ঢাকা ০৭:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

মহাকাশে চালু হচ্ছে ফিল্ম স্টুডিও

  • আপডেট সময় : ১২:০৮:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২২
  • ৮৯ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : মানুষের মহাকাশ জয় করার স্বপ্ন বহু দিনের। ২০ শতকে অধিক-উচ্চতার বেলুন উড্ডয়নের আবির্ভাব হলে মানবজাতি সর্বপ্রথম মহাকাশ অনুসন্ধান শুরু করে। এরপরে মানববাহী রকেট উড্ডয়ন এবং তারও পরে মানব যাত্রীবাহী পৃথিবী আবর্তন সম্পন্ন হয়। ১৯৬১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের ইউরি গ্যাগারিন প্রথম মানব হিসেবে মহাকাশে থেকে পৃথিবী আবর্তন করেন।
মহাকাশ সম্পূর্ণরূপে ফাঁকা একটি শূন্যস্থান নয়। এটিতে খুবই কম ঘনত্বের কণা থাকে যাদের সিংহভাগই হাইড্রোজেন ও হিলিয়ামের প্লাজমা দিয়ে গঠিত। এরপরও মানুষের মহাকাশ অনুসন্ধান থেমে থাকেনি। তবে মহাকাশে এবার পাকাপাকি ভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে পূর্ণদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র, ডকুমেন্টারি ও টেলিভিশন সিরিয়ালের শ্যুটিংয়ের স্টুডিও। গড়ে তোলা হচ্ছে খেলাধুলোর জন্য বিশাল ‘স্পোর্টস এরিনা’ও।
ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার উপরে পৃথিবীর কক্ষপথে দিনে ১৫ থেকে ১৬ বার প্রদক্ষিণ করা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনেই গড়ে তোলা হচ্ছে এই ফিল্ম স্টুডিও ও স্পোর্টস এরিনা। মহাকাশের পটভূমিতে বানানো অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক টম ক্রুজের চলচ্চিত্রের সহ প্রযোজক সংস্থা স্পেস এন্টারটেনমেন্ট এন্টারপ্রাইজ (এসইই) বানাচ্ছে মহাকাশ স্টেশনের প্রথম ফিল্ম স্টুডিও ও স্পোর্টস এরিনা।
সম্প্রতি পৃথিবীতেই বানানো হবে মহাকাশের সেই ফিল্ম স্টুডিও আর স্পোর্টস এরিনা। দুইটিকে বসানো হবে একটি মডিউলে। যার নাম— ‘এসইই-১’। তার পর সেই মডিউলটিকে মহাকাশযানে চাপিয়ে পাঠানো হবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে। এসইই-১ মডিউলটি মহাকাশ স্টেশনের বাণিজ্যিক অংশ অ্যাক্সিয়ম স্টেশনে গিয়ে নামবে। সেখানেই বসানো হবে মহাকাশের প্রথম ফিল্ম স্টুডিও আর স্পোর্টস এরিনা। এসইই চায়, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই মহাকাশে ফিল্ম স্টুডিও ও স্পোর্টস এরিনা পাঠিয়ে দিতে। শেষের সে দিন দূরে নেই, পৃথিবীতে শুরু হয়েছে ষষ্ঠ গণবিলুপ্তির পর্ব, হুঁশিয়ারি গবেষণায় এসইই জানিয়েছে, এই ফিল্ম স্টুডিওতে যে কোনও দেশের অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজকই তাদের নিজেদের চলচ্চিত্র বা টেলিভিশন সিরিয়ালের শ্যুটিং করতে পারবেন। তবে এসইই নিজেও সেই স্টুডিওতে কয়েকটি চলচ্চিত্রের শ্যুটিং করবে। ২০২৮ সালের পর এই অ্যাক্সিয়ম স্টেশনটি আলাদা হয়ে যাবে মহাকাশ স্টেশন থেকে। তারপর থেকে অ্যাক্সিয়ম স্টেশন স্বাধীন ভাবেই পৃথিবীর কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করতে শুরু করবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মহাকাশে চালু হচ্ছে ফিল্ম স্টুডিও

