ঢাকা ০১:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

মহাকাশ স্টেশনে থাকছে না রাশিয়া, চাঙা অর্থনীতি

  • আপডেট সময় : ০২:০১:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ জুলাই ২০২২
  • ৭৭ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের ডেস্ক : আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) প্রকল্প থেকে ২০২৪ সালের পর নিজেদের প্রত্যাহার করে নেবে রাশিয়া। দেশটির মহাকাশ সংস্থা রসকসমসের নতুন প্রধান ইউরি বোরিসভ মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) ক্রেমলিনে এক বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনকে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, আইএসএস প্রকল্পের অংশ হিসেবে বিদেশি অংশীদারদের প্রতি নিজেদের বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে চায় মস্কো। তবে ২০২৪ সালের পর এ স্টেশন থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ততদিনে রুশ অরবিটাল স্টেশন চালু হবে। বোরিসভের ভাষ্য, রাশিয়ার মানুষবাহী মহাকাশ ফ্লাইটগুলো একটি নিয়মতান্ত্রিক বৈজ্ঞানিক কর্মসূচির অংশ হওয়া উচিত। এতে প্রতিটি মিশন দেশটিকে নতুন জ্ঞান সরবরাহ করতে পারবে। এদিকে, ২০৩০ সাল পর্যন্ত আইএসএস পরিচালনা করার পরিকল্পনা করেছে নাসা। রসকসমসের সাবেক প্রধান দিমিত্রি রোগজিন ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেছেন, মেরামতের জন্য বড় অংকের বিনিয়োগ না করা হলে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে আইএসএস। বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে স্টেশনটিকে কক্ষপথে রাখার প্রচেষ্টা রাশিয়ার পক্ষে আর সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছেন রসকসমসের সাবেক বস। এ বিষয়ে গত এপ্রিলেও সতর্ক করেছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে রাশিয়ান, আমেরিকান, জাপানি, কানাডিয়ান এবং ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থাগুলোর যৌথ প্রচেষ্টা হিসেবে চালু হয়েছিল আইএসএস। এটি রাশিয়ান এবং আমেরিকান বিভাগে বিভক্ত; পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্র এবং প্রকল্পের অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদের দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে। রসকসমস ইতোমধ্যে তাদের নতুন মহাকাশ স্টেশনের ছবি প্রকাশ করেছে। যেটির নাম রাশিয়ান অরবিটাল সার্ভিস স্টেশন (আরওএসএস)। এটি চারটি মডিউল এবং একটি মহাকাশযান রক্ষণাবেক্ষণ প্ল্যাটফর্ম নিয়ে গঠিত। দুই থেকে চারজনের একটি ক্রু হোস্ট করার জন্য এটিকে ডিজাইন করা হচ্ছে।
চাঙা হচ্ছে রাশিয়ার অর্থনীতি : আইএমএফ
ইউক্রেন আগ্রাসনের মুখে পশ্চিমাদের আরোপিত একের পর এক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়ার অর্থনীতি চাঙা হয়ে উঠেছে। মূল্যস্ফীততে রাশিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে যা অনুমান (নেগেটিভ) করা হয়েছে তার চেয়েও ভাল (পজিটিভ) করছে। বিশ্বে জ্বালানির চড়াও মূল্যের কারণে এই সুবিধা পেয়েছে রাশিয়া। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) এক সাক্ষাৎকারে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এ তথ্য জানায়। খবর- টাইম অব ইসরায়েল, রয়টার্স ও এএফপি।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সদ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক আউটলুক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার জিডিপিতে এই বছরেই আড়াই শতাংশ পয়েন্টস কমেছে, যদিও ধরা হয়েছে যে এটা ৬ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। এটা (অর্থনৈতিক মহামন্দা) এখনো নিয়ন্ত্রণে আছে বলে উল্লেখ করেছেন আইএমএফের চীফ ইকোনোমিস্ট পিয়েরে অলিভিয়ার। অলিভিয়ার জানান, রাশিয়ার উপর সর্বপ্রথম আরোপিত নিষেধাজ্ঞায় দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও তার নীতিনির্ধারকেরা আর্থিক ভীতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে। মনে করা হয়েছিল, রাশিয়া এই ধাক্কা সামলাতে পারবে না। এটা কাটিয়ে ওঠার পেছনে বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম বৃদ্ধি মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। জানা গেছে, চলতি বছরের শুরুর দিকে এক ব্যারেল (প্রায় ১৫৯ লিটার) তেল ৮০ ডলারে বিক্রি হয়। সেখান থেকে বেড়ে তা প্রায় ১২৯ ডলারে চলে যায় (মার্চে)। তবে এই অপরিশোধিত তেল ইউরোপের বাজারে ১০৫ ডলার বিক্রি হয় (জুলাইয়ে)। এছাড়া সম্প্রতি প্রাকৃতিক যে গ্যাস রয়েছে তারও মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এই মূল্যবৃদ্ধিই রাশিয়ার অর্থনীতিতে ভূমিকা রেখেছে। আইএমএফের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এই মুহূর্তে তীব্র জ্বালানি সংকটে ভুগছে পুরো ইউরোপ। রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বিপাকে পড়েছে ইউরোপ। ইউরোপের এই সংকট আরো প্রকট হতে পারে যদি মস্কো থেকে গ্যাস সরাবরাহ একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আবু সাঈদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে গণঅভ্যুত্থানের সূচনা

