ঢাকা ০৯:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

মহাকাশে ‘ভূতুড়ে আলো’

  • আপডেট সময় : ০৯:০৪:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক: হাবল স্পেস টেলিস্কোপে মহাকাশে ভূতুড়ে আলো দেখা গেছে! এটি কমলা-লাল রহস্যময় তারার আলো। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা সম্প্রতি এই ভয়ংকর সুন্দর ছবি প্রকাশ করেছে। আসলে ওই নক্ষত্রটি মরণাপন্ন। ফুরিয়ে যাওয়ার আগে তার শরীর থেকে প্রতিফলিত হচ্ছে অপার্থিব বিচ্ছুরণ।
হাবল স্পেস টেলিস্কোপ গত তিন দশক ধরেই মহাকাশের নানা আশ্চর্যকেই পৃথিবীর মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। লাগাতার আমাদের নীল গ্রহকে পাক খেতে খেতে সে নজর রেখেছে সুদূর মহাকাশের বুকে। আর তার নজরদারিতেই ধরা পড়েছে অনিন্দ্যসুন্দর সব দৃশ্য। তেমনই এক দৃশ্য ধরা পড়েছে এই ছবিতেও।
তারার মৃত্যুর কতগুলো পর্যায় রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম লাল দৈত্য দশা। এবার তেমনই মৃতপ্রায় তারার আলোই বন্দি হল হাবলের লেন্সে। সিডব্লিউ লিওনিস নামের ওই তারাটির কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে কমলা-লাল আলো। আর তার চারপাশে ভূতুড়ে আলোকবৃত্ত। শিল্পীর চোখে দেখলে মনে হবে যেন এক অতিকায় মহাজাগতিক মাকড়সার জা।
পৃথিবী থেকে ৪০০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত তারাটি পৃথিবীর নিকটতম কার্বন নক্ষত্র। আপাত ভাবে দূরত্বটি বিরাট হলেও মহাজাগতির মাপকাঠিতে ততটা বিরাট নয়। আর তাই এত খুঁটিনাটি খেয়াল রাখা সম্ভব হয়েছে। দেখা গিয়েছে ওই তারাটির চারপাশে রয়েছে কার্বনের মেঘ। যা তারাটির ভিতরে হওয়া নিউক্লিয়ার ফিউশনের কারণে নির্গত হচ্ছে। আর তার ফলেই তৈরি হয়েছে ওই আলোর খেলা।
তারাটি অবশ্য আগেও নজরে ছিল জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের। দেখা গিয়েছে গত ১৫ বছরে বারবার বদলেছে তারাটির ঔজ্জ্বল্য। এই পরিবর্তনের ১০০ শতাংশ কারণ অবশ্য এখনও জানা যায়নি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মহাকাশে ‘ভূতুড়ে আলো’

আপডেট সময় : ০৯:০৪:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১

প্রযুক্তি ডেস্ক: হাবল স্পেস টেলিস্কোপে মহাকাশে ভূতুড়ে আলো দেখা গেছে! এটি কমলা-লাল রহস্যময় তারার আলো। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা সম্প্রতি এই ভয়ংকর সুন্দর ছবি প্রকাশ করেছে। আসলে ওই নক্ষত্রটি মরণাপন্ন। ফুরিয়ে যাওয়ার আগে তার শরীর থেকে প্রতিফলিত হচ্ছে অপার্থিব বিচ্ছুরণ।
হাবল স্পেস টেলিস্কোপ গত তিন দশক ধরেই মহাকাশের নানা আশ্চর্যকেই পৃথিবীর মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। লাগাতার আমাদের নীল গ্রহকে পাক খেতে খেতে সে নজর রেখেছে সুদূর মহাকাশের বুকে। আর তার নজরদারিতেই ধরা পড়েছে অনিন্দ্যসুন্দর সব দৃশ্য। তেমনই এক দৃশ্য ধরা পড়েছে এই ছবিতেও।
তারার মৃত্যুর কতগুলো পর্যায় রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম লাল দৈত্য দশা। এবার তেমনই মৃতপ্রায় তারার আলোই বন্দি হল হাবলের লেন্সে। সিডব্লিউ লিওনিস নামের ওই তারাটির কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে কমলা-লাল আলো। আর তার চারপাশে ভূতুড়ে আলোকবৃত্ত। শিল্পীর চোখে দেখলে মনে হবে যেন এক অতিকায় মহাজাগতিক মাকড়সার জা।
পৃথিবী থেকে ৪০০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত তারাটি পৃথিবীর নিকটতম কার্বন নক্ষত্র। আপাত ভাবে দূরত্বটি বিরাট হলেও মহাজাগতির মাপকাঠিতে ততটা বিরাট নয়। আর তাই এত খুঁটিনাটি খেয়াল রাখা সম্ভব হয়েছে। দেখা গিয়েছে ওই তারাটির চারপাশে রয়েছে কার্বনের মেঘ। যা তারাটির ভিতরে হওয়া নিউক্লিয়ার ফিউশনের কারণে নির্গত হচ্ছে। আর তার ফলেই তৈরি হয়েছে ওই আলোর খেলা।
তারাটি অবশ্য আগেও নজরে ছিল জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের। দেখা গিয়েছে গত ১৫ বছরে বারবার বদলেছে তারাটির ঔজ্জ্বল্য। এই পরিবর্তনের ১০০ শতাংশ কারণ অবশ্য এখনও জানা যায়নি।