ঢাকা ০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

মন্দিরে মন্দিরে পূজার প্রস্তুতি

  • আপডেট সময় : ০২:০৮:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অক্টোবর ২০২১
  • ১০৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : এখন শরৎকাল। যখন-তখন বৃষ্টি। আকাশজুড়ে সাদা মেঘের লুকোচুরি। এ সময়েই সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। আগামীকাল ৬ অক্টোবর মহালয়া। এদিন নতুন করে মন্দির আর পূজাম-পে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিমা স্থাপন করা হবে।
১১ অক্টোবর হবে ষষ্ঠী পূজা। ১২ তারিখ সপ্তমী, ১৩ তারিখ অষ্টমী, ১৪ তারিখ নবমী এবং আগামী ১৫ অক্টোবর হবে দশমী। সবশেষে প্রতিমা বিসর্জন। কৈলাস ছেড়ে কন্যা রূপে ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে নিয়ে এবার বাবার বাড়িতে আসছেন মা দুর্গা। শ্রদ্ধা ভরে তিনি পূজিত হবেন ম-পে ম-পে। সে পূজার প্রস্তুতিই চলছে দেশজুড়ে। মন্দির আর ম-পে এখনো ঢাকে কাঠি না পড়লেও পুরনো ছাউনি ফেলে নতুন ছাউনি বাঁধার কাজ চলছে ঢাকিদের। খড়ের বেনার ওপর মাটির প্রলেপে নিজস্ব অবয়বে দেখা দিচ্ছেন দুর্গা।
সারা দেশে পূজার আমেজ। দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে সুপার মার্কেটগুলোতে কেনাকাটার ধুম লেগেছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের আনন্দ বেশি। পরিবারের ছোট-বড় সবার জন্য দুই হাত ভরে কেনাকাটা করে হাসিমুখে ফিরছেন সবাই।
ম-প আর মন্দিরে চলছে পূজার আয়োজন। রাত-দিন কাজ করছেন কারিগররা। আর তো মাত্র কয়েকটা দিন। আগামী ৬ অক্টোবর মহালয়া। এর মধ্যেই পূজার সব কাজ শেষ করতে হবে। তাই, জোরেসোরে চলছে প্রতিমা রঙ করাসহ নানা কাজ। কারিগরদের দম ফেলারও সময় নেই। সারা দেশে এবার ৩২ হাজার মন্দির ও ম-পে দুর্গাপূজা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চট্টোপাধ্যায়।
নির্বিঘেœ পূজা উদযাপনের বিষয়ে ইতোমধ্যে পূজা উদযাপন পরিষদের বৈঠক হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ মহাপরিদর্শকের সঙ্গে। সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদে সম্পন্ন করার ব্যাপারে প্রশাসনের তরফ থেকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে তাদের।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘আশা করছি, সারা দেশে সফলভাবে পূজা উদযাপিত হবে। মা দুর্গা দুর্গতিনাশিনী হয়ে আসবেন। মহিষাসুরের মতো বধ করবেন মহাপরাক্রমশালী করোনা মহামারিকে। পঞ্জিকা অনুযায়ী, এবার দেবী দুর্গা আসছেন ঘোড়ায় চড়ে। ঘোড়ার পায়ের শব্দ যুদ্ধের ইঙ্গিত দেয়। তবে, ভক্তকূলের চাওয়া বিশ্ব হোক শান্তিময়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক হত্যার দায় এড়াতে পারি না, আমাদের ব্যর্থতা আছে

মন্দিরে মন্দিরে পূজার প্রস্তুতি

আপডেট সময় : ০২:০৮:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অক্টোবর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : এখন শরৎকাল। যখন-তখন বৃষ্টি। আকাশজুড়ে সাদা মেঘের লুকোচুরি। এ সময়েই সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। আগামীকাল ৬ অক্টোবর মহালয়া। এদিন নতুন করে মন্দির আর পূজাম-পে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিমা স্থাপন করা হবে।
১১ অক্টোবর হবে ষষ্ঠী পূজা। ১২ তারিখ সপ্তমী, ১৩ তারিখ অষ্টমী, ১৪ তারিখ নবমী এবং আগামী ১৫ অক্টোবর হবে দশমী। সবশেষে প্রতিমা বিসর্জন। কৈলাস ছেড়ে কন্যা রূপে ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে নিয়ে এবার বাবার বাড়িতে আসছেন মা দুর্গা। শ্রদ্ধা ভরে তিনি পূজিত হবেন ম-পে ম-পে। সে পূজার প্রস্তুতিই চলছে দেশজুড়ে। মন্দির আর ম-পে এখনো ঢাকে কাঠি না পড়লেও পুরনো ছাউনি ফেলে নতুন ছাউনি বাঁধার কাজ চলছে ঢাকিদের। খড়ের বেনার ওপর মাটির প্রলেপে নিজস্ব অবয়বে দেখা দিচ্ছেন দুর্গা।
সারা দেশে পূজার আমেজ। দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে সুপার মার্কেটগুলোতে কেনাকাটার ধুম লেগেছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের আনন্দ বেশি। পরিবারের ছোট-বড় সবার জন্য দুই হাত ভরে কেনাকাটা করে হাসিমুখে ফিরছেন সবাই।
ম-প আর মন্দিরে চলছে পূজার আয়োজন। রাত-দিন কাজ করছেন কারিগররা। আর তো মাত্র কয়েকটা দিন। আগামী ৬ অক্টোবর মহালয়া। এর মধ্যেই পূজার সব কাজ শেষ করতে হবে। তাই, জোরেসোরে চলছে প্রতিমা রঙ করাসহ নানা কাজ। কারিগরদের দম ফেলারও সময় নেই। সারা দেশে এবার ৩২ হাজার মন্দির ও ম-পে দুর্গাপূজা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চট্টোপাধ্যায়।
নির্বিঘেœ পূজা উদযাপনের বিষয়ে ইতোমধ্যে পূজা উদযাপন পরিষদের বৈঠক হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ মহাপরিদর্শকের সঙ্গে। সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদে সম্পন্ন করার ব্যাপারে প্রশাসনের তরফ থেকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে তাদের।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘আশা করছি, সারা দেশে সফলভাবে পূজা উদযাপিত হবে। মা দুর্গা দুর্গতিনাশিনী হয়ে আসবেন। মহিষাসুরের মতো বধ করবেন মহাপরাক্রমশালী করোনা মহামারিকে। পঞ্জিকা অনুযায়ী, এবার দেবী দুর্গা আসছেন ঘোড়ায় চড়ে। ঘোড়ার পায়ের শব্দ যুদ্ধের ইঙ্গিত দেয়। তবে, ভক্তকূলের চাওয়া বিশ্ব হোক শান্তিময়।