ঢাকা ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫

মহাকাশে বাণিজ্যিক গ্রিনহাউজ যাচ্ছে ২০২৩ সালে

  • আপডেট সময় : ০১:৪৬:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ অগাস্ট ২০২২
  • ৮৯ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : সরকারি অর্থায়নে ও ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন আছে আগে থেকেই। এবার যাত্রা শুরু হচ্ছে প্রথম বাণিজ্যিক স্পেস স্টেশনের। আগামী বছরই নিজ ঠিকানায় পৌঁছাবে এ মহাকাশ গবেষণাগার। আর সেখানে তৈরি হবে প্রথম বাণিজ্যিক গ্রিনহাউজ। গহীন মহাকাশ যাত্রার বেলায় নভোচারীদের খাবারের যোগান দিতে উপযোগী ফসল উৎপাদন বাড়ানোর প্রযুক্তি নিয়ে এই ‘স্পেস গ্রিনহাউজে’ পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে বলে প্রতিবেদনে জানাচ্ছে রয়টার্স।
রেডওয়্যার করপোরেশন তাদের তৈরি বাণিজ্যিক গ্রিনহাউজটি ২০২৩ সালের বসন্তেই মহাকাশে পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে মঙ্গলবার। মহাকাশে ব্যবহারের উপযোগী যন্ত্রপাতি এবং মহাকাশ যানের যন্ত্রাংশের নকশা ও নির্মাণের কাজ করে মার্কিন কোম্পানিটি। রেডওয়্যারের গ্রিনহাউজ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ডেভ রিড জানিয়েছেন, নাসার আর্টেমিস প্রকল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করবে গ্রিনহাউজটি। নাসার আর্টেমিস প্রকল্প কেবল নাসার চাঁদে ফেরার প্রচেষ্টা নয়, পরিকল্পনা সফল হলে আর্টেমিসের হাত ধরে মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে নতুন এক অধ্যায়ের শুরু হবে। রয়টার্স জানিয়েছে, চাঁদে নভোচারীদের অবতরণ করিয়ে পর্যায়ক্রমে একটি স্পেস কলোনি তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ বা নাসা। রেডওয়্যার দাবি করছে, মহাকাশের প্রথম বাণিজ্যিক গ্রিনহাউজটি মহাকাশেই ফসল উৎপাদনের সক্ষমতা অনেকাংশে বাড়াবে। মহাকাশে রেডওয়্যারের প্রথম ক্রেতা হবে বাণিজ্যিক কৃষিপণ্য কেন্দ্রীক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘ডিউই সায়েন্টিফিক’।
ইতোমধ্যেই ‘ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)’-এ ব্যবহৃত হচ্ছে ডিউই সায়েন্টিফিকের প্রযুক্তি। আইএসএসের গবেষণার জন্য একটি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ‘প্ল্যান্ট গ্রোথ সিস্টেম’ বানিয়ে দিয়েছে কোম্পানিটি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মহাকাশে বাণিজ্যিক গ্রিনহাউজ যাচ্ছে ২০২৩ সালে

আপডেট সময় : ০১:৪৬:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ অগাস্ট ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : সরকারি অর্থায়নে ও ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন আছে আগে থেকেই। এবার যাত্রা শুরু হচ্ছে প্রথম বাণিজ্যিক স্পেস স্টেশনের। আগামী বছরই নিজ ঠিকানায় পৌঁছাবে এ মহাকাশ গবেষণাগার। আর সেখানে তৈরি হবে প্রথম বাণিজ্যিক গ্রিনহাউজ। গহীন মহাকাশ যাত্রার বেলায় নভোচারীদের খাবারের যোগান দিতে উপযোগী ফসল উৎপাদন বাড়ানোর প্রযুক্তি নিয়ে এই ‘স্পেস গ্রিনহাউজে’ পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে বলে প্রতিবেদনে জানাচ্ছে রয়টার্স।
রেডওয়্যার করপোরেশন তাদের তৈরি বাণিজ্যিক গ্রিনহাউজটি ২০২৩ সালের বসন্তেই মহাকাশে পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে মঙ্গলবার। মহাকাশে ব্যবহারের উপযোগী যন্ত্রপাতি এবং মহাকাশ যানের যন্ত্রাংশের নকশা ও নির্মাণের কাজ করে মার্কিন কোম্পানিটি। রেডওয়্যারের গ্রিনহাউজ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ডেভ রিড জানিয়েছেন, নাসার আর্টেমিস প্রকল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করবে গ্রিনহাউজটি। নাসার আর্টেমিস প্রকল্প কেবল নাসার চাঁদে ফেরার প্রচেষ্টা নয়, পরিকল্পনা সফল হলে আর্টেমিসের হাত ধরে মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে নতুন এক অধ্যায়ের শুরু হবে। রয়টার্স জানিয়েছে, চাঁদে নভোচারীদের অবতরণ করিয়ে পর্যায়ক্রমে একটি স্পেস কলোনি তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ বা নাসা। রেডওয়্যার দাবি করছে, মহাকাশের প্রথম বাণিজ্যিক গ্রিনহাউজটি মহাকাশেই ফসল উৎপাদনের সক্ষমতা অনেকাংশে বাড়াবে। মহাকাশে রেডওয়্যারের প্রথম ক্রেতা হবে বাণিজ্যিক কৃষিপণ্য কেন্দ্রীক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘ডিউই সায়েন্টিফিক’।
ইতোমধ্যেই ‘ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)’-এ ব্যবহৃত হচ্ছে ডিউই সায়েন্টিফিকের প্রযুক্তি। আইএসএসের গবেষণার জন্য একটি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ‘প্ল্যান্ট গ্রোথ সিস্টেম’ বানিয়ে দিয়েছে কোম্পানিটি।