ঢাকা ০৪:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

মসিউরকে অব্যাহতি, সংকট বাড়ছে জাপায়

  • আপডেট সময় : ০৩:১৯:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রওশন এরশাদ ইস্যুতে পক্ষ নেওয়ায় জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ দলের সব পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো মসিউর রহমানকে (রাঙ্গা)। গতকাল বুধবার বিকেলে জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদের দলের গঠনতন্ত্রের ক্ষমতাবলে এই অব্যাহতি দেন। ইতিমধ্যে এ আদেশ কার্যকর করা হয়েছে। গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জাতীয় পার্টি।
মসিউর রহমান জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা ও দলের সাবেক মহাসচিব। দুই দিন আগে তিনি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রওশন এরশাদকে বিরোধীদলীয় নেতার পদ থেকে সরানোর প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তার রেশ ধরেই মসিউর রহমানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
গত ৩০ আগস্ট জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ হঠাৎ করেই জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সম্মেলন আহ্বান করে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠান। তাতে রওশন নিজেকে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক করে আট সদস্যের কমিটিও ঘোষণা করেন। এর পরদিনই জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের সভা ডেকে রওশন এরশাদকে বিরোধীদলীয় নেতার পদ থেকে সরিয়ে জাপার চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদেরকে স্থলাভিষিক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। ওই সভায় মসিউর রহমানও অংশ নেন ও সভার কার্যবিবরণীতে স্বাক্ষরও করেন। পরে তাঁর নেতৃত্বেই সংসদীয় দলের সিদ্ধান্ত স্পিকারের কাছে পৌঁছানো হয়। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্ত এখনো কার্যকর হয়নি।
অব্যাহতির বিষয়ে মসিউর রহমান সংবাদমাধ্যম বলেন, ‘আমি একটি সত্য কথা বলায় তিনি (জি এম কাদের) আমাকে অব্যাহতি দিয়েছেন। পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি তা করতেই পারেন। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে, কাউকে যদি আমন্ত্রণ জানাতে হয়, সেটা চল্লিশা না বিয়ের অনুষ্ঠান-এটা তো আগে জানাতে হবে। রওশন এরশাদকে বিরোধীদলীয় নেতার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে, সংসদীয় দলের সভা ডাকার আগে এমন অ্যাজেন্ডা কাউকে জানানো হয়নি। এটা লিগ্যাল হয়নি।’
জানা গেছে, গত ৩১ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদে জাপার সংসদীয় দলের যে সভা হয়, জি এম কাদেরের নির্দেশে সেটি মসিউর রহমানই ডেকেছিলেন। সেখানে দীর্ঘ আলোচনার পর রওশন এরশাদকে বিরোধীদলীয় নেতার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়, সবাই তাতে স্বাক্ষরও করেন। সভায় দলের সিনিয়র কো–চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মো. মুজিবুল হক, কো–চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদসহ অন্য সংসদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জাপার দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, দলীয় সিদ্ধান্ত স্পিকারের কার্যালয়ে আটকে যাওয়ার পর দলের নেতাদের মধ্যে দোটানার সৃষ্টি হয়। তাঁরা ভাবছেন, রওশন এরশাদ সরকারের সমর্থন পেলে জাপার শীর্ষ নেতৃত্বে টানাপোড়েন সৃষ্টি হতে পারে। এ কারণে সংসদীয় দলের সভার সিদ্ধান্তে স্বাক্ষর করেও অনেকে পিছটান দিচ্ছেন। মসিউর রহমানকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জাপার মহাসচিব মো. মুজিবুল হক বলেন, ‘এ ছাড়া উপায় কী? কিছু কিছু সময়ে হার্ডলাইনে যেতে হয় ইচ্ছা না থাকলেও। দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে এটি করা হয়েছে।’
কাদের রংপুর নামতে পারবেন না রাঙ্গার হুঁশিয়ারি : জাতীয় পার্টি থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের স্বেচ্ছাচারিতা, অগণতান্ত্রিক ও গঠনতন্ত্রবিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন পার্টির সাবেক মহাসচিব ও বিরোধী দলের চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা।
