকা, ধুন্দুল ১৫-২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ২৫ টাকা, জালি কুমড়ার কেজি ২০ টাকা, কচুর লতির কেজি ২৫-৩০ টাকা, পেঁপের কেজি ২৫ টাকা, বরবটির কেজি ৩০ টাকা, করল্লার কেজি ৩০ টাকা, কাঁকরল ৩০-৩৫ টাকা, চিচিঙ্গা ২৫-৩০ টাকা কেজি, বেগুন ২০ টাকা কেজি, কাঁচামরিচের কেজি ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। শাকের মধ্য পুঁই শাকের আঁটি ১০ টাকা, কুমড়া শাক ১৫-২০ টাকা, পাটের শাকের আঁটি ৫ টাকা, কলমি শাকের আঁটি ৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। লক্ষ্মীপুর বাজারে শাক সবজি বিক্রি করতে আসা কৃষক আবদুর রহমান ও নুর নবী বলেন, মাঝে মধ্যে বৃষ্টিপাত হওয়ায় শাক সবজির উৎপাদন বেশি হচ্ছে। তাই বাজারে চাহিদার তুলনায় পণ্যের পরিমাণ বেশি। এতে দাম পড়ে গেছে। আমাদের উৎপাদন খরচও উঠছে না। তারা বলেন, বর্ষায় টানা বৃষ্টিপাত হলে সবজি উৎপাদন কম হবে। ক্ষেতে পানি জমে গেলে যেকোনো সবজির গাছ মরে যায়। তখন আবার দাম বেড়ে যাবে।