ঢাকা ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫

মাছের মাথা বিক্রি করে চলে সংসার

  • আপডেট সময় : ১১:৩৮:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

মহানগর প্রতিবেদন : াসপাতালে রোগীদের খাবার সরবরাহের সময় ভাতের সঙ্গে রুটিন করে মাছ-মাংস দেওয়া হয়। তরকারি হিসেবে রোগীদের মাছের পিস দেওয়া হলেও মাথা তথা মুড়ো দেওয়া হয় না। এই মাছের মাথাগুলো সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহ করেন মো. কামাল (৩০)। অল্প দামে কেনা মাথাগুলো পরে পাড়ার রাস্তায় দাঁড়িয়ে বেচেন তিনি। এই আয়েই চলে তার সংসার।
মিরপুর এলাকার কয়েকটি হসপিটাল থেকে মাছের মাথা ও মুরগির গিলা কলিজা এনে মিরপুর ১৪ নম্বর এলাকায় ফুটপাত ও ওলি-গলিতে বিক্রি করেন কামাল।
সম্প্রতি মিরপুর ১৪ নম্বরের ব্যাটালিয়ন এলাকায় দেখা মেলে কামালের। সেসময় তার কাছ থেকে মাথা কিনছিলেন কয়েকজন ক্রেতা। মাছের মাথা কিনতে আসা মো. আকরাম হোসেন বলেন, বহুদিন ধরে এই ছেলেটাকে এই এলাকায় মাছের মাথা বিক্রি করতে দেখি। এর আগেও আমি আরও একদিন নিয়ে ছিলাম। খুব ভালো, কোনো গন্ধ বা পচা না। দামও কম দুইশ’ টাকা মাত্র। মোহাম্মদ কামাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমার গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলায়। আমি ২০১৪ সালে ঢাকায় এসেছিলাম, তারপর থেকে এই কাজ ওই কাজ করতে করতে অবশেষে মাছের মাথা বিক্রির এই ব্যবসা বেছে নিয়েছি। সবচেয়ে বড় কথা আট-নয়শ টাকা পুঁজি দিয়ে প্রতিদিন পাঁচ-ছয়শ টাকা ইনকাম (লাভ) করে সংসার চালাতে পারছি – এর চেয়ে ভালো খবর আর কী হতে পারে! কিছুদিন আগে বিয়ে করেছি। স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকাতে বাসা নিয়ে থাকি। সব মিলিয়ে কম ইনকাম করেও ভালোই আছি ইনশাআল্লাহ। তিনি আরও বলেন, এছাড়া সময় সুযোগ মতো অন্যান্য কাজও করে থাকি। তবে আমার মতো অনেকে যারা বেকার, চাকরি খুঁজে বেড়াচ্ছেন, তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, বেশি পুঁজি নিয়ে বড় ব্যবসা করার স্বপ্ন না দেখে অল্প পুঁজি নিয়ে ছোট করে ব্যবসা শুরু করুন। বড় ব্যবসায়ী হতে না পারলেও নিজের পায়ে অন্তত দাঁড়াতে পারবেন।

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মাছের মাথা বিক্রি করে চলে সংসার

আপডেট সময় : ১১:৩৮:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪

মহানগর প্রতিবেদন : াসপাতালে রোগীদের খাবার সরবরাহের সময় ভাতের সঙ্গে রুটিন করে মাছ-মাংস দেওয়া হয়। তরকারি হিসেবে রোগীদের মাছের পিস দেওয়া হলেও মাথা তথা মুড়ো দেওয়া হয় না। এই মাছের মাথাগুলো সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহ করেন মো. কামাল (৩০)। অল্প দামে কেনা মাথাগুলো পরে পাড়ার রাস্তায় দাঁড়িয়ে বেচেন তিনি। এই আয়েই চলে তার সংসার।
মিরপুর এলাকার কয়েকটি হসপিটাল থেকে মাছের মাথা ও মুরগির গিলা কলিজা এনে মিরপুর ১৪ নম্বর এলাকায় ফুটপাত ও ওলি-গলিতে বিক্রি করেন কামাল।
সম্প্রতি মিরপুর ১৪ নম্বরের ব্যাটালিয়ন এলাকায় দেখা মেলে কামালের। সেসময় তার কাছ থেকে মাথা কিনছিলেন কয়েকজন ক্রেতা। মাছের মাথা কিনতে আসা মো. আকরাম হোসেন বলেন, বহুদিন ধরে এই ছেলেটাকে এই এলাকায় মাছের মাথা বিক্রি করতে দেখি। এর আগেও আমি আরও একদিন নিয়ে ছিলাম। খুব ভালো, কোনো গন্ধ বা পচা না। দামও কম দুইশ’ টাকা মাত্র। মোহাম্মদ কামাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমার গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলায়। আমি ২০১৪ সালে ঢাকায় এসেছিলাম, তারপর থেকে এই কাজ ওই কাজ করতে করতে অবশেষে মাছের মাথা বিক্রির এই ব্যবসা বেছে নিয়েছি। সবচেয়ে বড় কথা আট-নয়শ টাকা পুঁজি দিয়ে প্রতিদিন পাঁচ-ছয়শ টাকা ইনকাম (লাভ) করে সংসার চালাতে পারছি – এর চেয়ে ভালো খবর আর কী হতে পারে! কিছুদিন আগে বিয়ে করেছি। স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকাতে বাসা নিয়ে থাকি। সব মিলিয়ে কম ইনকাম করেও ভালোই আছি ইনশাআল্লাহ। তিনি আরও বলেন, এছাড়া সময় সুযোগ মতো অন্যান্য কাজও করে থাকি। তবে আমার মতো অনেকে যারা বেকার, চাকরি খুঁজে বেড়াচ্ছেন, তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, বেশি পুঁজি নিয়ে বড় ব্যবসা করার স্বপ্ন না দেখে অল্প পুঁজি নিয়ে ছোট করে ব্যবসা শুরু করুন। বড় ব্যবসায়ী হতে না পারলেও নিজের পায়ে অন্তত দাঁড়াতে পারবেন।