ঢাকা ০১:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫

মহাকাশে হারালো চীনের উপগ্রহ

  • আপডেট সময় : ১০:৫৪:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ অক্টোবর ২০২১
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : মহাকাশ অভিযানে ব্যর্থতার কথা স্বীকার করল চীন। জানাল, ‘শিয়ান-১০’ উপগ্রহটিকে তারা পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠাতে পারেনি। যান্ত্রিক গোলযোগে সেটি মহাকাশেই হারিয়ে গিয়েছে।
গত সোমবার দক্ষিণ চীনের সিচ্যাং উপগ্রহ উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে লং মার্চ-৩বি রকেটের পিঠে চাপিয়ে মহাকাশে পাঠানো হয় ‘শিয়ান-১০’ উপগ্রহটিকে। তার কয়েক ঘণ্টা আগেই উত্তর-পশ্চিম চীনের জিউকুয়ান উপগ্রহ উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে কুয়াইঝাউ-১এ রকেটের পিঠে চাপিয়ে মহাকাশে পাঠানো হয় আরও একটি উপগ্রহ- ‘জিলিন-১ গাওফেন-০২ডি’ উপগ্রহটিকে। মহাকাশে রকেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে জিলিন-১ গাওফেন-০২ডি উপগ্রহটি সফল ভাবে স্থাপিত হয় পৃথিবীর একটি কক্ষপথে। কিন্তু কোনও খবরই মিলছিল না চীনা উপগ্রহ শিয়ান-১০-এর। বরং শিয়ান-১০ উৎক্ষেপণের কিছু পরেই অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েল্সের আকাশে দেখা যায় আগুনের বিশাল গোলা। তখন থেকেই সন্দেহ, সংশয় ইতিউতি উঁকিঝুঁকি মারতে শুরু করে। স্পেস নিউজ-এর তরফে টুইট করে জানানো হয়, লং মার্চ-৩বি রকেটের একেবারে শেষ স্তরের খোলটি জ্বলে যাওয়ার জন্যই হয়তো আকাশে দেখা গিয়েছে আগুনের গোলা। ঘটনা হল, পৃথিবীর ঠিক কোন কক্ষপথে পাঠাতে চাইছে শিয়ান-১০ উপগ্রহটিকে, চীন আগে তার কিছুই জানায়নি। যদিও আমেরিকার স্পেস ফোর্স তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে জানিয়েছে, শিয়ান-১০ উপগ্রহটিকে চীন পাঠাতে চেয়েছিল পৃথিবীর জিওসিনক্রোনাস কক্ষপথে। সামরিক গোয়েন্দাগিরির কাজে ব্যবহার করার জন্য।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মহাকাশে হারালো চীনের উপগ্রহ

আপডেট সময় : ১০:৫৪:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ অক্টোবর ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : মহাকাশ অভিযানে ব্যর্থতার কথা স্বীকার করল চীন। জানাল, ‘শিয়ান-১০’ উপগ্রহটিকে তারা পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠাতে পারেনি। যান্ত্রিক গোলযোগে সেটি মহাকাশেই হারিয়ে গিয়েছে।
গত সোমবার দক্ষিণ চীনের সিচ্যাং উপগ্রহ উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে লং মার্চ-৩বি রকেটের পিঠে চাপিয়ে মহাকাশে পাঠানো হয় ‘শিয়ান-১০’ উপগ্রহটিকে। তার কয়েক ঘণ্টা আগেই উত্তর-পশ্চিম চীনের জিউকুয়ান উপগ্রহ উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে কুয়াইঝাউ-১এ রকেটের পিঠে চাপিয়ে মহাকাশে পাঠানো হয় আরও একটি উপগ্রহ- ‘জিলিন-১ গাওফেন-০২ডি’ উপগ্রহটিকে। মহাকাশে রকেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে জিলিন-১ গাওফেন-০২ডি উপগ্রহটি সফল ভাবে স্থাপিত হয় পৃথিবীর একটি কক্ষপথে। কিন্তু কোনও খবরই মিলছিল না চীনা উপগ্রহ শিয়ান-১০-এর। বরং শিয়ান-১০ উৎক্ষেপণের কিছু পরেই অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েল্সের আকাশে দেখা যায় আগুনের বিশাল গোলা। তখন থেকেই সন্দেহ, সংশয় ইতিউতি উঁকিঝুঁকি মারতে শুরু করে। স্পেস নিউজ-এর তরফে টুইট করে জানানো হয়, লং মার্চ-৩বি রকেটের একেবারে শেষ স্তরের খোলটি জ্বলে যাওয়ার জন্যই হয়তো আকাশে দেখা গিয়েছে আগুনের গোলা। ঘটনা হল, পৃথিবীর ঠিক কোন কক্ষপথে পাঠাতে চাইছে শিয়ান-১০ উপগ্রহটিকে, চীন আগে তার কিছুই জানায়নি। যদিও আমেরিকার স্পেস ফোর্স তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে জানিয়েছে, শিয়ান-১০ উপগ্রহটিকে চীন পাঠাতে চেয়েছিল পৃথিবীর জিওসিনক্রোনাস কক্ষপথে। সামরিক গোয়েন্দাগিরির কাজে ব্যবহার করার জন্য।