ঢাকা ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মশার ঘনত্ব বাড়ছে রোগ বিস্তার বাড়বে কি

  • আপডেট সময় : ০৫:৫৪:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

ড. কবিরুল বাশার : ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় এ মুহূর্তে মশার ঘনত্ব অনেক বেশি। বর্তমান সময়ে মশার কামড়ের মাধ্যমে বিভিন্ন রোগের বিস্তার নিয়ে অনেকের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় এ মুহূর্তে মশার ঘনত্ব অনেক বেশি। বর্তমান সময়ে মশার কামড়ের মাধ্যমে বিভিন্ন রোগের বিস্তার নিয়ে অনেকের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।

বাংলাদেশে মশার প্রজাতি নিয়ে গবেষণা হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত এখানে ১২৬ প্রজাতির মশা চিহ্নিত হয়েছে। ঢাকায় প্রায় ১৬ প্রজাতির মশা পাওয়া যায়, যার মধ্যে কিউলেক্স, এডিস, অ্যানোফিলিস, আর্মিজেরিস, ম্যানসোনিয়া ও টস্কোরিনকাইটিস অন্যতম। এ প্রজাতিগুলোর মধ্যে কিছু মশা রোগ সংক্রমণের জন্য দায়ী হলেও সব মশাই রোগ ছড়ায় না।

মশার ঘনত্ব এবং রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি সাধারণত ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে পরিবর্তন হয়, বিশেষ করে শীতের পরবর্তী সময়ে, বসন্তকালে মশার উপদ্রব বেড়ে যায়। এ সময়ে মশার সংখ্যা অনেক বেশি হয়ে থাকলেও রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা অতটা বেশি নয়। কারণ এ সময় যে মশার ঘনত্ব বেড়ে যায় সেটি হলো কিউলেক্স মশা।
কিউলেক্স মশা বাংলাদেশের অধিকাংশ অঞ্চলে, বিশেষ করে ঢাকার আশপাশের নিম্নাঞ্চল এলাকায় ব্যাপকভাবে পাওয়া যায়। বর্তমানে যে মশাগুলো সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে, তার মধ্যে কিউলেক্স মশার আধিপত্য রয়েছে। কিউলেক্স মশা সাধারণত ড্রেন, ডোবা, নর্দমা ও পচা পানিতে প্রজনন করে। যখন বৃষ্টিপাত কম হয় এবং পানির ঘনত্ব বেড়ে যায়, তখন এসব স্থানে মশার প্রজননের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এছাড়া শীত শেষে তাপমাত্রা বাড়লে মশার প্রজনন দ্রুত বাড়ে এবং ডিম ফুটে পূর্ণাঙ্গ মশায় রূপান্তরিত হয় যা তাদের ঘনত্ব বৃদ্ধিতে সহায়ক।

বর্তমানে ঢাকার নিম্নাঞ্চলগুলোয় মশার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। এ এলাকাগুলোয় ঝিল, ডোবা, নালা, বিল ও খাল বেশি পরিমাণে রয়েছে। এসব নিচু জমিতে যেখানে ঢাকার পানি জমা হয়, সেখানে মশার প্রজনন সবচেয়ে বেশি হয়। মশা প্রজাতিভেদে সাধারণত দুই কিলোমিটার পর্যন্ত উড়ে এসে রক্ত পান করতে পারে এবং এ এলাকাগুলোয় যদি ডোবা, নর্দমা বা ড্রেন থাকে, তাহলে সেখানে মশার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এ কারণে ঢাকার কিছু এলাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে মশার প্রকোপ বেড়ে গেছে। ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার সাধারণত বর্ষাকাল ও পরবর্তী সময়ে ঘনত্ব বাড়ে। শীতকালে এডিস মশার ঘনত্ব কম থাকে, তবে একেবারেই অনুপস্থিত থাকে না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে প্রতিদিন ২০ জনের অধিক ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। তবে এ সময় ডেঙ্গু নিয়ে অতিরিক্ত আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ মশার প্রজনন পাত্রের অপসারণ এবং জনগণকে সচেতন করার মাধ্যমে এ রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। এডিস মশার প্রজনন পাত্রগুলো অপসারণ এবং বৃষ্টি আসার আগে একযোগে মশার বিস্তার রোধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলোর আরো কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। সিটি করপোরেশন ও অন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে একত্রে কাজ করতে হবে। দেশের বিশেষজ্ঞ কীটতত্ত্ববিদদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা উচিত, যারা মশা নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি উন্নত করবে এবং সারা বছর বিজ্ঞানভিত্তিক কিউলেক্স ও এডিস মশার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রণয়ন করবে। মশার প্রজনন স্থানগুলোয় নিয়মিতভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া সাধারণ জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি নিজেদের বাড়ির আঙিনা, পরিত্যক্ত জমি ও নির্মাণাধীন ভবনে জমে থাকা পানি পরিষ্কার করি, তবে মশার প্রজনন ক্ষেত্র সীমিত হবে। আমাদের সবার দায়িত্ব, সঠিকভাবে ময়লা-আবর্জনা ফেলা এবং পাড়া-মহল্লার স্থানগুলো পরিষ্কার রাখা। শুধু সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়, এটি একটি যৌথ উদ্যোগের প্রয়োজন, যেখানে সরকারের পাশাপাশি নাগরিকদেরও সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি।

