ঢাকা ০১:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫
তিন আসামির খালাসি নিয়ে ক্ষুব্ধ মা

মাগুরার শিশু ধর্ষণ-হত্যায় হিটু শেখের প্রাণদণ্ড

  • আপডেট সময় : ০৭:৩১:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

মাগুরা সংবাদদাতা: মাগুরার আট বছরের শিশুর ধর্ষণ ও হত্যার আলোচিত মামলার মূল আসামি হিটু শেখকে প্রাণদণ্ড দিয়েছে আদালত।
মামলার বাকি তিন আসামি শিশুটির বোনের জামাতা সজীব শেখ, সজীবের ভাই রাতুল শেখ ও তাদের মা জাহেদা বেগম পেয়েছেন খালাস। তবে প্রধান আসামির মৃত্যুদণ্ড হলেও বাকি তিন আসামির খালাসে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যাওয়া মাগুরার শিশুটির মা।

শনিবার (১৭ মে) সকাল সাড়ে ৯টায় মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান এই রায় ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মুকুল। এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চার আসামিকে কারাগার থেকে মাগুরার বিচারিক আদালতে নেওয়া হয়। ঘটনার মাত্র দুই মাস ১১ দিনের মাথায় এই মামলার রায় হলো।

গত ৬ মার্চ মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার শিশুটি তার বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার হয়। সাত দিন পর ১৩ মার্চ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মারা যায় শিশুটি। এরপর ১৩ এপ্রিল মাগুরার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন।
মামলার মূল আসামি হিটু শেখ ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে তিনি মামলার সাক্ষ্যে একাধিক দিন সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছেন, তিনি এর সঙ্গে জড়িত নন।
জেলা পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা বলেন, আলোচিত এই মামলায় রায় ঘোষণা উপলক্ষে আদালত চত্বর ও এর আশপাশে শনিবার সকাল থেকে অতিরিক্ত পুলিশ পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

অভিযোগপত্রে অপরাধীদের সংশ্লিষ্টতা: ধর্ষণ ও হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে প্রধান আসামি হিটু শেখের যে ‘বীভৎসতার’ বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, তাতে তার ‘বিকৃত ও পৈশাচিক মানসিকতাই’ প্রকাশ পেয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মন্তব্য করেছেন। আট বছরের শিশুটিকে যৌন নিপীড়ন করতে গিয়ে প্রধান আসামি ধারালো ব্লেড ব্যবহার করেছেন- অভিযোগপত্রের এমন বিবরণ শুনে একজন নারীনেত্রী মন্তব্য করেছেন, ‘এটা শুধু একজন বিকৃত, পৈশাচিক আর জানোয়ারের পক্ষেই সম্ভব। একটা নিষ্পাপ শিশুর সঙ্গে এটা কল্পনাতীত পশুত্বের আচরণ করা হয়েছে।’
বাড়িতে একা পেয়ে শিশুটিকে তিনি ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের পরেও তিনি স্বাভাবিক ছিলেন। খাওয়া-দাওয়া করেছেন এবং মাঠে গিয়ে কাজে যোগ দিয়েছেন। মামলায় হিটু শেখের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আইনের ৯ এর ২ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই ধারায় বলা হয়েছে- ‘যদি কোন ব্যক্তি কর্তৃক ধর্ষণ বা উক্ত ধর্ষণ পরবর্তী তাহার অন্যবিধ কার্যকলাপের ফলে [ধর্ষণের শিকার] নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত [অনধিক বিশ লক্ষ টাকা] অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন।

শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে এটা বুঝতে পেরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে ও স্বামীকে বাঁচাতে ‘জ্বীনে আঁচর করেছে বলে সুকৌশলে’ প্রথমেই হাসপাতালে না নিয়ে ঝাঁড়ফুঁক করানোর জন্য এক হুজুরের কাছে নিয়ে যান প্রধান আসামি হিটু শেখের স্ত্রী জাহেদা বেগম। কিন্তু সদর উপজেলার নিজনান্দুয়ালি মদিনাতুল উলুম পৌর গোরস্থান মাদ্রাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের হুজুর শিশুটির গলার কালচে দাগ ও বুকে আঁচড়ের চিহ্ন দেখে বলেন, ‘এটি ঝাঁড়-ফুঁকের কাজ না। আপনারা দ্রুত বাচ্চাটাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।’

