ঢাকা ০২:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫

মাইলস্টোনে পোড়া ভবন দেখতে আসছে মানুষ

  • আপডেট সময় : ০৮:৫১:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫
  • ৩৮ বার পড়া হয়েছে

যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে পুড়ে যাওয়া ভবন দেখতে দূর দূরান্ত থেকে আসছে মানুষ -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: কেউ তুলছেন সেলফি, কেউ ভিডিও, কেউ আবার ভিডিও কলে অন্যদের দেখাচ্ছেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পুড়ে যাওয়া হায়দার আলী ভবন। যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের পর পুড়ে যাওয়া এ ভবন দেখতে দূর দূরান্ত থেকে আসছে মানুষ।

শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে সরেজমিনে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে মানুষের ভিড় দেখা গেছে। কেউ পরিবার পরিজন নিয়ে, কেউ ছোট শিশুদের নিয়ে, আবার কেউ কেউ আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে দেখতে এসেছেন ভয়াবহ এ দুর্ঘটনাস্থল। অসুস্থ মাকে নিয়ে কাওলা থেকে এসেছেন নাসরিন বেগম। একটি সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, মায়ের ইচ্ছা পূরণ করতে তিনি এসেছেন এখানে। নাসরিন বেগম বলেন, দুর্ঘটনার পর থেকে মা বলছিলেন এখানে আসবেন। কিন্তু ভিড়ের কথা চিন্তা করে আনা হয়নি। আজ সময় পেয়ে নিয়ে আসলাম।

বিকেল সাড়ে ৪টায় স্কুল গেটের বাইরে রিকশার জট দেখা যায়। চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সপ্তাহ জুড়েই মানুষ আসছে মাইলস্টোন স্কুলটি দেখতে। বেশিরভাগ দর্শনার্থীই উত্তরার বাসিন্দা। তবে দূর থেকেও আসছেন অনেকে। মিজান নামের এক রিকশাচালক বলেন, আজ এখানে তিনবার আসলাম। এখন আসছি হাউস বিল্ডিং থেকে। যিনি আসছেন তিনি আমার পরিচিত, পোড়া ভবন দেখেই চলে আসবেন। এ জন্য বাইরে অপেক্ষা করছি।

শুক্রবার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের মেইন গেট বাদে বাকি দুটি গেট বন্ধ রয়েছে। স্কুলের ভেতরে কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে বসে থাকতে দেখা গেছে। পুড়ে যাওয়া হায়দার আলী ভবনের সামনে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী গেট। সেই গেটের তালা খোলা রয়েছে। দর্শনার্থীরা পুড়ে যাওয়া ভবনের কাছে গিয়ে ছবি, ভিডিও নিচ্ছিলেন। এদিন স্কুল কর্তৃপক্ষের কাউকে দেখা যায়নি। মেইন গেটে কথা হয় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নিরাপত্তাকর্মী সম্রাট হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত স্কুল গেট খোলা রাখা হয়েছে। এলাকাবাসী আবদার করেছে দুর্ঘটনার স্থান দেখবে। এ জন্য বাধ্য হয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ গেট খোলা রেখেছে।

দুই বন্ধুকে নিয়ে আশুলিয়া থেকে এসেছেন আলিম উদ্দিন। তিনি বলেন, বিমানটি যে শ্রেণিকক্ষে বিধ্বস্ত হয়েছে সেটি আমরা টেলিভিশনে দেখেছি। অনেক শিশু মারা গেছে। ওই জায়গাটা আমরা নিজ চোখে দেখতে এসেছি। গত ২১ জুলাই মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৪ জন মারা গেছেন, যাদের অধিকাংশই ওই স্কুলের শিক্ষার্থী।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ব্যাংক কর্মকর্তাদের তারুণ্যের উৎসবে যোগ দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ

মাইলস্টোনে পোড়া ভবন দেখতে আসছে মানুষ

আপডেট সময় : ০৮:৫১:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: কেউ তুলছেন সেলফি, কেউ ভিডিও, কেউ আবার ভিডিও কলে অন্যদের দেখাচ্ছেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পুড়ে যাওয়া হায়দার আলী ভবন। যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের পর পুড়ে যাওয়া এ ভবন দেখতে দূর দূরান্ত থেকে আসছে মানুষ।

শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে সরেজমিনে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে মানুষের ভিড় দেখা গেছে। কেউ পরিবার পরিজন নিয়ে, কেউ ছোট শিশুদের নিয়ে, আবার কেউ কেউ আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে দেখতে এসেছেন ভয়াবহ এ দুর্ঘটনাস্থল। অসুস্থ মাকে নিয়ে কাওলা থেকে এসেছেন নাসরিন বেগম। একটি সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, মায়ের ইচ্ছা পূরণ করতে তিনি এসেছেন এখানে। নাসরিন বেগম বলেন, দুর্ঘটনার পর থেকে মা বলছিলেন এখানে আসবেন। কিন্তু ভিড়ের কথা চিন্তা করে আনা হয়নি। আজ সময় পেয়ে নিয়ে আসলাম।

বিকেল সাড়ে ৪টায় স্কুল গেটের বাইরে রিকশার জট দেখা যায়। চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সপ্তাহ জুড়েই মানুষ আসছে মাইলস্টোন স্কুলটি দেখতে। বেশিরভাগ দর্শনার্থীই উত্তরার বাসিন্দা। তবে দূর থেকেও আসছেন অনেকে। মিজান নামের এক রিকশাচালক বলেন, আজ এখানে তিনবার আসলাম। এখন আসছি হাউস বিল্ডিং থেকে। যিনি আসছেন তিনি আমার পরিচিত, পোড়া ভবন দেখেই চলে আসবেন। এ জন্য বাইরে অপেক্ষা করছি।

শুক্রবার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের মেইন গেট বাদে বাকি দুটি গেট বন্ধ রয়েছে। স্কুলের ভেতরে কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে বসে থাকতে দেখা গেছে। পুড়ে যাওয়া হায়দার আলী ভবনের সামনে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী গেট। সেই গেটের তালা খোলা রয়েছে। দর্শনার্থীরা পুড়ে যাওয়া ভবনের কাছে গিয়ে ছবি, ভিডিও নিচ্ছিলেন। এদিন স্কুল কর্তৃপক্ষের কাউকে দেখা যায়নি। মেইন গেটে কথা হয় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নিরাপত্তাকর্মী সম্রাট হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত স্কুল গেট খোলা রাখা হয়েছে। এলাকাবাসী আবদার করেছে দুর্ঘটনার স্থান দেখবে। এ জন্য বাধ্য হয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ গেট খোলা রেখেছে।

দুই বন্ধুকে নিয়ে আশুলিয়া থেকে এসেছেন আলিম উদ্দিন। তিনি বলেন, বিমানটি যে শ্রেণিকক্ষে বিধ্বস্ত হয়েছে সেটি আমরা টেলিভিশনে দেখেছি। অনেক শিশু মারা গেছে। ওই জায়গাটা আমরা নিজ চোখে দেখতে এসেছি। গত ২১ জুলাই মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৪ জন মারা গেছেন, যাদের অধিকাংশই ওই স্কুলের শিক্ষার্থী।