ঢাকা ১০:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫

মহাদেশ-সমান ধুলিঝড়ের মুখে নাসার মার্স ল্যান্ডার

  • আপডেট সময় : ০৯:২৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ অক্টোবর ২০২২
  • ৮৯ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : রেড প্ল্যানেট খ্যাত মঙ্গলে নিজের অস্তিত্ব নিয়ে হুমকির মুখে পড়েছে নাসার ইনসাইট মার্স ল্যান্ডার। সেপ্টেম্বরের মাসের শেষের দিকে আকারে পৃথিবীর মহাদেশের সমান ধূলিঝড় শুরু হয়েছে মঙ্গলে। ঝড়ে ইনসাইটের সৌরশক্তি আহরণ ব্যবস্থা কার্যত থমকে গেছে বলে জানিয়েছে নাসা। অক্টোবরের শুরুতেই নাসা জানিয়েছিল, ধুলিঝড়ের কারণে ইনসাইটের চারপাশের বায়ুম-লে ধুলাবালি এতোটাই বেড়েছে যে প্রয়োজন মতো সৌরশক্তি আহরণ করতে পারছে না মার্স ল্যান্ডারটি।
গত শুক্রবারের এক বিবৃতিতে নাসা জানিয়েছে, মঙ্গলের বায়ুম-লে ধুলার কুয়াশা বেড়েছে ৪০ শতাংশ। ঝড়ের কারণে নিজের ব্যাটারি চার্জ করতে পারছে না ইনসাইট। নিজের মিশনের শেষ দিকে থাকলেও ইনসাইটের সোলার প্যানেলে ধুলার স্তর জমেছে আগেই। বাধ্য হয়ে ইনসাইট ল্যান্ডারের বেশিরভাগ যন্ত্রাংশ বন্ধ করে দিয়েছেন নাসার প্রকৌশলীরা। মঙ্গল পৃষ্ঠে যত বেশি সম্ভব ভূকম্পন চিহ্নিত করতে চালু রাখা হয়েছে কেবল সিসমোমিটার। প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট জানিয়েছে, ২০২২ সাল শেষ দিকে অথবা ২০২৩ সালের শুরুর দিকে ইনসাইটকে বিদায় জানানোর পরিকল্পনা করে রেখেছিল নাসা। কিন্তু এখন সে পরিকল্পনাও সম্ভবত ভেস্তে গেল। নাসা জানিয়েছে, “বর্তমান পরিস্থিতিতে ল্যান্ডারটি হয়তো আর কয়েক সপ্তাহ সচল থাকতে পারবে। তাই বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে আগামী দুই সপ্তাহের জন সিসমোমিটার বন্ধ করে দেওয়া হবে।”
এর মধ্যে মন্দের ভালো হচ্ছে, সম্ভবত শীঘ্রই থেমে যাবে ধুলিঝড়টি। মঙ্গলের কক্ষপথ থেকে ঝড়টির ওপর নজর রাখছিল নাসার মার্স রিকনিসেন্স অরবিটার। অরবিটার থেকে আসা তথ্য বলছে, ঝড়ের গতি কমে আসতে শুরু করেছে।
ইনসাইট মঙ্গলে অবতরণ করেছে ২০১৮ সালে। এরপর থেকে একাধিকবার বিপাকে পড়লেও সাফল্যও পেয়েছে এই মার্স ল্যান্ডার। মঙ্গলের অভ্যন্তরীণ নানা বিষয় এবং ভূমিকম্প নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে মঙ্গলযানটি। ইনসাইটের মতোই দানবীয় ধুলিঝড়ের মুখে অপোরচুনিটি রোভারকে বিদায় জানাতে হয়েছিল নাসার। ২০১৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে অপোরচুনিটি মিশনের ইতি টেনেছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি। কিউরিওসিটি ও পারসিভ্যারেন্স রোভার পারমাণবিক শক্তি নির্ভর হওয়ায় একই বিপদে পড়ার আশঙ্কা নেই এ রোভার দুটির।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মহাদেশ-সমান ধুলিঝড়ের মুখে নাসার মার্স ল্যান্ডার