অব্যাহতির তাৎক্ষণিক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আরেক সংবাদমাধ্যমকে রাঙ্গা বলেন, জিএম কাদেরকে নেতাকর্মীকে রংপুর নামতে দেবে না। রাঙ্গা বলেন, ‘আমি যা বলেছি সত্য বলেছি এবং বলব। পার্টির বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলার রাইট আমার আছে। আমাকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত জিএম কাদেরের স্বেচ্ছাচারিতা এবং অগণতান্ত্রিক ও গঠনতন্ত্রবিরোধী।’
জাপার সাবেক এই মহাসচিব আরো বলেন, ‘জিএম কাদের আমাকে কি অব্যাহতি দেবেন? তাকে তো এরশাদ সাহেব অনেকবার বহিষ্কার করেছেন।’
জিএম কাদেরের এই সিদ্ধান্তের কারণে নেতাকর্মীরা তাকে রংপুরে নামতে দেবে না বলে হুঁশিয়ারি করে বিরোধী দলের চিফ হুইপ রাঙ্গা বলেন, ‘তাকে (কাদের) যদি লালমনিরহাট যেতেই হয়, হেলিকপ্টারে যেতে হবে।’ সম্প্রতি বেসরকারি ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় জিএম কাদের সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করেন মসিউর রহমান রাঙ্গা। পার্টির চেয়ারম্যান বিভিন্ন ইস্যুতে যে সরকারবিরোধী অবস্থান নিয়েছেন তার মধ্যে জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কিছু ইস্যুর সাথে একমত হলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভিন্নমত রয়েছে রাঙ্গার। রাঙ্গা বলেন, ‘আমাকে রওশন এরশাদের লোক বলা হয়। আমাকে জিএম কাদেরের রাইভাল (প্রতিদ্বন্দ্বী) ভাবা হয়। আসলে আমি রাইভাল নই।’
মশিউর রহমান রাঙ্গা জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদপন্থি বলে আলোচনা আছে। দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে চিকিৎসাধীন রওশন এরশাদ সম্প্রতি দলের জাতীয় সম্মেলন আহ্বান করেন ও নিজেকে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক করে আট সদস্যের একটি কমিটিরও ঘোষণা দেন। তার সঙ্গে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদেরপন্থিদের মধ্যে দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্যে।
সম্প্রতি গণমাধ্যমকে জি এম কাদের বলেন, কখনো কখনো রওশন এরশাদকে দিয়ে কিছু মহল কিছু বক্তব্য, বিবৃতি ও বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করছে, যা সার্বিকভাবে দলীয় অবস্থানের বিপক্ষে চলে যাচ্ছে। অসুস্থতা ও বয়সের কারণে তিনি (রওশন এরশাদ) বিরোধী দলের নেতার ভূমিকা সঠিকভাবে পালন করতে পারছেন না। এ অবস্থার মধ্যে রওশনপন্থি বলে পরিচিত মশিউর রহমান রাঙ্গাকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মসিউরকে অব্যাহতি, সংকট বাড়ছে জাপায়

আপডেট সময় : ০৩:১৯:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : রওশন এরশাদ ইস্যুতে পক্ষ নেওয়ায় জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ দলের সব পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো মসিউর রহমানকে (রাঙ্গা)। গতকাল বুধবার বিকেলে জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদের দলের গঠনতন্ত্রের ক্ষমতাবলে এই অব্যাহতি দেন। ইতিমধ্যে এ আদেশ কার্যকর করা হয়েছে। গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জাতীয় পার্টি।
মসিউর রহমান জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা ও দলের সাবেক মহাসচিব। দুই দিন আগে তিনি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রওশন এরশাদকে বিরোধীদলীয় নেতার পদ থেকে সরানোর প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তার রেশ ধরেই মসিউর রহমানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
গত ৩০ আগস্ট জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ হঠাৎ করেই জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সম্মেলন আহ্বান করে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠান। তাতে রওশন নিজেকে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক করে আট সদস্যের কমিটিও ঘোষণা করেন। এর পরদিনই জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের সভা ডেকে রওশন এরশাদকে বিরোধীদলীয় নেতার পদ থেকে সরিয়ে জাপার চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদেরকে স্থলাভিষিক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। ওই সভায় মসিউর রহমানও অংশ নেন ও সভার কার্যবিবরণীতে স্বাক্ষরও করেন। পরে তাঁর নেতৃত্বেই সংসদীয় দলের সিদ্ধান্ত স্পিকারের কাছে পৌঁছানো হয়। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্ত এখনো কার্যকর হয়নি।
