ঢাকা ০৯:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মনের ধকল কাটাতে সহায়ক যেসব কাজ

  • আপডেট সময় : ০৬:৩৮:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক: শারীরিকভাবে যতটা না ক্লান্ত লাগছে, তার চেয়ে অনেক বেশি খারাপ হচ্ছে মন। কাজ করছেন, কিন্তু কোনোটাই সঠিকভাবে হচ্ছে না। ছোটখাটো কথা ঝগড়ার আকার নিচ্ছে।

অফিসের কাজ সামলে বাড়িতে এসেও কাজ। আবার, সকাল হতে না হতেই বেরিয়ে পড়া। গতে বাঁধা জীবনে মুক্ত বাতাস বলতে কয়েক দিনের ছুটি। কিন্তু যখন তখন হুট করে ছুটিও নেওয়া যাবে না। একঘেয়ে জীবন কাটাতে কাটাতে তাই খুব ক্লান্ত বোধ করছেন।

রাতে দু’চোখের পাতা এক করতে পারছেন না। স্ট্রেস হরমোন, অর্থাৎ কর্টিজলের মাত্রা বাড়তে থাকলে দেহের ওজনও বৃদ্ধি পায়। রোগ প্রতিরোধ শক্তিও দুর্বল হয়ে পড়ে। তবে মনোবিদেরা বলছেন, কাজ থেকেই ক্লান্তি আসে। আবার কাজের মধ্যে থাকলে মন ভালোও হয়। কী সেইসব কাজ?

১. পছন্দের রান্না করুন: মনের ধকল বা অবসাদ কাটাতে পছন্দের রান্না করতে পারেন। না হলে রান্না নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষাও করা যেতে পারে। যেমন, বাড়িতে পিৎজা তৈরি করতে হলে অনেকেই দোকান থেকে পিৎজা বেস কিনে আনেন। তা না করে বাড়িতে আটা দিয়ে পিৎজা বেস তৈরি করে নিতে পারেন। আবার, দেশি খাবারে বিদেশি মশলা ব্যবহার করে ‘ফিউশন’ পদও তৈরি করতে পারেন।

২. ‘সেল্ফ কেয়ার’ বা নিজের যত্ন: সারা দিনের পর কাজ থেকে ফিরে নিজের যত্ন নিতে ইচ্ছে করে না। তবে মনোবিদেরা বলছেন, মানসিক চাপ লাঘব করার জন্য ‘সেল্ফ কেয়ার’ জরুরি। তার জন্য খরচ করে স্যালুনে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। স্নায়ুর উত্তেজনা প্রশমনে গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা সুগন্ধি ঢেলে গোসল করলেও উপকার পাওয়া যায়।

৩. প্রিয় মানুষের সঙ্গে কথা বলুন: কথা শোনার মতো মানুষের খোঁজ পাওয়া ভার। তবে যদি এমন কেউ সন্ধানে থাকেন, তা হলে কোনোভাবে তাকে হাতছাড়া করবেন না। তার সঙ্গে আবেগ, অনুভূতি, খারাপ-ভালো ভাগ করে নিলে মনের চাপ লাঘব হবে। কথা বললে মনের অন্ধকারাচ্ছন্ন দিকগুলোয় আলো জ্বলে উঠতে পারে।

৪. নিজের সঙ্গে সময় কাটান: কাজের চাপে চিঁড়েচ্যাপটা হওয়ার জোগাড়? এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারে পুরনো কোনো শখ। তা সে গল্পের বই পড়া হতে পারে, ছবি আঁকাও হতে পারে, আবার বাগানের আগাছা পরিষ্কার করাও হতে পারে। নিজের সঙ্গে সময় কাটালে মন ভালো হয়ে ওঠে।

৫. খোলা হাওয়ায় ঘুরে বেড়ান: মানসিক চাপ কমাতে বাড়ির আশপাশে একটু হাঁটাহাটি করা যেতে পারে। বাড়ির সামনে তেমন কোনো জায়গা না থাকলে ছাদেও হাঁটা যায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই ধরনের হালকা শরীরচর্চা বিশেষভাবে কার্যকর।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মনের ধকল কাটাতে সহায়ক যেসব কাজ