মহাকাশ স্টেশনে থাকছে না রাশিয়া, চাঙা অর্থনীতি

আপডেট সময় : ০২:০১:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ জুলাই ২০২২

বিদেশের ডেস্ক : আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) প্রকল্প থেকে ২০২৪ সালের পর নিজেদের প্রত্যাহার করে নেবে রাশিয়া। দেশটির মহাকাশ সংস্থা রসকসমসের নতুন প্রধান ইউরি বোরিসভ মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) ক্রেমলিনে এক বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনকে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, আইএসএস প্রকল্পের অংশ হিসেবে বিদেশি অংশীদারদের প্রতি নিজেদের বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে চায় মস্কো। তবে ২০২৪ সালের পর এ স্টেশন থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ততদিনে রুশ অরবিটাল স্টেশন চালু হবে। বোরিসভের ভাষ্য, রাশিয়ার মানুষবাহী মহাকাশ ফ্লাইটগুলো একটি নিয়মতান্ত্রিক বৈজ্ঞানিক কর্মসূচির অংশ হওয়া উচিত। এতে প্রতিটি মিশন দেশটিকে নতুন জ্ঞান সরবরাহ করতে পারবে। এদিকে, ২০৩০ সাল পর্যন্ত আইএসএস পরিচালনা করার পরিকল্পনা করেছে নাসা। রসকসমসের সাবেক প্রধান দিমিত্রি রোগজিন ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেছেন, মেরামতের জন্য বড় অংকের বিনিয়োগ না করা হলে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে আইএসএস। বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে স্টেশনটিকে কক্ষপথে রাখার প্রচেষ্টা রাশিয়ার পক্ষে আর সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছেন রসকসমসের সাবেক বস। এ বিষয়ে গত এপ্রিলেও সতর্ক করেছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে রাশিয়ান, আমেরিকান, জাপানি, কানাডিয়ান এবং ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থাগুলোর যৌথ প্রচেষ্টা হিসেবে চালু হয়েছিল আইএসএস। এটি রাশিয়ান এবং আমেরিকান বিভাগে বিভক্ত; পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্র এবং প্রকল্পের অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদের দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে। রসকসমস ইতোমধ্যে তাদের নতুন মহাকাশ স্টেশনের ছবি প্রকাশ করেছে। যেটির নাম রাশিয়ান অরবিটাল সার্ভিস স্টেশন (আরওএসএস)। এটি চারটি মডিউল এবং একটি মহাকাশযান রক্ষণাবেক্ষণ প্ল্যাটফর্ম নিয়ে গঠিত। দুই থেকে চারজনের একটি ক্রু হোস্ট করার জন্য এটিকে ডিজাইন করা হচ্ছে।
চাঙা হচ্ছে রাশিয়ার অর্থনীতি : আইএমএফ
ইউক্রেন আগ্রাসনের মুখে পশ্চিমাদের আরোপিত একের পর এক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়ার অর্থনীতি চাঙা হয়ে উঠেছে। মূল্যস্ফীততে রাশিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে যা অনুমান (নেগেটিভ) করা হয়েছে তার চেয়েও ভাল (পজিটিভ) করছে। বিশ্বে জ্বালানির চড়াও মূল্যের কারণে এই সুবিধা পেয়েছে রাশিয়া। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) এক সাক্ষাৎকারে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এ তথ্য জানায়। খবর- টাইম অব ইসরায়েল, রয়টার্স ও এএফপি।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সদ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক আউটলুক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার জিডিপিতে এই বছরেই আড়াই শতাংশ পয়েন্টস কমেছে, যদিও ধরা হয়েছে যে এটা ৬ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। এটা (অর্থনৈতিক মহামন্দা) এখনো নিয়ন্ত্রণে আছে বলে উল্লেখ করেছেন আইএমএফের চীফ ইকোনোমিস্ট পিয়েরে অলিভিয়ার। অলিভিয়ার জানান, রাশিয়ার উপর সর্বপ্রথম আরোপিত নিষেধাজ্ঞায় দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও তার নীতিনির্ধারকেরা আর্থিক ভীতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে। মনে করা হয়েছিল, রাশিয়া এই ধাক্কা সামলাতে পারবে না। এটা কাটিয়ে ওঠার পেছনে বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম বৃদ্ধি মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। জানা গেছে, চলতি বছরের শুরুর দিকে এক ব্যারেল (প্রায় ১৫৯ লিটার) তেল ৮০ ডলারে বিক্রি হয়। সেখান থেকে বেড়ে তা প্রায় ১২৯ ডলারে চলে যায় (মার্চে)। তবে এই অপরিশোধিত তেল ইউরোপের বাজারে ১০৫ ডলার বিক্রি হয় (জুলাইয়ে)। এছাড়া সম্প্রতি প্রাকৃতিক যে গ্যাস রয়েছে তারও মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এই মূল্যবৃদ্ধিই রাশিয়ার অর্থনীতিতে ভূমিকা রেখেছে। আইএমএফের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এই মুহূর্তে তীব্র জ্বালানি সংকটে ভুগছে পুরো ইউরোপ। রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বিপাকে পড়েছে ইউরোপ। ইউরোপের এই সংকট আরো প্রকট হতে পারে যদি মস্কো থেকে গ্যাস সরাবরাহ একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হয়।