ঢাকা ১১:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

মাঙ্কিপক্স এড়াতে যেসব বিষয়ে সচেতনতা জরুরি

  • আপডেট সময় : ১২:২৫:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জুন ২০২২
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক : মাঙ্কিপক্স নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন দেশে। তবে আশার কথা হলো, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এই রোগ শনাক্ত হয়নি। এ বিষয়ে কিছু সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন এই রোগে আক্রান্ত দেশের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তবে মাঙ্কিপক্স করোনাভাইরাসের মতো ব্যাপক সংক্রমণ ঘটাবে না বলেও তারা মনে করছেন। ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব দেশে মাঙ্কিপক্স সাধারণত দেখা যায় না, বিশেষ করে ইউরোপের সেসব দেশে অন্তত একজন হলেও সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের বেশিরভাগই যুবক এবং তাদের যৌনসম্পর্ক স্থাপনকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৫৮ সালে খাঁচায় বন্দি বানরের শরীরে প্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত হয়। ডেনমার্কের কোপেনহেগেনের একটি গবেষণাগারে ওই বানর পর্যবেক্ষণে রাখা ছিল। এ কারণেই ভাইরাসটির নামকরণ হয় ‘মাঙ্কিপক্স’। ১৯৭০ সালের পর আফ্রিকার ১০টি দেশের প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে বিক্ষপ্তভাবে মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এরপর ২০০৩ সালে প্রথমবারের মতো আফ্রিকার বাইরে যুক্তরাষ্ট্রে এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। কুকুর ও অন্যান্য ক্ষুদ্র স্তন্যপায়ী প্রাণী হয়ে মানুষের শরীরে তা সংক্রমিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রে সেবার সর্বমোট ৮১ জন আক্রান্ত হয়েছিল বলে জানা গেছে। তবে কারও মৃত্যু হয়নি। সুতরাং এই রোগটি মোটেই প্রাণঘাতি নয়। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে এই রোগ থেকে বাঁচতে প্রত্যেকেরই সচেতন হওয়া উচিত।
এ প্রসঙ্গে সঙ্গে কথা হয় ক্যাম্ব্রিজ ইউনিভার্সিটি হসপিটালের চিকিৎসক রাইয়িক রিদওয়ানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সাধারণত পশু থেকে মানুষের শরীরে যেমন কাঠবিড়ালী, ইঁদুর, বানর ইত্যাদির মাধ্যমে পাঙ্কিপক্স ছড়ায়। আক্রান্ত মায়ের নবজাতকেরও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমনকি আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে যৌন মিলনের ফলেও সুস্থ ব্যক্তির দেহে এই ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে।’ এ প্রসঙ্গে আরো কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক হাসান ইমাম এবং জামালপুরের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. নাদিম হাসান। তারা প্রত্যেকেই কিছু বিষয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
যেমন: সব সময় মাস্ক ব্যবহার করা। বাইরে থেকে ফিরে সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে ফেলা। সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে না আসা। আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিস ব্যবহার না করা। বিশেষ করে খাবার, প্লেট, গ্লাস। এমনকি একই বিছানা ব্যবহার না করা। আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে এক রুমে না থাকা। অসুস্থ পশুপাখি থেকে দূরে থাকা। এবং অবশ্যই অসুস্থ বোধ করলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মাঙ্কিপক্স এড়াতে যেসব বিষয়ে সচেতনতা জরুরি

আপডেট সময় : ১২:২৫:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জুন ২০২২

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক : মাঙ্কিপক্স নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন দেশে। তবে আশার কথা হলো, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এই রোগ শনাক্ত হয়নি। এ বিষয়ে কিছু সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন এই রোগে আক্রান্ত দেশের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তবে মাঙ্কিপক্স করোনাভাইরাসের মতো ব্যাপক সংক্রমণ ঘটাবে না বলেও তারা মনে করছেন। ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব দেশে মাঙ্কিপক্স সাধারণত দেখা যায় না, বিশেষ করে ইউরোপের সেসব দেশে অন্তত একজন হলেও সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের বেশিরভাগই যুবক এবং তাদের যৌনসম্পর্ক স্থাপনকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৫৮ সালে খাঁচায় বন্দি বানরের শরীরে প্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত হয়। ডেনমার্কের কোপেনহেগেনের একটি গবেষণাগারে ওই বানর পর্যবেক্ষণে রাখা ছিল। এ কারণেই ভাইরাসটির নামকরণ হয় ‘মাঙ্কিপক্স’। ১৯৭০ সালের পর আফ্রিকার ১০টি দেশের প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে বিক্ষপ্তভাবে মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এরপর ২০০৩ সালে প্রথমবারের মতো আফ্রিকার বাইরে যুক্তরাষ্ট্রে এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। কুকুর ও অন্যান্য ক্ষুদ্র স্তন্যপায়ী প্রাণী হয়ে মানুষের শরীরে তা সংক্রমিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রে সেবার সর্বমোট ৮১ জন আক্রান্ত হয়েছিল বলে জানা গেছে। তবে কারও মৃত্যু হয়নি। সুতরাং এই রোগটি মোটেই প্রাণঘাতি নয়। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে এই রোগ থেকে বাঁচতে প্রত্যেকেরই সচেতন হওয়া উচিত।
এ প্রসঙ্গে সঙ্গে কথা হয় ক্যাম্ব্রিজ ইউনিভার্সিটি হসপিটালের চিকিৎসক রাইয়িক রিদওয়ানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সাধারণত পশু থেকে মানুষের শরীরে যেমন কাঠবিড়ালী, ইঁদুর, বানর ইত্যাদির মাধ্যমে পাঙ্কিপক্স ছড়ায়। আক্রান্ত মায়ের নবজাতকেরও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমনকি আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে যৌন মিলনের ফলেও সুস্থ ব্যক্তির দেহে এই ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে।’ এ প্রসঙ্গে আরো কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক হাসান ইমাম এবং জামালপুরের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. নাদিম হাসান। তারা প্রত্যেকেই কিছু বিষয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
যেমন: সব সময় মাস্ক ব্যবহার করা। বাইরে থেকে ফিরে সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে ফেলা। সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে না আসা। আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিস ব্যবহার না করা। বিশেষ করে খাবার, প্লেট, গ্লাস। এমনকি একই বিছানা ব্যবহার না করা। আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে এক রুমে না থাকা। অসুস্থ পশুপাখি থেকে দূরে থাকা। এবং অবশ্যই অসুস্থ বোধ করলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া।