ঢাকা ০৩:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

মব ঠেকাতে ব্যর্থ পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার

  • আপডেট সময় : ০৬:১৯:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকায় মব জাস্টিস ঠেকাতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে জাপানি সংস্থা জাইকার কারিগরি সহযোগিতায় ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিআরএসপি প্রজেক্টের অধীনে ‘সড়ক নিরাপত্তা পোস্টার ও স্লোগান’ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, উত্তরায় সাবেক সিইসি নূরুল হুদার মবকাণ্ডে একজন অ্যারেস্ট আছে। আমরা একটা মামলাও নিচ্ছি। আমরা মব জাস্টিস অ্যালাউ করছি না। অনেক মামলাও নিয়েছি। মব জাস্টিসের ঘটনায় আমরা ছিনতাই ও ডাকাতির মামলা নিয়েছি। মব জাস্টিসের এক-দুটি ঘটনায় পুলিশ অফিসাররা তাদের কর্তব্যে অবহেলার কারণে তাদের বিরুদ্ধেও সাসপেন্ড ও শাস্তি দিয়েছি। তিন-মাস চার মাস আগে যে পরিমাণ মব জাস্টিস ছিল এখন সে পরিমাণ নেই।

তিনি আরো বলেন, যে বাড়িতে আসামি আছে সেই বাড়িতে রাতে হানা দেওয়া, দরজা ভাঙা বা কিছু করা এ ধরনের ঘটনা অ্যালাউ করছি না। এ কারণে সম্প্রতি এ ধরনের ঘটনা কমে গেছে। কেউ যেন কোনো অপরাধীকে ধরার জন্য না যায়। আপনারা পুলিশকে খবর দেবেন, আমরা সেখানে যাবো এবং তাদের ধরবো। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার এখতিয়ার রাখে না। যেসব অফিসার এ ধরনের ঘটনায় ব্যবস্থা নেবে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগ পেলেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আদাবর থানায় একটি চাঁদাবাজির ঘটনায় আমরা মামলা নিয়েছি এবং গ্রেফতার করেছি।

অনুষ্ঠানে জাইকার কারিগরি সহযোগিতায় ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিআরএসপি প্রজেক্টের অধীনে ‘সড়ক নিরাপত্তা পোস্টার ও স্লোগান’ প্রতিযোগিতায় ১০ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কার তুলে দেন ডিএমপি কমিশনার। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার এবং জাইকার কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

রথযাত্রার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সমন্বয় সভা: হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আসন্ন রথযাত্রা উপলক্ষ্যে ঢাকা মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৩ জুন) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ২৭ জুন রথযাত্রা ও ৫ জুলাই উল্টো রথযাত্রা উদযাপন উপলক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গৃহীত পদক্ষেপ ও নির্দেশনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। রথযাত্রায় পিকেট পার্টি, টহল পার্টি, সিসিটিভি ক্যামেরা, ফুট পেট্রোল, রুফটপ পার্টি, হোন্ডা মোবাইল, ডিবি টিম, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা টিম, সোয়াট টিম, বোম্ব ডিসপোজাল টিম ও ট্রাফিক পুলিশসহ পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে বলে সভায় অবহিত করা হয়।

রথযাত্রা নির্ধারিত রুটে ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করার বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া নামাজ ও আজানের সময় লাউড স্পিকার/মাইক বাজানো থেকে বিরত থাকা, নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, ব্যাগ-পোটলাসহ রথযাত্রায় অংশগ্রহণ না করা, সন্দেহজনক ব্যক্তি বা বস্তু দেখলে পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করা হয়।

সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মহানগরীর এই রথযাত্রা একটি বড় শোভাযাত্রা। শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে জনসমাগম বেশি হওয়ায় সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। রথযাত্রা সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরাপদে উদযাপনের লক্ষ্যে ডিএমপির পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

নির্দিষ্ট সময়ে রথযাত্রা শুরু ও শেষ করতে রথযাত্রা উদযাপন কমিটির নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা সব ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিয়ে থাকি। আমি আশা করি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ আয়োজনটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হব।

সমন্বয় সভায় যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। এ ছাড়া ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি এবং রথযাত্রা উদযাপন কমিটির নেতারা মতামত দেন।

সমন্বয় সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মাসুদ করিম, যুগ্ম পুলিশ কমিশনাররা, উপ-পুলিশ কমিশনাররা ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা এবং ডিজিএফআই, এনএসআই, এসবি, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি ও রথযাত্রা উদযাপন কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মব ঠেকাতে ব্যর্থ পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার

