ঢাকা ১০:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫

মহামারিতে প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন কমাল এডিবি

  • আপডেট সময় : ০১:২৩:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১৪৩ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন কমিয়ে এনেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি।
গতকাল বুধবার প্রকাশিত এডিবির ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুকের সেপ্টেম্বর আপডেটে বলা হয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি ৫ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়তে পারে, যা আগে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে বলে প্রাক্কলন করেছিল ম্যানিলাভিত্তিক এই ঋণদাতা সংস্থা। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলনও কমানো হয়েছে এই প্রতিবেদনে। এডিবি বলছে, এ অর্থবছর বাংলাদেশের অর্থনীতি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হারে বাড়তে পারে, যা আগে ৭ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। কেবল বাংলাদেশ নয়, প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন পুরো দক্ষিণ এশিয়ার জন্যই কমিয়েছে এডিবি।
আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সম্মিলিত প্রবৃদ্ধির প্রক্ষেপণ এপ্রিলের ৯ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ ধরা হয়েছে সেপ্টেম্বরের প্রতিবেদনে। প্রক্ষেপণ কমিয়ে আনার মূল কারণ করোনাভাইরাসের সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ, যা এ বছর পুরো দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক কর্মকা-কে দারুণভাবে ব্যাহত করেছে। করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ডেল্টা ধরনের প্রাদুর্ভাবে এ বছরও কয়েক দফা লকডাউনের বিধিনিষেধ দিতে হয়েছে বাংলাদেশকে। পাশাপাশি টিকাদানের ধীরগতির কারণেও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কাঙ্ক্ষিত গতি পাচ্ছে না বলে এডিবি মনে করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় যেসব দেশে টিকাদানের গতি সবচেয়ে ধীর, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। এদিন দিয়ে নেপাল, পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং ভুটানের চেয়ে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ পরিসংখ্যা ব্যুরো ২০২০-২১ অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির যে সাময়িক হিসাব প্রকাশ করেছে, তাতে প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। গত অর্থবছরের বাজেটে সরকার ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরলেও মহামারী পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করায় তা সংশোধন করে ৬ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির প্রাক্বলন করা হয়েছিল। অর্থবছর শেষে গত অগাস্টে পরিসংখ্যার ব্যুরোর প্রাক্কলনে তা আরও কমে আসে। মহামারীর শুরুর ধাক্কায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি নেমে গিয়েছিল ৩ দশমিক ৫১ শতাংশে, যা তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে সরকার ৭ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে। আ বিশ্ব ব্যাংকের পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, এ অর্থবছরে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ১ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি পেতে পারে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

মহামারিতে প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন কমাল এডিবি

আপডেট সময় : ০১:২৩:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন কমিয়ে এনেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি।
গতকাল বুধবার প্রকাশিত এডিবির ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুকের সেপ্টেম্বর আপডেটে বলা হয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি ৫ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়তে পারে, যা আগে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে বলে প্রাক্কলন করেছিল ম্যানিলাভিত্তিক এই ঋণদাতা সংস্থা। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলনও কমানো হয়েছে এই প্রতিবেদনে। এডিবি বলছে, এ অর্থবছর বাংলাদেশের অর্থনীতি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হারে বাড়তে পারে, যা আগে ৭ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। কেবল বাংলাদেশ নয়, প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন পুরো দক্ষিণ এশিয়ার জন্যই কমিয়েছে এডিবি।
আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সম্মিলিত প্রবৃদ্ধির প্রক্ষেপণ এপ্রিলের ৯ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ ধরা হয়েছে সেপ্টেম্বরের প্রতিবেদনে। প্রক্ষেপণ কমিয়ে আনার মূল কারণ করোনাভাইরাসের সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ, যা এ বছর পুরো দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক কর্মকা-কে দারুণভাবে ব্যাহত করেছে। করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ডেল্টা ধরনের প্রাদুর্ভাবে এ বছরও কয়েক দফা লকডাউনের বিধিনিষেধ দিতে হয়েছে বাংলাদেশকে। পাশাপাশি টিকাদানের ধীরগতির কারণেও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কাঙ্ক্ষিত গতি পাচ্ছে না বলে এডিবি মনে করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় যেসব দেশে টিকাদানের গতি সবচেয়ে ধীর, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। এদিন দিয়ে নেপাল, পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং ভুটানের চেয়ে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ পরিসংখ্যা ব্যুরো ২০২০-২১ অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির যে সাময়িক হিসাব প্রকাশ করেছে, তাতে প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। গত অর্থবছরের বাজেটে সরকার ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরলেও মহামারী পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করায় তা সংশোধন করে ৬ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির প্রাক্বলন করা হয়েছিল। অর্থবছর শেষে গত অগাস্টে পরিসংখ্যার ব্যুরোর প্রাক্কলনে তা আরও কমে আসে। মহামারীর শুরুর ধাক্কায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি নেমে গিয়েছিল ৩ দশমিক ৫১ শতাংশে, যা তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে সরকার ৭ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে। আ বিশ্ব ব্যাংকের পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, এ অর্থবছরে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ১ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি পেতে পারে।