ঢাকা ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে আজ শুরু হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা

  • আপডেট সময় : ০২:২৫:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অক্টোবর ২০২১
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : পাঁচদিন ব্যাপী শারদীয় দুর্গাপূজা আজ সোমবার মহা ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে। ১৫ অক্টোবর শুক্রবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বাঙালির এই শারদোৎসবের।
হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে এখন সারাদেশে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। দুর্গাপূজাকে আনন্দমুখর করে তুলতে দেশজুড়ে পূজা মন্ডপগুলো বর্ণাঢ্য সাজে সাজানো হয়েছে।
বিশুদ্ধ পঞ্জিকা অনুযায়ী, দেবী দুর্গা এবার আসছেন ঘোটকে অর্থাৎ ঘোড়ায় চড়ে। ঘোড়া এমন একটি বাহন যা যুদ্ধের সময়ে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ঘোড়ার পায়ের শব্দও যুদ্ধেরই ইঙ্গিত দেয়। তাই পঞ্জিকা মতেই ঘোটকে আগমন মানেই ছত্রভঙ্গের কথাই বলা হয়। অর্থাৎ এই সময়ে যুদ্ধ, অশান্তি, হানাহানির সম্ভাবনা থাকে। পঞ্জিকা বলছে, মা দুর্গার এবার দোলায় গমন। দোলায় গমনের ফলাফল হল মড়ক লাগা।
গতকাল রোববার সারাদেশের পূজামন্ডপগুলোতে দুর্গা দেবীর বোধন অনুষ্ঠিত হয়। শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রাক্কালে এই বোধনের মাধ্যমে দক্ষিণায়নের নিদ্রিত দেবী দুর্গার নিদ্রা ভাঙার জন্য বন্দনা পূজা করা হয়। মন্ডপে-মন্দিরে পঞ্চমীতে সায়ংকালে তথা সন্ধ্যায় এই বন্দনা পূজা অনুষ্ঠিত হয়। আজ ১১ অক্টোবর ষষ্ঠী, ১২ অক্টোবর সপ্তমী, ১৩ অক্টোবর অষ্টমী, ১৪ অক্টোবর নবমী এবং ১৫ অক্টোবর দশমী।
এবার সারাদেশে ৩২ হাজার ১১৮টি পূজামন্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ঢাকা মহানগরে পূজা হবে ২৩৮টি। যা গতবারের চেয়ে চারটি বেশি।
পূরাণ মতে, রাজা সুরথ প্রথম দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করেন। বসন্তে তিনি পূজার আয়োজন করায় দেবীর এ পূজাকে বাসন্তী পূজা বলা হয়। কিন্তু রাবণের হাত থেকে সীতাকে উদ্ধার করতে লংকা যাত্রার আগে শ্রী রামচন্দ্র দেবীর পূজার আয়োজন করেছিলেন শরৎকালের অমাবস্যা তিথিতে, যা শারদীয় দুর্গোৎসব নামে পরিচিত। দেবীর শরৎকালের পূজাকে এজন্যই হিন্দুমতে অকাল বোধনও বলা হয়।
দুর্গোৎসব উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে সারাদেশে ৩১ হাজার ৩৯৮টি ও ২০২০ সালে ৩০ হাজার ২১৩টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। আর চলতি বছর সারাদেশে ৩২ হাজার ১১৮টি মন্ডপে হবে দুর্গাপূজা। গত বছরের চেয়ে এবার পূজার সংখ্যা বেড়েছে ১ হাজার ৯০৫টি। ঢাকা মহানগরে এ বছর পূজা হবে ২৩৮টি, যা গত বছরের চেয়ে চারটি বেশি। এ বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৩ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন, যা গতবারের চেয়ে ১ কোটি টাকা বেশি। করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে উৎসব সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পরিহার করে সাত্ত্বিক পূজায় সীমাবদ্ধ রাখতে ভক্তদের প্রতি অনুরোধ করেছে পূজা উদযাপন পরিষদ। এছাড়া মেলা, আলোকসজ্জা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আরতি প্রতিযোগিতা বন্ধ এবং বিজয়া দশমীর দিন শোভাযাত্রা পরিহার করে প্রতিমা বিসর্জন দেয়ার নির্দেশ রয়েছে বলে জানানো হয়।
পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জি জানান, বর্তমান সরকার রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আসার পর প্রতি বছর ধারাবাহিকভাবে পূজার সংখ্যা বেড়েছে। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আস্থা, সরকারি অনুদান ও শুভানুধ্যায়ীদের অনুদান নিঃসন্দেহে পূজার সংখ্যা বাড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে।
রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের প্রতিটি পূজামন্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ, আনসার, র‌্যাব ও বিডিআর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। পুলিশ এবং র‌্যাবের পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি মন্ডপে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। ঢাকেশ্বরী মন্দির মেলাঙ্গনে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।
