ঢাকা ০৯:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

মরুভূমির মিষ্টি ফল ত্বীনের বাণিজ্যিক চাষ রংপুরে

  • আপডেট সময় : ১১:৪৭:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ এপ্রিল ২০২২
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

রকি আহমদ, রংপুর : পবিত্র কোরআনের আত ত্বীন সূরায় বর্ণিত মরুভূমির মিষ্টি ফল ত্বীনের বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে রংপুরে। মিঠাপুকুর উপজেলার শাল্টিগোপালপুরে ত্বীন এগ্রো ফার্ম চাষ করছে মরুর এই সুস্বাদু ফলটি । যা একেকটি বিক্রি হচ্ছে ১ ডলারে। আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত ডুমুর আকৃতির এই ফল এলাকায় সবার দৃষ্টি কেড়েছে। অন্যান্য চাষী ও সাধারণ মানুষও ত্বীন চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। ত্বীন এগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী দুই ভাই রাহাত ও রাতুল শখের বসে ত্বীন চাষ শুরু করলেও বাণিজ্যিক ভাবে এখন চাষ হচ্ছে এই ফল। গত বছর চারা রোপণের পর থেকে বেশ আশার আলো দেখছেন তারা। ত্বীন এগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী রাহাত হাসান জানান, বাংলাদেশের মাটি ও আবহাওয়ায় ত্বীন চাষে সাফল্যের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এগুলোর ফল নীল, মেরুন, লাল, হলুদসহ বিভিন্ন বর্ণের হয়ে থাকে। এখানকার গাছে প্রতিটি ত্বীন ফল ওজনে ৭০ থেকে ১১০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। তিনি বলেন, ফল ও চারা বিক্রি করে আর্থিক ভাবে লাভবানের পাশাপাশি বাণিজ্যিক ভাবে রপ্তানির জন্য সহায়তা প্রয়োজন কৃষি অধিদপ্তরের। ত্বীন ফল ও গাছের ব্যাপক চাহিদার কারণে প্রকল্প হাতে নিয়েছে ফার্ম কর্তৃপক্ষ। এখান থেকে কলম তৈরি করে চাষীদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে ফল বিক্রেতারাও ত্বীন কিনে নিয়ে যান। প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ কেজি বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজির মূল্য এক হাজার টাকা। অন্যদিকে প্রত্যন্ত এলাকায় এর চাষ হওয়ায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে শিক্ষার্থী ও বেকার যুবকদের। ত্বীন এগ্রো ফার্মের বাগান পরিচর্যা করে আয়ের উৎস তৈরী হয়েছে তাদের।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ আজকের প্রত্যাশাকে বলেন, প্রাথমিকভাবে গবেষণায় রয়েছে ত্বীন ফলটি, ফলাফল ভালো ও লাভজনক হলেই প্রান্তিক কৃষকদের উৎসাহিত করা হবে এই ফল চাষে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ত্বীন। দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোসহ এটি নানা রোগ নিরাময়েও সহায়ক। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়ামসহ নানাবিধ ভেষজ গুণ। এছাড়াও ব্রেস্ট ক্যান্সার রোধে ফলটি খুবই উপকারী।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মরুভূমির মিষ্টি ফল ত্বীনের বাণিজ্যিক চাষ রংপুরে

আপডেট সময় : ১১:৪৭:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ এপ্রিল ২০২২

রকি আহমদ, রংপুর : পবিত্র কোরআনের আত ত্বীন সূরায় বর্ণিত মরুভূমির মিষ্টি ফল ত্বীনের বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে রংপুরে। মিঠাপুকুর উপজেলার শাল্টিগোপালপুরে ত্বীন এগ্রো ফার্ম চাষ করছে মরুর এই সুস্বাদু ফলটি । যা একেকটি বিক্রি হচ্ছে ১ ডলারে। আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত ডুমুর আকৃতির এই ফল এলাকায় সবার দৃষ্টি কেড়েছে। অন্যান্য চাষী ও সাধারণ মানুষও ত্বীন চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। ত্বীন এগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী দুই ভাই রাহাত ও রাতুল শখের বসে ত্বীন চাষ শুরু করলেও বাণিজ্যিক ভাবে এখন চাষ হচ্ছে এই ফল। গত বছর চারা রোপণের পর থেকে বেশ আশার আলো দেখছেন তারা। ত্বীন এগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী রাহাত হাসান জানান, বাংলাদেশের মাটি ও আবহাওয়ায় ত্বীন চাষে সাফল্যের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এগুলোর ফল নীল, মেরুন, লাল, হলুদসহ বিভিন্ন বর্ণের হয়ে থাকে। এখানকার গাছে প্রতিটি ত্বীন ফল ওজনে ৭০ থেকে ১১০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। তিনি বলেন, ফল ও চারা বিক্রি করে আর্থিক ভাবে লাভবানের পাশাপাশি বাণিজ্যিক ভাবে রপ্তানির জন্য সহায়তা প্রয়োজন কৃষি অধিদপ্তরের। ত্বীন ফল ও গাছের ব্যাপক চাহিদার কারণে প্রকল্প হাতে নিয়েছে ফার্ম কর্তৃপক্ষ। এখান থেকে কলম তৈরি করে চাষীদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে ফল বিক্রেতারাও ত্বীন কিনে নিয়ে যান। প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ কেজি বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজির মূল্য এক হাজার টাকা। অন্যদিকে প্রত্যন্ত এলাকায় এর চাষ হওয়ায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে শিক্ষার্থী ও বেকার যুবকদের। ত্বীন এগ্রো ফার্মের বাগান পরিচর্যা করে আয়ের উৎস তৈরী হয়েছে তাদের।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ আজকের প্রত্যাশাকে বলেন, প্রাথমিকভাবে গবেষণায় রয়েছে ত্বীন ফলটি, ফলাফল ভালো ও লাভজনক হলেই প্রান্তিক কৃষকদের উৎসাহিত করা হবে এই ফল চাষে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ত্বীন। দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোসহ এটি নানা রোগ নিরাময়েও সহায়ক। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়ামসহ নানাবিধ ভেষজ গুণ। এছাড়াও ব্রেস্ট ক্যান্সার রোধে ফলটি খুবই উপকারী।