আপডেট সময় : ০৬:১৯:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকায় মব জাস্টিস ঠেকাতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে জাপানি সংস্থা জাইকার কারিগরি সহযোগিতায় ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিআরএসপি প্রজেক্টের অধীনে ‘সড়ক নিরাপত্তা পোস্টার ও স্লোগান’ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, উত্তরায় সাবেক সিইসি নূরুল হুদার মবকাণ্ডে একজন অ্যারেস্ট আছে। আমরা একটা মামলাও নিচ্ছি। আমরা মব জাস্টিস অ্যালাউ করছি না। অনেক মামলাও নিয়েছি। মব জাস্টিসের ঘটনায় আমরা ছিনতাই ও ডাকাতির মামলা নিয়েছি। মব জাস্টিসের এক-দুটি ঘটনায় পুলিশ অফিসাররা তাদের কর্তব্যে অবহেলার কারণে তাদের বিরুদ্ধেও সাসপেন্ড ও শাস্তি দিয়েছি। তিন-মাস চার মাস আগে যে পরিমাণ মব জাস্টিস ছিল এখন সে পরিমাণ নেই।

তিনি আরো বলেন, যে বাড়িতে আসামি আছে সেই বাড়িতে রাতে হানা দেওয়া, দরজা ভাঙা বা কিছু করা এ ধরনের ঘটনা অ্যালাউ করছি না। এ কারণে সম্প্রতি এ ধরনের ঘটনা কমে গেছে। কেউ যেন কোনো অপরাধীকে ধরার জন্য না যায়। আপনারা পুলিশকে খবর দেবেন, আমরা সেখানে যাবো এবং তাদের ধরবো। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার এখতিয়ার রাখে না। যেসব অফিসার এ ধরনের ঘটনায় ব্যবস্থা নেবে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগ পেলেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আদাবর থানায় একটি চাঁদাবাজির ঘটনায় আমরা মামলা নিয়েছি এবং গ্রেফতার করেছি।

অনুষ্ঠানে জাইকার কারিগরি সহযোগিতায় ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিআরএসপি প্রজেক্টের অধীনে ‘সড়ক নিরাপত্তা পোস্টার ও স্লোগান’ প্রতিযোগিতায় ১০ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কার তুলে দেন ডিএমপি কমিশনার। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার এবং জাইকার কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

রথযাত্রার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সমন্বয় সভা: হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আসন্ন রথযাত্রা উপলক্ষ্যে ঢাকা মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৩ জুন) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ২৭ জুন রথযাত্রা ও ৫ জুলাই উল্টো রথযাত্রা উদযাপন উপলক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গৃহীত পদক্ষেপ ও নির্দেশনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। রথযাত্রায় পিকেট পার্টি, টহল পার্টি, সিসিটিভি ক্যামেরা, ফুট পেট্রোল, রুফটপ পার্টি, হোন্ডা মোবাইল, ডিবি টিম, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা টিম, সোয়াট টিম, বোম্ব ডিসপোজাল টিম ও ট্রাফিক পুলিশসহ পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে বলে সভায় অবহিত করা হয়।

রথযাত্রা নির্ধারিত রুটে ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করার বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া নামাজ ও আজানের সময় লাউড স্পিকার/মাইক বাজানো থেকে বিরত থাকা, নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, ব্যাগ-পোটলাসহ রথযাত্রায় অংশগ্রহণ না করা, সন্দেহজনক ব্যক্তি বা বস্তু দেখলে পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করা হয়।

সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মহানগরীর এই রথযাত্রা একটি বড় শোভাযাত্রা। শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে জনসমাগম বেশি হওয়ায় সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। রথযাত্রা সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরাপদে উদযাপনের লক্ষ্যে ডিএমপির পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

নির্দিষ্ট সময়ে রথযাত্রা শুরু ও শেষ করতে রথযাত্রা উদযাপন কমিটির নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা সব ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিয়ে থাকি। আমি আশা করি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ আয়োজনটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হব।

সমন্বয় সভায় যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। এ ছাড়া ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি এবং রথযাত্রা উদযাপন কমিটির নেতারা মতামত দেন।

সমন্বয় সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মাসুদ করিম, যুগ্ম পুলিশ কমিশনাররা, উপ-পুলিশ কমিশনাররা ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা এবং ডিজিএফআই, এনএসআই, এসবি, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি ও রথযাত্রা উদযাপন কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।