তারপরই শিশুটিকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও শিশুটির বড় বোনের শাশুড়ি জাহেদা বেগম (৩৮) চিকিৎসক ও নার্সদের বিভ্রান্ত করেন। ঘটনার প্রকৃত তথ্য না দিয়ে তিনি বলেন, পেটের ব্যাথা নিয়ে শিশুটি মাটিতে গড়াগাড়ি দিয়েছে। এবং হাসপাতালে ভর্তি না করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যেতে চান। অভিযোগপত্রে জাহেদা বেগমের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। যারা অপরাধীকে বাঁচানোর চেষ্টা করে, সত্য গোপন করে এবং আলামত নষ্ট করে তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এ ছাড়া হিটু শেখ ও জাহেদা বেগমের দুই ছেলে সজীব শেখ ও রাতুল শেখের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি আইনের ৫০৪ অনুযায়ী অভিযোগ আনা হয়েছে।

তিন আসামির খালাসি নিয়ে ক্ষুব্ধ মা: প্রধান আসামির মৃত্যুদণ্ড হলেও বাকি তিন আসামির খালাসে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যাওয়া মাগুরার শিশুটির মা। শনিবার সকালে রায় ঘোষণার পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘হিটু শেখের সঙ্গে আরো তিনটা আসামি ছিল, তারা আমার মেয়েকে মারতে সহযোগিতা করছে। তারা কীভাবে খালাস পেয়ে গেল? আমি চাই, ওরাও তো দোষী, ওদেরও শাস্তি হোক।’
এ সময় নিজের মেয়ের জামাই সজীব শেখের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘তার তো শালী, তার তো একটা দায়িত্ব ছিল। ও তো নিজেই ছেড়ে দিছে। তাইলে আমরা এই রায়ে খুশি হলাম কীভাবে? আমি হাইকোর্টে যাবো, যাতে ওই তিনজনেরও শাস্তি হয়।’

তিন আসামির ব্যাপারে আপিলের বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়োজিত বিশেষ কৌঁসুলি এহসানুল হক সমাজী বলেন, ‘আমরা সেই রায়ের কপি সংগ্রহ করে সেটাকে পর্যালোচনা করে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যথানিয়মে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক উপদিষ্ট হলে বা ইনস্ট্রাক্টেড হলে উচ্চ আদালতে আপিল দায়ের করার সুযোগ রয়েছে।’

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

তিন আসামির খালাসি নিয়ে ক্ষুব্ধ মা

মাগুরার শিশু ধর্ষণ-হত্যায় হিটু শেখের প্রাণদণ্ড

আপডেট সময় : ০৭:৩১:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

মাগুরা সংবাদদাতা: মাগুরার আট বছরের শিশুর ধর্ষণ ও হত্যার আলোচিত মামলার মূল আসামি হিটু শেখকে প্রাণদণ্ড দিয়েছে আদালত।
মামলার বাকি তিন আসামি শিশুটির বোনের জামাতা সজীব শেখ, সজীবের ভাই রাতুল শেখ ও তাদের মা জাহেদা বেগম পেয়েছেন খালাস। তবে প্রধান আসামির মৃত্যুদণ্ড হলেও বাকি তিন আসামির খালাসে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যাওয়া মাগুরার শিশুটির মা।

শনিবার (১৭ মে) সকাল সাড়ে ৯টায় মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান এই রায় ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মুকুল। এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চার আসামিকে কারাগার থেকে মাগুরার বিচারিক আদালতে নেওয়া হয়। ঘটনার মাত্র দুই মাস ১১ দিনের মাথায় এই মামলার রায় হলো।

গত ৬ মার্চ মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার শিশুটি তার বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার হয়। সাত দিন পর ১৩ মার্চ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মারা যায় শিশুটি। এরপর ১৩ এপ্রিল মাগুরার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন।
মামলার মূল আসামি হিটু শেখ ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে তিনি মামলার সাক্ষ্যে একাধিক দিন সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছেন, তিনি এর সঙ্গে জড়িত নন।
জেলা পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা বলেন, আলোচিত এই মামলায় রায় ঘোষণা উপলক্ষে আদালত চত্বর ও এর আশপাশে শনিবার সকাল থেকে অতিরিক্ত পুলিশ পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

