সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনী-কালীগঞ্জ) আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিন ও মনোনয়নবঞ্চিত নেতা ডা. মো. শহিদুল আলমের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে দুই পক্ষের কর্মসূচি কেন্দ্র করে কালীগঞ্জে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। বিকালে কালীগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে ধানের শীষের প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি গণমিছিল বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে সমাবেশে বক্তৃতা দেন তিনি। একই সময়ে ডা. শহিদুল আলমের সমর্থকরা তার মনোনয়নের দাবিতে কালো পতাকা মিছিল বের করেন। এ সময় ড. শহিদুল আলমপন্থীরা মিছিল নিয়ে কাজী আলাউদ্দিনের সমাবেশস্থলের দিকে এগোলে পুলিশ বাধা দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী।
গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী সংঘর্ষের আশঙ্কায় একদল নাশকতাকারী বিপুল পরিমাণ গুলতি, লোহার বল, লাঠিসোঁটা, ইট-পাটকেল ও দেশীয় অস্ত্রসহ প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সেনা সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা অস্ত্র ও লোহার টুকরা নদীতে ফেলে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় একটি মিনি ট্রাক, তিনটি পিকআপ ভ্যান, লাঠি, ইট-পাটকেল, গুলতি, লোহার পাইপ ও ধারালো লোহার টুকরা জব্দ করা হয়। গ্রেফতার চারজন ও জব্দ সামগ্রী পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন আশাশুনি থানার বাটরা গ্রামের আলীমুলের ছেলে মামুন, নলতা ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের শফিকুল সরকারের ছেলে শামীম, কাশীবাটি গ্রামের মোস্তফা সরদারের ছেলে আব্দুল মান্নান, পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামের মৃদুল কুমার ঘোষের ছেলে শুভঙ্কর কুমার ঘোষ।
কালীগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার মোহাম্মদ সাজিদের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলের আশপাশে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।
কালীগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, দুইপক্ষের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। পরে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে ইট-পাটকেল ও বাঁশের লাঠি উদ্ধার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের থানায় আনা হয়েছে।
আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ




