পূজাম-পে মাস্ক ছাড়া কেউ ঢুকতে পারবে না: পূজাম-পে মাস্ক ছাড়া কেউ ঢুকতে পারবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন , কেউ মাস্ক ছাড়া ম-পে ঢুকতে চাইলে পুলিশ তা করতে দেবে না। শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে গতকাল রোববার রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব বলেন ডিএমপি কমিশনার।
শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সবার প্রতি আমার অনুরোধ, এই উৎসবে কোনোভাবেই স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করা যাবে না। বর্তমানে আমাদের করোনা সংক্রমণ কমে ২ শতাংশ হয়েছে। তবে আত্মতৃপ্তিতে ভুগলে হবে না। আমরা মাস্ক ছাড়া কাউকে ম-পে প্রবেশ করতে দিব না। আমার অনুরোধ, আপনারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে মন্দিরে আসবেন। যাঁরা বয়স্ক ও টিকা নেননি, তাঁদের পূজাম-পে না আনার অনুরোধ করছি।’
মন্দিরগুলোকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বড় মন্দিরগুলোতে সার্বক্ষণিক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পূজাম-পগুলো সিসিটিভির আওতায় থাকবে। একই সঙ্গে প্রতিটি পূজাম-প পুলিশের নজরদারির আওতায় থাকবে। ইউনিফর্ম পুলিশের পাশাপাশি সাদাপোশাকে ডিবি, আইএডি, এসবি ও অন্যান্য গোয়েন্দা বাহিনীর লোকজন মোতায়ন থাকবেন।
নিরাপত্তাব্যবস্থা এমনভাবে জোরদার করা হবে, যাতে কেউ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর সাহস না পায়। পূজা ঘিরে কোনো ধরনের জঙ্গি হামলার আশঙ্কা আছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তা বিষয়ে তেমন ঝুঁকি দেখছি না, তবে আশঙ্কার কথা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছি না। এ ক্ষেত্রে অনলাইন নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অন্তর্বর্তী সরকার ভালো কাজ করছে, আমাদের পথ দেখাচ্ছে: ফখরুল

মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে আজ শুরু হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা

আপডেট সময় : ০২:২৫:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অক্টোবর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : পাঁচদিন ব্যাপী শারদীয় দুর্গাপূজা আজ সোমবার মহা ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে। ১৫ অক্টোবর শুক্রবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বাঙালির এই শারদোৎসবের।
হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে এখন সারাদেশে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। দুর্গাপূজাকে আনন্দমুখর করে তুলতে দেশজুড়ে পূজা মন্ডপগুলো বর্ণাঢ্য সাজে সাজানো হয়েছে।
বিশুদ্ধ পঞ্জিকা অনুযায়ী, দেবী দুর্গা এবার আসছেন ঘোটকে অর্থাৎ ঘোড়ায় চড়ে। ঘোড়া এমন একটি বাহন যা যুদ্ধের সময়ে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ঘোড়ার পায়ের শব্দও যুদ্ধেরই ইঙ্গিত দেয়। তাই পঞ্জিকা মতেই ঘোটকে আগমন মানেই ছত্রভঙ্গের কথাই বলা হয়। অর্থাৎ এই সময়ে যুদ্ধ, অশান্তি, হানাহানির সম্ভাবনা থাকে। পঞ্জিকা বলছে, মা দুর্গার এবার দোলায় গমন। দোলায় গমনের ফলাফল হল মড়ক লাগা।
গতকাল রোববার সারাদেশের পূজামন্ডপগুলোতে দুর্গা দেবীর বোধন অনুষ্ঠিত হয়। শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রাক্কালে এই বোধনের মাধ্যমে দক্ষিণায়নের নিদ্রিত দেবী দুর্গার নিদ্রা ভাঙার জন্য বন্দনা পূজা করা হয়। মন্ডপে-মন্দিরে পঞ্চমীতে সায়ংকালে তথা সন্ধ্যায় এই বন্দনা পূজা অনুষ্ঠিত হয়। আজ ১১ অক্টোবর ষষ্ঠী, ১২ অক্টোবর সপ্তমী, ১৩ অক্টোবর অষ্টমী, ১৪ অক্টোবর নবমী এবং ১৫ অক্টোবর দশমী।
এবার সারাদেশে ৩২ হাজার ১১৮টি পূজামন্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ঢাকা মহানগরে পূজা হবে ২৩৮টি। যা গতবারের চেয়ে চারটি বেশি।