আপডেট সময় : ০৬:৩৮:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

লাইফস্টাইল ডেস্ক: শারীরিকভাবে যতটা না ক্লান্ত লাগছে, তার চেয়ে অনেক বেশি খারাপ হচ্ছে মন। কাজ করছেন, কিন্তু কোনোটাই সঠিকভাবে হচ্ছে না। ছোটখাটো কথা ঝগড়ার আকার নিচ্ছে।

অফিসের কাজ সামলে বাড়িতে এসেও কাজ। আবার, সকাল হতে না হতেই বেরিয়ে পড়া। গতে বাঁধা জীবনে মুক্ত বাতাস বলতে কয়েক দিনের ছুটি। কিন্তু যখন তখন হুট করে ছুটিও নেওয়া যাবে না। একঘেয়ে জীবন কাটাতে কাটাতে তাই খুব ক্লান্ত বোধ করছেন।

রাতে দু’চোখের পাতা এক করতে পারছেন না। স্ট্রেস হরমোন, অর্থাৎ কর্টিজলের মাত্রা বাড়তে থাকলে দেহের ওজনও বৃদ্ধি পায়। রোগ প্রতিরোধ শক্তিও দুর্বল হয়ে পড়ে। তবে মনোবিদেরা বলছেন, কাজ থেকেই ক্লান্তি আসে। আবার কাজের মধ্যে থাকলে মন ভালোও হয়। কী সেইসব কাজ?

১. পছন্দের রান্না করুন: মনের ধকল বা অবসাদ কাটাতে পছন্দের রান্না করতে পারেন। না হলে রান্না নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষাও করা যেতে পারে। যেমন, বাড়িতে পিৎজা তৈরি করতে হলে অনেকেই দোকান থেকে পিৎজা বেস কিনে আনেন। তা না করে বাড়িতে আটা দিয়ে পিৎজা বেস তৈরি করে নিতে পারেন। আবার, দেশি খাবারে বিদেশি মশলা ব্যবহার করে ‘ফিউশন’ পদও তৈরি করতে পারেন।

২. ‘সেল্ফ কেয়ার’ বা নিজের যত্ন: সারা দিনের পর কাজ থেকে ফিরে নিজের যত্ন নিতে ইচ্ছে করে না। তবে মনোবিদেরা বলছেন, মানসিক চাপ লাঘব করার জন্য ‘সেল্ফ কেয়ার’ জরুরি। তার জন্য খরচ করে স্যালুনে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। স্নায়ুর উত্তেজনা প্রশমনে গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা সুগন্ধি ঢেলে গোসল করলেও উপকার পাওয়া যায়।

৩. প্রিয় মানুষের সঙ্গে কথা বলুন: কথা শোনার মতো মানুষের খোঁজ পাওয়া ভার। তবে যদি এমন কেউ সন্ধানে থাকেন, তা হলে কোনোভাবে তাকে হাতছাড়া করবেন না। তার সঙ্গে আবেগ, অনুভূতি, খারাপ-ভালো ভাগ করে নিলে মনের চাপ লাঘব হবে। কথা বললে মনের অন্ধকারাচ্ছন্ন দিকগুলোয় আলো জ্বলে উঠতে পারে।

৪. নিজের সঙ্গে সময় কাটান: কাজের চাপে চিঁড়েচ্যাপটা হওয়ার জোগাড়? এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারে পুরনো কোনো শখ। তা সে গল্পের বই পড়া হতে পারে, ছবি আঁকাও হতে পারে, আবার বাগানের আগাছা পরিষ্কার করাও হতে পারে। নিজের সঙ্গে সময় কাটালে মন ভালো হয়ে ওঠে।

৫. খোলা হাওয়ায় ঘুরে বেড়ান: মানসিক চাপ কমাতে বাড়ির আশপাশে একটু হাঁটাহাটি করা যেতে পারে। বাড়ির সামনে তেমন কোনো জায়গা না থাকলে ছাদেও হাঁটা যায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই ধরনের হালকা শরীরচর্চা বিশেষভাবে কার্যকর।