নিজস্ব প্রতিবেদক : চলমান মেট্রোরেল প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্যে সমন্বয়হীনতা ও সামগ্রিকভাবে চিন্তা না করার কারণেই ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় গুচ্ছাকারে (পকেট) জলাবদ্ধতার সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
গতকাল বুধবার সাপ্তাহিক নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে টিকাটুলী খেলার মাঠ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মেয়র এই মন্তব্য করেন। শেখ তাপস বলেন, ‘শনির আখড়ায় আমরা কাজলা খাল উদ্ধার করেছি। কিন্তু তারপরও পানি নিষ্কাশন এখনো পুরোপুরি হচ্ছে না। সেখানকার প্রতিবন্ধকতা হলো, সেখানে প্রকল্প (মেট্রোরেল প্রকল্প) চলছে এবং সে প্রকল্পের কারণে পানি নিষ্কাশন সঠিকভাবে হচ্ছে না। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছি, দেনদরবার করছি। আসলে ঢাকা শহরে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে, সামগ্রিকতা চিন্তা না করে প্রকল্পনির্ভর কাজ করার কারণে সমস্যাগুলো রয়ে যাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি, যাতে সমন্বয় করে কাজ করা যায় এবং দীর্ঘমেয়াদে সমস্যার সমাধান করা যায়।’
তাপস বলেন, ‘উন্মুক্ত জায়গায় বর্জ্য ফেলাতে এবং যত্রতত্র নির্মাণ সামগ্রী রাখাতে বা প্লাস্টিক জাতীয় বোতলগুলো ফেলাতে, সেগুলো গিয়ে নর্দমার মুখগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে এবং ভেতরে বদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে অনেক জায়গায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা দেখছি, সেগুলো দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার করা হয়নি।’
নগরবাসী জলাবদ্ধতা নিরসন কার্যক্রমের সুফল আগামী বছর থেকে পাওয়া শুরু করবে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কাজ করে যাচ্ছে। এবছর সে কাজের সুফল না পেলেও আগামী বছরগুলোতে নগরবাসী তা পাওয়া শুরু করবে। অবকাঠামো উন্নয়নে যে কাজগুলো হাতে নেওয়া হয়েছে, তা শেষ হলেই নগরবাসী ক্রমান্বয়ে জলাবদ্ধতার ভোগান্তি থেকে মুক্তি লাভ করবে।’
মতিঝিল এলাকার জলাবদ্ধতার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘এই এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য যে প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল, সেই কাজটি ঠিকাদার সময়মত শেষ করতে পারেনি। আমি দায়িত্ব পাওয়ার পরই সময়মত কাজ শেষ না করায় ঠিকাদারকে বাদ দিয়েছি এবং নতুন করে দরপত্র আহ্বান করে কাজ শেষ করা হয়েছে। এছাড়া ফকিরাপুলের টয়েনবি সার্কুলার রোডে জলাবদ্ধতা নিরসনেও কাজ চলছে। এগুলো শেষ হলে জলাবদ্ধতার প্রকোপ থাকবে না।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিম, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. জাফর আহমেদ, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের ও মুন্সি আবুল হাশেমসহ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলোর কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।