প্রযুক্তি ডেস্ক: মস্তিষ্কে চিপ বসানোর প্রকল্পে এরইমধ্যে ১০ হাজার জন রোগী নিবন্ধন করেছেন বলে জানিয়েছে ইলন মাস্কের কোম্পানি নিউরালিংক।
কোম্পানিটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ডি. জে. সিও বলেছেন, বর্তমানে নিজেদের মাথায় এই ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেইস চিপ বসানোর জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন প্রায় ১০ হাজার জন মানুষ।
এ সপ্তাহে মর্গান স্ট্যানলি প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে কোম্পানির এ তালিকা প্রকাশ করেছেন সিও। ওই প্রতিবেদন এ প্রযুক্তির নৈতিক প্রভাব সম্পর্কেও সতর্ক করেছে। এ বছরের শুরুতে নিজেদের ওয়েবসাইটে এক ‘রোগী নিবন্ধন কেন্দ্র’ চালু করেছিল নিউরালিংক, যাতে গোটা বিশ্বের মানুষ এই প্রযুক্তির পরীক্ষামূলক প্রয়োগে অংশ নিতে নিবন্ধন করতে পারেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট।
এ পর্যন্ত ১২ জন রোগীর ওপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পন্ন করেছে মাস্কের কোম্পানিটি। এসব রোগীরা এখন নিজেদের চিন্তার মাধ্যমে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণে নিউরালিংক ডিভাইস ব্যবহার করছেন।
এ ছাড়া, ধারণা করা হচ্ছে, এ বছরের শেষ নাগাদ আরো ১৩ জনের মস্তিষ্কে এই চিপ বসাবে। বর্তমানে কেবল ‘মোটর নিউরন’ রোগ বা মেরুদণ্ডে আঘাতজনিত পক্ষাঘাতে ভুগছেন এমন ব্যক্তিরাই এই পরীক্ষামূলক প্রকল্পে অংশগ্রহণ করতে পারছেন। তবে মাস্কের দাবি, ভবিষ্যতে এসব চিপের সংস্করণ এমনভাবে তৈরি করা হবে, যাতে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা না থাকলেও লোকজন ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের সঙ্গে এক ধরনের সহাবস্থান বা মানসিক সংযোগ স্থাপন করতে পারেন’।
এ প্রযুক্তি সম্পর্কে মাস্ক আরো বলেছেন, ভবিষ্যতে নিউরালিংক চিপের মাধ্যমে সরাসরি মস্তিষ্কে গান শোনা, অন্ধ ব্যক্তিদের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেওয়া এবং টেলিপ্যাথির মাধ্যমে সুপার হিউম্যান স্তরের যোগাযোগ সম্ভব হতে পারে।
জুলাইয়ে এক লাইভ অনুষ্ঠানে মাস্ক বলেছিলেন, একসময় এমন পর্যায়েও পৌঁছানো সম্ভব হতে পারে, যেখানে আপনি নিজের স্মৃতি মস্তিষ্ক থেকে আপলোড করে সংরক্ষণ এবং পরে সেটি কোনো রোবট দেহে বা নিজের ক্লোন সংস্করণে ডাউনলোড করতে পারবেন। সত্যি বলতে, আমার কথা সায়েন্স ফিকশন বা বিজ্ঞান কল্পকাহিনীর মতো শোনাচ্ছেৃ তবে আমি বিশ্বাস করি এমন কিছু সত্যিই সম্ভব, যা মানুষের জন্য এক ধরনের অমরত্বের রূপ এনে দিতে পারে।
সানা/আপ্র/১৩/১০/২০২৫