বাংলাদেশে মশার নিয়ন্ত্রণে একটি বড় সমস্যা হলো, বেশির ভাগ সময় নাগরিকরা সরকারকে দোষারোপ করে, কিন্তু মশার প্রজননস্থান মূলত আমরা নাগরিকরাই তৈরি করি। আমরা যদি নিজেদের সচেতন করি এবং সঠিকভাবে সঠিক স্থানে আবর্জনা ফেলি, তবে মশার সমস্যা অনেকাংশে কমে যাবে। সঙ্গে সঙ্গে মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যদি নিজেদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে এবং জনগণ যদি তাদের সহযোগিতা দেয়, তবে এ সমস্যা মোকাবেলা করা সম্ভব। এ সমস্যার সমাধান কেবল সব অংশীজন একত্রে কাজ করার মাধ্যমে হতে পারে। সিটি করপোরেশনের উদ্যোগ, সাধারণ নাগরিকের সচেতনতা এবং বিজ্ঞানভিত্তিক পদক্ষেপের মাধ্যমে মশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এজন্য সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন, যাতে মশার কামড়ের মাধ্যমে রোগের বিস্তার রোধ করা যায়। আমাদের জীবনকে আরো সুস্থ ও নিরাপদ করা যায়।

লেখক: অধ্যাপক ও কীটতত্ত্ববিদ, প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মশার ঘনত্ব বাড়ছে রোগ বিস্তার বাড়বে কি

আপডেট সময় : ০৫:৫৪:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ড. কবিরুল বাশার : ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় এ মুহূর্তে মশার ঘনত্ব অনেক বেশি। বর্তমান সময়ে মশার কামড়ের মাধ্যমে বিভিন্ন রোগের বিস্তার নিয়ে অনেকের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় এ মুহূর্তে মশার ঘনত্ব অনেক বেশি। বর্তমান সময়ে মশার কামড়ের মাধ্যমে বিভিন্ন রোগের বিস্তার নিয়ে অনেকের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।

বাংলাদেশে মশার প্রজাতি নিয়ে গবেষণা হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত এখানে ১২৬ প্রজাতির মশা চিহ্নিত হয়েছে। ঢাকায় প্রায় ১৬ প্রজাতির মশা পাওয়া যায়, যার মধ্যে কিউলেক্স, এডিস, অ্যানোফিলিস, আর্মিজেরিস, ম্যানসোনিয়া ও টস্কোরিনকাইটিস অন্যতম। এ প্রজাতিগুলোর মধ্যে কিছু মশা রোগ সংক্রমণের জন্য দায়ী হলেও সব মশাই রোগ ছড়ায় না।

মশার ঘনত্ব এবং রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি সাধারণত ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে পরিবর্তন হয়, বিশেষ করে শীতের পরবর্তী সময়ে, বসন্তকালে মশার উপদ্রব বেড়ে যায়। এ সময়ে মশার সংখ্যা অনেক বেশি হয়ে থাকলেও রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা অতটা বেশি নয়। কারণ এ সময় যে মশার ঘনত্ব বেড়ে যায় সেটি হলো কিউলেক্স মশা।
কিউলেক্স মশা বাংলাদেশের অধিকাংশ অঞ্চলে, বিশেষ করে ঢাকার আশপাশের নিম্নাঞ্চল এলাকায় ব্যাপকভাবে পাওয়া যায়। বর্তমানে যে মশাগুলো সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে, তার মধ্যে কিউলেক্স মশার আধিপত্য রয়েছে। কিউলেক্স মশা সাধারণত ড্রেন, ডোবা, নর্দমা ও পচা পানিতে প্রজনন করে। যখন বৃষ্টিপাত কম হয় এবং পানির ঘনত্ব বেড়ে যায়, তখন এসব স্থানে মশার প্রজননের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এছাড়া শীত শেষে তাপমাত্রা বাড়লে মশার প্রজনন দ্রুত বাড়ে এবং ডিম ফুটে পূর্ণাঙ্গ মশায় রূপান্তরিত হয় যা তাদের ঘনত্ব বৃদ্ধিতে সহায়ক।