আপডেট সময় : ০৯:২৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ অক্টোবর ২০২২

প্রযুক্তি ডেস্ক : রেড প্ল্যানেট খ্যাত মঙ্গলে নিজের অস্তিত্ব নিয়ে হুমকির মুখে পড়েছে নাসার ইনসাইট মার্স ল্যান্ডার। সেপ্টেম্বরের মাসের শেষের দিকে আকারে পৃথিবীর মহাদেশের সমান ধূলিঝড় শুরু হয়েছে মঙ্গলে। ঝড়ে ইনসাইটের সৌরশক্তি আহরণ ব্যবস্থা কার্যত থমকে গেছে বলে জানিয়েছে নাসা। অক্টোবরের শুরুতেই নাসা জানিয়েছিল, ধুলিঝড়ের কারণে ইনসাইটের চারপাশের বায়ুম-লে ধুলাবালি এতোটাই বেড়েছে যে প্রয়োজন মতো সৌরশক্তি আহরণ করতে পারছে না মার্স ল্যান্ডারটি।
গত শুক্রবারের এক বিবৃতিতে নাসা জানিয়েছে, মঙ্গলের বায়ুম-লে ধুলার কুয়াশা বেড়েছে ৪০ শতাংশ। ঝড়ের কারণে নিজের ব্যাটারি চার্জ করতে পারছে না ইনসাইট। নিজের মিশনের শেষ দিকে থাকলেও ইনসাইটের সোলার প্যানেলে ধুলার স্তর জমেছে আগেই। বাধ্য হয়ে ইনসাইট ল্যান্ডারের বেশিরভাগ যন্ত্রাংশ বন্ধ করে দিয়েছেন নাসার প্রকৌশলীরা। মঙ্গল পৃষ্ঠে যত বেশি সম্ভব ভূকম্পন চিহ্নিত করতে চালু রাখা হয়েছে কেবল সিসমোমিটার। প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট জানিয়েছে, ২০২২ সাল শেষ দিকে অথবা ২০২৩ সালের শুরুর দিকে ইনসাইটকে বিদায় জানানোর পরিকল্পনা করে রেখেছিল নাসা। কিন্তু এখন সে পরিকল্পনাও সম্ভবত ভেস্তে গেল। নাসা জানিয়েছে, “বর্তমান পরিস্থিতিতে ল্যান্ডারটি হয়তো আর কয়েক সপ্তাহ সচল থাকতে পারবে। তাই বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে আগামী দুই সপ্তাহের জন সিসমোমিটার বন্ধ করে দেওয়া হবে।”
এর মধ্যে মন্দের ভালো হচ্ছে, সম্ভবত শীঘ্রই থেমে যাবে ধুলিঝড়টি। মঙ্গলের কক্ষপথ থেকে ঝড়টির ওপর নজর রাখছিল নাসার মার্স রিকনিসেন্স অরবিটার। অরবিটার থেকে আসা তথ্য বলছে, ঝড়ের গতি কমে আসতে শুরু করেছে।
ইনসাইট মঙ্গলে অবতরণ করেছে ২০১৮ সালে। এরপর থেকে একাধিকবার বিপাকে পড়লেও সাফল্যও পেয়েছে এই মার্স ল্যান্ডার। মঙ্গলের অভ্যন্তরীণ নানা বিষয় এবং ভূমিকম্প নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে মঙ্গলযানটি। ইনসাইটের মতোই দানবীয় ধুলিঝড়ের মুখে অপোরচুনিটি রোভারকে বিদায় জানাতে হয়েছিল নাসার। ২০১৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে অপোরচুনিটি মিশনের ইতি টেনেছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি। কিউরিওসিটি ও পারসিভ্যারেন্স রোভার পারমাণবিক শক্তি নির্ভর হওয়ায় একই বিপদে পড়ার আশঙ্কা নেই এ রোভার দুটির।