ঢাকা ০১:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

মমেক হাসপাতালে ১৩ ইন্টার্ন চিকিৎসকের প্রশিক্ষণ স্থগিত

  • আপডেট সময় : ১২:৩১:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৪২ বার পড়া হয়েছে

ময়মনসিংহ সংবাদদাতা : ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ১৩ ইন্টার্ন চিকিৎসকের প্রশিক্ষণ স্থগিত করেছে প্রতিষ্ঠানটির ডিসিপ্লিনারি কমিটি। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী মো. সৈকত এ তথ্য নিশ্চিত করেন।এর আগে গতকাল বুধবার মমেক হাসপাতালের পরিচালক ও ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনালের মো. গোলাম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। ওই নোটিশে বলা হয়- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান গ্রহণ, আন্দোলন বানচালের উদ্দেশ্যে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের হুমকি দেওয়া, ভয়ভীতি প্রদর্শন, বিগত স্বৈরাচারী সরকারের অপরাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ, সাধারণ শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, ক্যাম্পাস ও তৎসংলগ্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, হোস্টেলে মাদক বাণিজ্য ও মাদক সেবন ইত্যাদি অপরাধে হাসপাতালের ডিসিপ্লিনারি কমিটির এক জরুরি সভায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করা পর্যন্ত অভিযুক্তদের ইন্টার্ন প্রশিক্ষণ স্থগিত করা হলো। একই সঙ্গে অভিযুক্তদের আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে হাসপাতালের ডিসিপ্লিনারি কমিটির নিকট লিখিতভাবে এবং সশরীরে হাজির হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ইন্টার্ন প্রশিক্ষণ স্থগিত হওয়া চিকিৎসকরা হলেন- ডা. প্রতীক বিশ্বাস, লতিফুল কবির কৌশিক, সুনীতি কুমার, শামীম রেজা, নাইমুর রশীদ, মেহেদী হাসান রোমান, এটিবি রুবেল, ফায়াদুর রহমান আকাশ, কামরুল হাসান, আবু রায়হান, সাখাওয়াত হোসেন সিফাত, অর্নব কুন্ড এবং কাশফি তাবরিজ। তারা সবাই মমেক কলেজ ছাত্রলীগের সক্রিয় নেতাকর্মী বলে জানা গেছে। এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একদল শিক্ষার্থী অভিযুক্তদের শাস্তি দাবি করে হাসপাতালের পরিচালকের কাছে যান। এ সময় অভিযুক্তসহ ছাত্রলীগ সমর্থিত অপর একটি দল সেখানে উপস্থিত হয়ে হট্টগোল শুরু করে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনার খবর পেয়ে সেনাসদস্য, র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন বলে জানান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারি শিক্ষার্থী মো. সৈকত। এ বিষয়ে হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আব্দুর রহিম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মমেক হাসপাতালে ১৩ ইন্টার্ন চিকিৎসকের প্রশিক্ষণ স্থগিত

আপডেট সময় : ১২:৩১:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ময়মনসিংহ সংবাদদাতা : ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ১৩ ইন্টার্ন চিকিৎসকের প্রশিক্ষণ স্থগিত করেছে প্রতিষ্ঠানটির ডিসিপ্লিনারি কমিটি। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী মো. সৈকত এ তথ্য নিশ্চিত করেন।এর আগে গতকাল বুধবার মমেক হাসপাতালের পরিচালক ও ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনালের মো. গোলাম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। ওই নোটিশে বলা হয়- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান গ্রহণ, আন্দোলন বানচালের উদ্দেশ্যে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের হুমকি দেওয়া, ভয়ভীতি প্রদর্শন, বিগত স্বৈরাচারী সরকারের অপরাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ, সাধারণ শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, ক্যাম্পাস ও তৎসংলগ্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, হোস্টেলে মাদক বাণিজ্য ও মাদক সেবন ইত্যাদি অপরাধে হাসপাতালের ডিসিপ্লিনারি কমিটির এক জরুরি সভায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করা পর্যন্ত অভিযুক্তদের ইন্টার্ন প্রশিক্ষণ স্থগিত করা হলো। একই সঙ্গে অভিযুক্তদের আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে হাসপাতালের ডিসিপ্লিনারি কমিটির নিকট লিখিতভাবে এবং সশরীরে হাজির হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ইন্টার্ন প্রশিক্ষণ স্থগিত হওয়া চিকিৎসকরা হলেন- ডা. প্রতীক বিশ্বাস, লতিফুল কবির কৌশিক, সুনীতি কুমার, শামীম রেজা, নাইমুর রশীদ, মেহেদী হাসান রোমান, এটিবি রুবেল, ফায়াদুর রহমান আকাশ, কামরুল হাসান, আবু রায়হান, সাখাওয়াত হোসেন সিফাত, অর্নব কুন্ড এবং কাশফি তাবরিজ। তারা সবাই মমেক কলেজ ছাত্রলীগের সক্রিয় নেতাকর্মী বলে জানা গেছে। এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একদল শিক্ষার্থী অভিযুক্তদের শাস্তি দাবি করে হাসপাতালের পরিচালকের কাছে যান। এ সময় অভিযুক্তসহ ছাত্রলীগ সমর্থিত অপর একটি দল সেখানে উপস্থিত হয়ে হট্টগোল শুরু করে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনার খবর পেয়ে সেনাসদস্য, র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন বলে জানান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারি শিক্ষার্থী মো. সৈকত। এ বিষয়ে হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আব্দুর রহিম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।