প্রযুক্তি ডেস্ক : আগামী বছরে নতুন কর্মী নিয়োগে গতি কমানোর পরিকল্পনা করেছে অ্যাপল। পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক খরচেরও লাগাম টানতে চায় আইফোন নির্মাতা।
সোমবারের এক প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে আমেরিকান সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কাতেই এ পরিকল্পনা করেছে অ্যাপল। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে সত্যি প্রমাণিত হলে, মেটা প্ল্যাটফর্মস এবং টেসলা ইনকর্পোরেটেড-এর দেখানো পথেই হাঁটছে অ্যাপল। জুন মাসের শুরুতেই বৈশ্বিক অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে “বাজে অনুভূতি” হচ্ছে বলে চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করে ১০ শতাংশ কর্মী ছাটাইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন টেসলা কা-ারী ইলন মাস্ক।
আর জুলাই মাসের শুরুতেই একই শঙ্কায় নতুন কর্মী নিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে এনে, আরও কর্মী ছাটাইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছেন মেটা প্ল্যাটফর্মস প্রধান মার্ক জাকারবার্গ।
ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, অ্যাপল খরচ কমাতে চাইলেও কোম্পানির সবগুলো দলের ওপর এর সমান প্রভাব পড়বে না। ২০২৩ সালে নতুন পণ্য উন্মোচনের আগের পরিকল্পনাতেই এখন পর্যন্ত অটল আছে কোম্পানিটি। কোনো পরিবর্তন আসছে না আগামী বছরেই বহুল আলোচিত ‘মিক্সড-রিয়ালিটি’ হেডসেট উন্মোচনের পরিকল্পনাতেও। প্রযুক্তি শিল্পে বিনিয়োগের হার কমতে থাকার বিষয়টিই অ্যাপলের সাম্প্রতিক পরিকল্পনায় প্রতিফলিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান “বুকেহ ক্যাপিটাল পার্টনার্স’-এর প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা কিম ফরেস্ট।
“নতুন পণ্য, নতুন কোম্পানি, নতুন সবকিছুতেই বিনিয়োগ কমতে থাকার বিষয়টি প্রতিফলিত হচ্ছে অ্যাপলের পরিকল্পনায়। এ বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে যে, এই কোম্পানিগুলোর জন্য মুদ্রাস্ফীতি একটা সমস্যা।” বৈশ্বিক মন্দার আশঙ্কা করছেন বাজারের অনেকেই। স্মার্টফোনের মতো বহুল ব্যবহৃত ভোক্তাপণ্যেও ক্রেতাদের আগ্রহ কমবে বলে আশঙ্কা করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
রয়টার্স জানিয়েছে, এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে স্মার্টফোনের সরবরাহ কমেছে ৯ শতাংশ। তারপরও বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় স্মার্টফোনের তকমাটি ধরে রেখেছে অ্যাপলের আইফোন। স্মার্টফোন বাজারের ১৭ শতাংশ নিজের দখলে রেখেছে কোম্পানিটি। বিক্রির হিসেবে অ্যাপলের চেয়ে এগিয়ে কেবল স্যামসাং। সাধারণত প্রতিবছরের সেপ্টেম্বর মাসে নতুন আইফোনসহ পরিধানযোগ্য নতুন পণ্যগুলো উন্মোচন করে অ্যাপল। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক কোম্পানির কুপার্টিনোর কার্যালয়ের কর্মী সংখ্যা এক লাখ ৫৪ হাজার।