অব্যাহতির বিষয়ে মসিউর রহমান সংবাদমাধ্যম বলেন, ‘আমি একটি সত্য কথা বলায় তিনি (জি এম কাদের) আমাকে অব্যাহতি দিয়েছেন। পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি তা করতেই পারেন। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে, কাউকে যদি আমন্ত্রণ জানাতে হয়, সেটা চল্লিশা না বিয়ের অনুষ্ঠান-এটা তো আগে জানাতে হবে। রওশন এরশাদকে বিরোধীদলীয় নেতার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে, সংসদীয় দলের সভা ডাকার আগে এমন অ্যাজেন্ডা কাউকে জানানো হয়নি। এটা লিগ্যাল হয়নি।’
জানা গেছে, গত ৩১ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদে জাপার সংসদীয় দলের যে সভা হয়, জি এম কাদেরের নির্দেশে সেটি মসিউর রহমানই ডেকেছিলেন। সেখানে দীর্ঘ আলোচনার পর রওশন এরশাদকে বিরোধীদলীয় নেতার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়, সবাই তাতে স্বাক্ষরও করেন। সভায় দলের সিনিয়র কো–চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মো. মুজিবুল হক, কো–চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদসহ অন্য সংসদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জাপার দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, দলীয় সিদ্ধান্ত স্পিকারের কার্যালয়ে আটকে যাওয়ার পর দলের নেতাদের মধ্যে দোটানার সৃষ্টি হয়। তাঁরা ভাবছেন, রওশন এরশাদ সরকারের সমর্থন পেলে জাপার শীর্ষ নেতৃত্বে টানাপোড়েন সৃষ্টি হতে পারে। এ কারণে সংসদীয় দলের সভার সিদ্ধান্তে স্বাক্ষর করেও অনেকে পিছটান দিচ্ছেন। মসিউর রহমানকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জাপার মহাসচিব মো. মুজিবুল হক বলেন, ‘এ ছাড়া উপায় কী? কিছু কিছু সময়ে হার্ডলাইনে যেতে হয় ইচ্ছা না থাকলেও। দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে এটি করা হয়েছে।’
কাদের রংপুর নামতে পারবেন না রাঙ্গার হুঁশিয়ারি : জাতীয় পার্টি থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের স্বেচ্ছাচারিতা, অগণতান্ত্রিক ও গঠনতন্ত্রবিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন পার্টির সাবেক মহাসচিব ও বিরোধী দলের চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা।
অব্যাহতির তাৎক্ষণিক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আরেক সংবাদমাধ্যমকে রাঙ্গা বলেন, জিএম কাদেরকে নেতাকর্মীকে রংপুর নামতে দেবে না। রাঙ্গা বলেন, ‘আমি যা বলেছি সত্য বলেছি এবং বলব। পার্টির বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলার রাইট আমার আছে। আমাকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত জিএম কাদেরের স্বেচ্ছাচারিতা এবং অগণতান্ত্রিক ও গঠনতন্ত্রবিরোধী।’
জাপার সাবেক এই মহাসচিব আরো বলেন, ‘জিএম কাদের আমাকে কি অব্যাহতি দেবেন? তাকে তো এরশাদ সাহেব অনেকবার বহিষ্কার করেছেন।’
জিএম কাদেরের এই সিদ্ধান্তের কারণে নেতাকর্মীরা তাকে রংপুরে নামতে দেবে না বলে হুঁশিয়ারি করে বিরোধী দলের চিফ হুইপ রাঙ্গা বলেন, ‘তাকে (কাদের) যদি লালমনিরহাট যেতেই হয়, হেলিকপ্টারে যেতে হবে।’ সম্প্রতি বেসরকারি ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় জিএম কাদের সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করেন মসিউর রহমান রাঙ্গা। পার্টির চেয়ারম্যান বিভিন্ন ইস্যুতে যে সরকারবিরোধী অবস্থান নিয়েছেন তার মধ্যে জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কিছু ইস্যুর সাথে একমত হলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভিন্নমত রয়েছে রাঙ্গার। রাঙ্গা বলেন, ‘আমাকে রওশন এরশাদের লোক বলা হয়। আমাকে জিএম কাদেরের রাইভাল (প্রতিদ্বন্দ্বী) ভাবা হয়। আসলে আমি রাইভাল নই।’
মশিউর রহমান রাঙ্গা জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদপন্থি বলে আলোচনা আছে। দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে চিকিৎসাধীন রওশন এরশাদ সম্প্রতি দলের জাতীয় সম্মেলন আহ্বান করেন ও নিজেকে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক করে আট সদস্যের একটি কমিটিরও ঘোষণা দেন। তার সঙ্গে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদেরপন্থিদের মধ্যে দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্যে।
সম্প্রতি গণমাধ্যমকে জি এম কাদের বলেন, কখনো কখনো রওশন এরশাদকে দিয়ে কিছু মহল কিছু বক্তব্য, বিবৃতি ও বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করছে, যা সার্বিকভাবে দলীয় অবস্থানের বিপক্ষে চলে যাচ্ছে। অসুস্থতা ও বয়সের কারণে তিনি (রওশন এরশাদ) বিরোধী দলের নেতার ভূমিকা সঠিকভাবে পালন করতে পারছেন না। এ অবস্থার মধ্যে রওশনপন্থি বলে পরিচিত মশিউর রহমান রাঙ্গাকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।