বর্তমানে ঢাকার নিম্নাঞ্চলগুলোয় মশার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। এ এলাকাগুলোয় ঝিল, ডোবা, নালা, বিল ও খাল বেশি পরিমাণে রয়েছে। এসব নিচু জমিতে যেখানে ঢাকার পানি জমা হয়, সেখানে মশার প্রজনন সবচেয়ে বেশি হয়। মশা প্রজাতিভেদে সাধারণত দুই কিলোমিটার পর্যন্ত উড়ে এসে রক্ত পান করতে পারে এবং এ এলাকাগুলোয় যদি ডোবা, নর্দমা বা ড্রেন থাকে, তাহলে সেখানে মশার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এ কারণে ঢাকার কিছু এলাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে মশার প্রকোপ বেড়ে গেছে। ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার সাধারণত বর্ষাকাল ও পরবর্তী সময়ে ঘনত্ব বাড়ে। শীতকালে এডিস মশার ঘনত্ব কম থাকে, তবে একেবারেই অনুপস্থিত থাকে না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে প্রতিদিন ২০ জনের অধিক ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। তবে এ সময় ডেঙ্গু নিয়ে অতিরিক্ত আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ মশার প্রজনন পাত্রের অপসারণ এবং জনগণকে সচেতন করার মাধ্যমে এ রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। এডিস মশার প্রজনন পাত্রগুলো অপসারণ এবং বৃষ্টি আসার আগে একযোগে মশার বিস্তার রোধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলোর আরো কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। সিটি করপোরেশন ও অন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে একত্রে কাজ করতে হবে। দেশের বিশেষজ্ঞ কীটতত্ত্ববিদদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা উচিত, যারা মশা নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি উন্নত করবে এবং সারা বছর বিজ্ঞানভিত্তিক কিউলেক্স ও এডিস মশার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রণয়ন করবে। মশার প্রজনন স্থানগুলোয় নিয়মিতভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া সাধারণ জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি নিজেদের বাড়ির আঙিনা, পরিত্যক্ত জমি ও নির্মাণাধীন ভবনে জমে থাকা পানি পরিষ্কার করি, তবে মশার প্রজনন ক্ষেত্র সীমিত হবে। আমাদের সবার দায়িত্ব, সঠিকভাবে ময়লা-আবর্জনা ফেলা এবং পাড়া-মহল্লার স্থানগুলো পরিষ্কার রাখা। শুধু সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়, এটি একটি যৌথ উদ্যোগের প্রয়োজন, যেখানে সরকারের পাশাপাশি নাগরিকদেরও সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি।

বাংলাদেশে মশার নিয়ন্ত্রণে একটি বড় সমস্যা হলো, বেশির ভাগ সময় নাগরিকরা সরকারকে দোষারোপ করে, কিন্তু মশার প্রজননস্থান মূলত আমরা নাগরিকরাই তৈরি করি। আমরা যদি নিজেদের সচেতন করি এবং সঠিকভাবে সঠিক স্থানে আবর্জনা ফেলি, তবে মশার সমস্যা অনেকাংশে কমে যাবে। সঙ্গে সঙ্গে মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যদি নিজেদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে এবং জনগণ যদি তাদের সহযোগিতা দেয়, তবে এ সমস্যা মোকাবেলা করা সম্ভব। এ সমস্যার সমাধান কেবল সব অংশীজন একত্রে কাজ করার মাধ্যমে হতে পারে। সিটি করপোরেশনের উদ্যোগ, সাধারণ নাগরিকের সচেতনতা এবং বিজ্ঞানভিত্তিক পদক্ষেপের মাধ্যমে মশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এজন্য সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন, যাতে মশার কামড়ের মাধ্যমে রোগের বিস্তার রোধ করা যায়। আমাদের জীবনকে আরো সুস্থ ও নিরাপদ করা যায়।

লেখক: অধ্যাপক ও কীটতত্ত্ববিদ, প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়