পূরাণ মতে, রাজা সুরথ প্রথম দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করেন। বসন্তে তিনি পূজার আয়োজন করায় দেবীর এ পূজাকে বাসন্তী পূজা বলা হয়। কিন্তু রাবণের হাত থেকে সীতাকে উদ্ধার করতে লংকা যাত্রার আগে শ্রী রামচন্দ্র দেবীর পূজার আয়োজন করেছিলেন শরৎকালের অমাবস্যা তিথিতে, যা শারদীয় দুর্গোৎসব নামে পরিচিত। দেবীর শরৎকালের পূজাকে এজন্যই হিন্দুমতে অকাল বোধনও বলা হয়।
দুর্গোৎসব উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে সারাদেশে ৩১ হাজার ৩৯৮টি ও ২০২০ সালে ৩০ হাজার ২১৩টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। আর চলতি বছর সারাদেশে ৩২ হাজার ১১৮টি মন্ডপে হবে দুর্গাপূজা। গত বছরের চেয়ে এবার পূজার সংখ্যা বেড়েছে ১ হাজার ৯০৫টি। ঢাকা মহানগরে এ বছর পূজা হবে ২৩৮টি, যা গত বছরের চেয়ে চারটি বেশি। এ বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৩ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন, যা গতবারের চেয়ে ১ কোটি টাকা বেশি। করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে উৎসব সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পরিহার করে সাত্ত্বিক পূজায় সীমাবদ্ধ রাখতে ভক্তদের প্রতি অনুরোধ করেছে পূজা উদযাপন পরিষদ। এছাড়া মেলা, আলোকসজ্জা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আরতি প্রতিযোগিতা বন্ধ এবং বিজয়া দশমীর দিন শোভাযাত্রা পরিহার করে প্রতিমা বিসর্জন দেয়ার নির্দেশ রয়েছে বলে জানানো হয়।
পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জি জানান, বর্তমান সরকার রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আসার পর প্রতি বছর ধারাবাহিকভাবে পূজার সংখ্যা বেড়েছে। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আস্থা, সরকারি অনুদান ও শুভানুধ্যায়ীদের অনুদান নিঃসন্দেহে পূজার সংখ্যা বাড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে।
রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের প্রতিটি পূজামন্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ, আনসার, র‌্যাব ও বিডিআর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। পুলিশ এবং র‌্যাবের পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি মন্ডপে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। ঢাকেশ্বরী মন্দির মেলাঙ্গনে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।
পূজাম-পে মাস্ক ছাড়া কেউ ঢুকতে পারবে না: পূজাম-পে মাস্ক ছাড়া কেউ ঢুকতে পারবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন , কেউ মাস্ক ছাড়া ম-পে ঢুকতে চাইলে পুলিশ তা করতে দেবে না। শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে গতকাল রোববার রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব বলেন ডিএমপি কমিশনার।
শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সবার প্রতি আমার অনুরোধ, এই উৎসবে কোনোভাবেই স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করা যাবে না। বর্তমানে আমাদের করোনা সংক্রমণ কমে ২ শতাংশ হয়েছে। তবে আত্মতৃপ্তিতে ভুগলে হবে না। আমরা মাস্ক ছাড়া কাউকে ম-পে প্রবেশ করতে দিব না। আমার অনুরোধ, আপনারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে মন্দিরে আসবেন। যাঁরা বয়স্ক ও টিকা নেননি, তাঁদের পূজাম-পে না আনার অনুরোধ করছি।’
মন্দিরগুলোকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বড় মন্দিরগুলোতে সার্বক্ষণিক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পূজাম-পগুলো সিসিটিভির আওতায় থাকবে। একই সঙ্গে প্রতিটি পূজাম-প পুলিশের নজরদারির আওতায় থাকবে। ইউনিফর্ম পুলিশের পাশাপাশি সাদাপোশাকে ডিবি, আইএডি, এসবি ও অন্যান্য গোয়েন্দা বাহিনীর লোকজন মোতায়ন থাকবেন।
নিরাপত্তাব্যবস্থা এমনভাবে জোরদার করা হবে, যাতে কেউ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর সাহস না পায়। পূজা ঘিরে কোনো ধরনের জঙ্গি হামলার আশঙ্কা আছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তা বিষয়ে তেমন ঝুঁকি দেখছি না, তবে আশঙ্কার কথা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছি না। এ ক্ষেত্রে অনলাইন নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।’