অভিযোগপত্রে অপরাধীদের সংশ্লিষ্টতা: ধর্ষণ ও হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে প্রধান আসামি হিটু শেখের যে ‘বীভৎসতার’ বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, তাতে তার ‘বিকৃত ও পৈশাচিক মানসিকতাই’ প্রকাশ পেয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মন্তব্য করেছেন। আট বছরের শিশুটিকে যৌন নিপীড়ন করতে গিয়ে প্রধান আসামি ধারালো ব্লেড ব্যবহার করেছেন- অভিযোগপত্রের এমন বিবরণ শুনে একজন নারীনেত্রী মন্তব্য করেছেন, ‘এটা শুধু একজন বিকৃত, পৈশাচিক আর জানোয়ারের পক্ষেই সম্ভব। একটা নিষ্পাপ শিশুর সঙ্গে এটা কল্পনাতীত পশুত্বের আচরণ করা হয়েছে।’
বাড়িতে একা পেয়ে শিশুটিকে তিনি ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের পরেও তিনি স্বাভাবিক ছিলেন। খাওয়া-দাওয়া করেছেন এবং মাঠে গিয়ে কাজে যোগ দিয়েছেন। মামলায় হিটু শেখের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আইনের ৯ এর ২ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই ধারায় বলা হয়েছে- ‘যদি কোন ব্যক্তি কর্তৃক ধর্ষণ বা উক্ত ধর্ষণ পরবর্তী তাহার অন্যবিধ কার্যকলাপের ফলে [ধর্ষণের শিকার] নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত [অনধিক বিশ লক্ষ টাকা] অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন।

শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে এটা বুঝতে পেরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে ও স্বামীকে বাঁচাতে ‘জ্বীনে আঁচর করেছে বলে সুকৌশলে’ প্রথমেই হাসপাতালে না নিয়ে ঝাঁড়ফুঁক করানোর জন্য এক হুজুরের কাছে নিয়ে যান প্রধান আসামি হিটু শেখের স্ত্রী জাহেদা বেগম। কিন্তু সদর উপজেলার নিজনান্দুয়ালি মদিনাতুল উলুম পৌর গোরস্থান মাদ্রাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের হুজুর শিশুটির গলার কালচে দাগ ও বুকে আঁচড়ের চিহ্ন দেখে বলেন, ‘এটি ঝাঁড়-ফুঁকের কাজ না। আপনারা দ্রুত বাচ্চাটাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।’

তারপরই শিশুটিকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও শিশুটির বড় বোনের শাশুড়ি জাহেদা বেগম (৩৮) চিকিৎসক ও নার্সদের বিভ্রান্ত করেন। ঘটনার প্রকৃত তথ্য না দিয়ে তিনি বলেন, পেটের ব্যাথা নিয়ে শিশুটি মাটিতে গড়াগাড়ি দিয়েছে। এবং হাসপাতালে ভর্তি না করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যেতে চান। অভিযোগপত্রে জাহেদা বেগমের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। যারা অপরাধীকে বাঁচানোর চেষ্টা করে, সত্য গোপন করে এবং আলামত নষ্ট করে তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এ ছাড়া হিটু শেখ ও জাহেদা বেগমের দুই ছেলে সজীব শেখ ও রাতুল শেখের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি আইনের ৫০৪ অনুযায়ী অভিযোগ আনা হয়েছে।

তিন আসামির খালাসি নিয়ে ক্ষুব্ধ মা: প্রধান আসামির মৃত্যুদণ্ড হলেও বাকি তিন আসামির খালাসে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যাওয়া মাগুরার শিশুটির মা। শনিবার সকালে রায় ঘোষণার পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘হিটু শেখের সঙ্গে আরো তিনটা আসামি ছিল, তারা আমার মেয়েকে মারতে সহযোগিতা করছে। তারা কীভাবে খালাস পেয়ে গেল? আমি চাই, ওরাও তো দোষী, ওদেরও শাস্তি হোক।’
এ সময় নিজের মেয়ের জামাই সজীব শেখের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘তার তো শালী, তার তো একটা দায়িত্ব ছিল। ও তো নিজেই ছেড়ে দিছে। তাইলে আমরা এই রায়ে খুশি হলাম কীভাবে? আমি হাইকোর্টে যাবো, যাতে ওই তিনজনেরও শাস্তি হয়।’

তিন আসামির ব্যাপারে আপিলের বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়োজিত বিশেষ কৌঁসুলি এহসানুল হক সমাজী বলেন, ‘আমরা সেই রায়ের কপি সংগ্রহ করে সেটাকে পর্যালোচনা করে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যথানিয়মে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক উপদিষ্ট হলে বা ইনস্ট্রাক্টেড হলে উচ্চ আদালতে আপিল দায়ের করার সুযোগ রয়েছে।’