আপডেট সময় : ১২:০৮:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : মানুষের মহাকাশ জয় করার স্বপ্ন বহু দিনের। ২০ শতকে অধিক-উচ্চতার বেলুন উড্ডয়নের আবির্ভাব হলে মানবজাতি সর্বপ্রথম মহাকাশ অনুসন্ধান শুরু করে। এরপরে মানববাহী রকেট উড্ডয়ন এবং তারও পরে মানব যাত্রীবাহী পৃথিবী আবর্তন সম্পন্ন হয়। ১৯৬১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের ইউরি গ্যাগারিন প্রথম মানব হিসেবে মহাকাশে থেকে পৃথিবী আবর্তন করেন।
মহাকাশ সম্পূর্ণরূপে ফাঁকা একটি শূন্যস্থান নয়। এটিতে খুবই কম ঘনত্বের কণা থাকে যাদের সিংহভাগই হাইড্রোজেন ও হিলিয়ামের প্লাজমা দিয়ে গঠিত। এরপরও মানুষের মহাকাশ অনুসন্ধান থেমে থাকেনি। তবে মহাকাশে এবার পাকাপাকি ভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে পূর্ণদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র, ডকুমেন্টারি ও টেলিভিশন সিরিয়ালের শ্যুটিংয়ের স্টুডিও। গড়ে তোলা হচ্ছে খেলাধুলোর জন্য বিশাল ‘স্পোর্টস এরিনা’ও।
ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার উপরে পৃথিবীর কক্ষপথে দিনে ১৫ থেকে ১৬ বার প্রদক্ষিণ করা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনেই গড়ে তোলা হচ্ছে এই ফিল্ম স্টুডিও ও স্পোর্টস এরিনা। মহাকাশের পটভূমিতে বানানো অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক টম ক্রুজের চলচ্চিত্রের সহ প্রযোজক সংস্থা স্পেস এন্টারটেনমেন্ট এন্টারপ্রাইজ (এসইই) বানাচ্ছে মহাকাশ স্টেশনের প্রথম ফিল্ম স্টুডিও ও স্পোর্টস এরিনা।
সম্প্রতি পৃথিবীতেই বানানো হবে মহাকাশের সেই ফিল্ম স্টুডিও আর স্পোর্টস এরিনা। দুইটিকে বসানো হবে একটি মডিউলে। যার নাম— ‘এসইই-১’। তার পর সেই মডিউলটিকে মহাকাশযানে চাপিয়ে পাঠানো হবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে। এসইই-১ মডিউলটি মহাকাশ স্টেশনের বাণিজ্যিক অংশ অ্যাক্সিয়ম স্টেশনে গিয়ে নামবে। সেখানেই বসানো হবে মহাকাশের প্রথম ফিল্ম স্টুডিও আর স্পোর্টস এরিনা। এসইই চায়, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই মহাকাশে ফিল্ম স্টুডিও ও স্পোর্টস এরিনা পাঠিয়ে দিতে। শেষের সে দিন দূরে নেই, পৃথিবীতে শুরু হয়েছে ষষ্ঠ গণবিলুপ্তির পর্ব, হুঁশিয়ারি গবেষণায় এসইই জানিয়েছে, এই ফিল্ম স্টুডিওতে যে কোনও দেশের অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজকই তাদের নিজেদের চলচ্চিত্র বা টেলিভিশন সিরিয়ালের শ্যুটিং করতে পারবেন। তবে এসইই নিজেও সেই স্টুডিওতে কয়েকটি চলচ্চিত্রের শ্যুটিং করবে। ২০২৮ সালের পর এই অ্যাক্সিয়ম স্টেশনটি আলাদা হয়ে যাবে মহাকাশ স্টেশন থেকে। তারপর থেকে অ্যাক্সিয়ম স্টেশন স্বাধীন ভাবেই পৃথিবীর কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করতে শুরু করবে।